1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

একাত্তরের গণহত্যার মামলায় দুই জামায়াত নেতা রিমান্ডে

১৪ জুলাই ২০১০

বাংলাদেশে একাত্তরের গণহত্যার মামলায় এই প্রথম জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া হল৷

https://p.dw.com/p/OJC0
নিজামী সহ একের পর এক জামায়াতের নেতাকে আটক করা হচ্ছেছবি: Mustafiz Mamun

বুধবার জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল কামারুজ্জামান এবং আব্দুল কাদের মোল্লাকে রাজধানীর পল্লবীর আলোকদি গ্রামে ৭১'এর গণহত্যার ঘটনায় ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ৷

মঙ্গলবার ওই দুই জামাত নেতাকে আদালতের বাইরে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ তারা অন্য মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন নিতে গিয়েছিলেন৷

পল্লবীর আলোকদি গণহত্যার মামলাটি গতবছরের ২৫শে জানুয়ারি দায়ের করেন মুক্তিযোদ্ধা আমীর হোসেন৷ মামলাটি এখন সিআইডি তদন্ত করছে৷ মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নিজামী, মুজাহিদ, সাঈদী, কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি ঘাতক বাহিনী গঠন করা হয়েছিল৷ তাদের বাহিনীতে অবাঙালিও ছিল৷ ওই বাহিনী মিরপুর এবং পল্লবী এলাকায় ব্যাপক গণহত্যা চালায়৷ তারা মুক্তযোদ্ধা আব্দুস সাত্তারকে হত্যার পর ওই এলাকার বেশ কয়কটি গ্রামে হামলা চালিয়ে একদিনে সাড়ে ৩শ' মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করে৷ হত্যাকান্ডের পর ঘাকতরা কয়েকটি গর্তে লাশগুলো ফেলে যায়৷ একাত্তরের সেই গণকবর আবিষ্কৃত হয়৷

গত ২৯শে জুন গ্রেপ্তার হওয়া জামায়াতের শীর্ষ নেতা নিজামী, মুজাহিদ ও সাঈদী এই মামলার আসামী হওয়ায় তাদেরও গণহত্যার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর প্রক্রিয়া চলছে৷ তাদের গ্রেপ্তারের পর ৭টি ফৌজদারি মামলায় ১৬ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷ এই প্রথম তারা একাত্তরের গণহত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হচ্ছেন, যা যুদ্ধাপরাধ মামলারই সমতুল্য৷

যৃদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনাল অবশ্য এখনো শীর্ষ জামায়াত নেতাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়নি৷ তবে আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে৷ ট্রাইবুনাল শিগগিরই তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিতে পারে৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক