1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফ্রান্স সরকারের প্রতিশোধ!

৯ আগস্ট ২০১০

হ্যাঁ, ব্যাপারটা আসলে অনেকটা সেরকমই৷ ঘটনার শুরু গত এপ্রিলে৷ সেসময় পুরো মুখ ঢাকা বোরখা পরে গাড়ি চালানোর অভিযোগে জরিমানা করা হয় এক মুসলমান মহিলাকে৷

https://p.dw.com/p/OfCI
ফ্রান্সের রাস্তায় বোরখা পরা মহিলাছবি: AP

পুলিশের অভিযোগ, বোরখার কারণে ঐ মহিলা সামনে ঠিকমত দেখতে পাচ্ছিলেননা৷ ফলে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত৷ তবে সবার সামনেই পুলিশের জরিমানা আদায়ের বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করে বসেন ঐ মহিলা৷

ঘটনাটি ঘটে এমন এক সময়ে যখন ফ্রান্স সরকার প্রকাশ্যে পুরো মুখ ঢাকা বোরখা পরা নিষিদ্ধ করতে একটি আইনের খসড়া তৈরিতে ব্যস্ত এবং এই খসড়া আইনের প্রতিবাদে মুখর মুসলমানরা৷ ফলে স্বাভাবিকভাবেই ঐ মহিলার পুলিশকে চ্যালেঞ্জ করার বিষয়টি বেশ আলোচিত হয়ে ওঠে৷ সেসময় ঐ মহিলার স্বামী লিয়েজ হেবাদজের ভূমিকাও ছিল চোখে পড়ার মত৷ এই ঘটনা ফরাসি সরকারকে কিছুটা বিপাকে ফেলেছিল বৈকি!

এরপরেই ঘটে প্রতিশোধের ঘটনা৷ জুন মাসে লিয়েজ হেবাদজের বিরুদ্ধে মামলা করে সরকার৷ অভিযোগ - ১৫ সন্তান লালন পালনের নামে তিনি সরকারের কাছ থেকে অনেক অর্থ নিচ্ছেন৷ উল্লেখ্য, চারজন মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক করে হেবাদজ ঐ ১৫ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন বলে জানা যায়৷ ফলে স্বয়ং ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হেবাদজের বিরুদ্ধে বহুবিবাহের অভিযোগ আনেন৷ এবং এজন্য তাঁর ফরাসি পাসপোর্ট কেড়ে নেয়ারও হুমকি দেন৷ কারণ, ফ্রান্সে বহুবিবাহ অবৈধ৷ উল্লেখ্য, ৩৫ বছর বয়সি দোকানদার হেবাদজ মূলত আলজেরিয়ার মানুষ৷

কিন্তু শুধু একটি মামলা করেই ক্ষান্ত হয়নি সরকার৷ তাইতো এবার হেবাদজের বিরুদ্ধে একাধিক ধর্ষণের অভিযোগ এনেছে পুলিশ৷ এই অভিযোগে শুক্রবার তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে৷ তবে পুলিশ এই অভিযোগ আনার আগে এক মহিলা হেবাদজের বিরুদ্ধে ধর্ষণ সহ যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনেছিল৷

মজার ব্যাপার হলো, এই ধর্ষণের ঘটনাগুলো নাকি ঘটেছে ২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে৷ তাইতো হেবাদজের আইনজীবি'র দাবি, এর সবই সরকারের সাজানো৷

এবার আপনারাই বলুন, এটা একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রতিশোধ কিনা৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়