1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এক মামলা থেকে বেরিয়েই আরেকটিতে সাকারবার্গ

১৪ এপ্রিল ২০১১

খ্যাতির বিড়ম্বনায় পড়েছেন ইন্টারনেট ভিত্তিক জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক সাকারবার্গ৷ একটি মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পরদিনই তাঁর বিরুদ্ধে উঠল নতুন অভিযোগ৷

https://p.dw.com/p/10tAc
টাইম ম্যাগাজিনের কভারে সাকারবার্গ

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সাকারবার্গের সহপাঠীদের কাছ থেকে ফেসবুকের ধারণা নকল করেছেন বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছিল৷ এই অভিযোগ তুলে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন উইঙ্কলভস টুইনস৷ সম্প্রতি বেশ আলোচিত ছবি ‘দ্য সোশ্যাল নেটওয়ার্ক' এর মধ্যেও চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলা হয় ফেসবুক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ঐ দুই যমজ ভাইয়ের ভূমিকা৷ কিন্তু এখন তাঁদের দাবি, ২০০৮ সালে সাকারবার্গের সাথে তাঁদের যে আইনি সমঝোতা হয়, তার আগে সাকারবার্গ প্রতিষ্ঠানটির মূল্যমানকে অত্যন্ত কমিয়ে দেখিয়েছেন৷ যে কারণে তাঁরা সাকারবার্গের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্য পাননি বলে মনে করেন উইঙ্কলভস টুইনস৷

Symbolbild Facebook Die Schatten von Jugendlichen mit einem Laptop
ছবি: picture alliance/dpa

তাই অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের জন্য সাকারবার্গের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবম সার্কিট আপিল কোর্টে আপিল করেছিলেন তাঁরা৷ শুনানি শেষে বিচারক অ্যালেক্স কোজিন্সকি তাঁর ১১ পৃষ্ঠার রায়ে বলেন, ‘‘একদল আইনজীবী এবং অর্থনৈতিক উপদেষ্টার সহযোগিতা নিয়ে তাঁরা একটি চুক্তিতে উপনীত হয়েছিলেন, যা বর্তমান বাজারের সাথে তাল মিলিয়ে যথেষ্ট উপযোগী ছিল৷'' কোজিন্সকির এই রায়ের ফলে আপাতত এই মামলা থেকে অব্যাহতি পান সাকারবার্গ৷

কিন্তু এর একদিন পরই তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়ালেন পল সেগলিয়া৷ নিজের দাবির পক্ষে সেগলিয়া হাজির করেছেন ২০০৩ থেকে ২০০৪ সালের বিভিন্ন তারিখে সাকারবার্গের সাথে লেনদেন করা একগাদা ইমেল৷ বিজনেস ইনসাইডার নামের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে এসব ইমেল বার্তা৷ এগুলোতে দেখা গেছে দুই জনের মধ্যে ফেসবুক প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনার খুঁটিনাটি৷ এমনকি সাকারবার্গের প্রতিদ্বন্দ্বী উইঙ্কলভস টুইনস এর প্রকল্পকে পেছনে ফেলে ফেসবুককে এগিয়ে নিতে তাঁর কৌশলের কথাও রয়েছে ইমেল বার্তায়৷

সেগলিয়ার দাবি, ফেসবুকের শুরুতে যে ২০০০ ডলার বিনিয়োগ করেছিলেন তিনি, তার বিনিময়ে প্রতিষ্ঠানের অর্ধেক ভাগ পাওয়ার কথা সেগলিয়ার৷ তাঁর এসব প্রমাণাদির সত্যতা যাচাই করে দেখেছে প্রখ্যাত প্রযুক্তিবিষয়ক আইনি প্রতিষ্ঠান ডিএলএ পাইপার৷ কিন্তু এরপরও ফেসবুকের দাবি, সেগলিয়া প্রতারণায় দক্ষ এবং তাঁর এসব ইমেল ও চুক্তিসমূহ ভুয়া৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন