1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এক সপ্তাহ পিছিয়ে গেল অযোধ্যা মামলার রায়

২৩ সেপ্টেম্বর ২০১০

অযোধ্যায় রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদের বহু প্রতীক্ষিত ও বহু বিতর্কিত মামলার রায় ঘোষণার কথা ছিল এলাহাবাদ হাইকোর্টের শুক্রবার ২৪শে সেপ্টেম্বর৷ কিন্তু সুপ্রীম কোর্ট বৃহস্পতিবার তা পিছিয়ে দেন আরো এক সপ্তাহের জন্য৷

https://p.dw.com/p/PKco
পিছিয়ে গেলো বাবরি মসজিদের বহু প্রতীক্ষিত মামলার রায়ছবি: AP

৬০ বছরের পুরানো অতি স্পর্শকাতর অযোধ্যার রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলার রায়দান পিছিয়ে দেবার জন্য এলাহাবাদ হাইকোর্টের লক্ষ্মৌ বেঞ্চের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন রমেশ চন্দ্র ত্রিপাঠি নামে এক ব্যক্তি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হবে এই যুক্তি দেখিয়ে৷ কিন্ত এলাহাবাদ হাইকোর্ট তা খারিজ করে দেন৷ তখন তিনি একই যুক্তিতে সুপ্রীমকোর্টে আপীল করেন৷ তাতে তিনি বলেন, এখনো সময় আছে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে একটা আপোষ সমঝোতার৷

আদালতের বিচার্য ছিল, অযোধ্যার ঐ বিতর্কিত জমিতেই কী রামের জন্ম হয়েছিল? মন্দির ভেঙ্গেই কী বাবরি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল? ইসলামি রীতি মেনেই কী মসজিদ গড়া হয়েছিল? মামলার রায় ঘোষণার পরই অযোধ্যা মামলার নিষ্পত্তি হবে এমন সম্ভাবনা কম৷ উল্টে দেশে নতুন করে ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টি হবার সম্ভাবনা বেশি৷

রায় ঘোষণা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি ছিল শঙ্কিত৷ সামনে কমনওয়েলথ গেমস,কাশ্মীর সমস্যা, মাওবাদী সমস্যা৷ অযোধ্যা মামলার রায়ের কী প্রভাব পড়বে তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী খুবই চিন্তিত৷ সেদিকে তাকিয়ে গোটা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়, বিশেষ করে স্পর্শকাতর রাজ্যগুলিতে৷ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকারও৷ বাড়তি আধাসামরিক বাহিনী চাওয়ার পাশাপাশি ব়্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে অযোধ্যায় ও ফৈজাবাদে৷ চল্লিশ কোম্পানি সিআরপিএফ এবং ২৫ কোম্পানি পিএসি সেখানে টহল দিচ্ছে৷ জারি রয়েছে সেখানে ১৪৪ ধারা৷ স্কুল কলেজগুলিতে আগাম ছুটি ঘোষণা করা হয়৷

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি. চিদাম্বরম আবেদন করেছেন, রায়ের প্রতিলিপি ভাল করে খুঁটিয়ে না দেখে কেউ যেন চটজলতি জয় পরাজয় ধরে নিয়ে উত্তেজনা না ছড়ান৷ বরং উচিত হবে উচ্চ আদালতে আপীল করা৷ সাম্প্রদায়িক শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় আবেদন রেখেছেন হিন্দু ও মুসলিম ধর্মীয় শীর্ষ সংগঠনগুলি৷

উল্লেখ্য, এই মামলাটি বাবরি মসজিদ ও তার সংলগ্ন ২.৭৭ একর বিতর্কিত জমি সংক্রান্ত৷ এর সঙ্গে বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার কোন সম্পর্ক নেই৷ সেটি বিচারাধীন লক্ষ্ণৌ আদালতের সিবিআই আদালতে৷ স্বাধীনতার পর উভয় সম্প্রদায় জমির মালিকানা চেয়ে আদালতে যায়৷ তারপর থেকে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে বিভিন্ন আদালতে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী