1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এখনও অন্ধকার জীবনে অভ্যস্ত ইন্দোনেশিয়ার বাদুই উপজাতি

১৯ জুলাই ২০১০

সরকারের দেয়া বিদ্যুৎ সংযোগের প্রস্তাব এবং বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে ইন্দোনেশিয়ার বাদুই উপজাতিরা৷ ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে তাদের ঐতিহ্যবাহী ভূমিতে এখনও খালি পায়ে হাঁটতেই পছন্দ করে তারা৷

https://p.dw.com/p/OOnz
ইন্দোনেশিয়ার বাদুই উপজাতিছবি: AP

বাদুই গ্রামের সাপরি জানালেন অগ্রগতি বা প্রযুক্তি কোনটারই দরকার নেই তাদের৷ একগাল হেসে এএফপি-কে তিনি বলেন, প্রকৃতির কাছাকাছি আমাদের জীবন যথেষ্ট ছন্দময়, যা প্রয়োজন তার সবই আমরা পেয়েছি৷

সাত সন্তানের বাবা ৩৮ বছর বয়স্ক সাপরি বাইরের দুনিয়াকে খুব সামান্যই তোয়াক্কা করেন৷ বিশ্ব অর্থনৈতিক ধস তাকে একেবারেই প্রভাবিত করে না৷ বিশ্বকাপ সম্পর্কে নাম মাত্র জানে তারা৷

সাপরির গোটা জগৎ ''বাদুই আবাসভূমি''-র সীমানার মধ্যেই নিহিত৷ জাভার কেন্দ্রস্থলে ৫ হাজার হেক্টর বা ১২ হাজার ৩শ ৬০ একরের বনভূমি নিয়েই এই বাদুই আবাসভূমি৷ বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দ্বীপের মধ্যে এটি একটি৷ বাদুই জনগোষ্ঠীর মানুষের সংখ্যা প্রায় ১২ হাজারের কাছাকাছি৷ প্রায় ৩০টি গ্রাম জুড়ে তাদের বসবাস৷ বাদুইদের সনাতন বাড়িঘর তৈরি হয় বাঁশ এবং তাল গাছের পাতা দিয়ে৷ তবে তাদের বাড়ির কোন জানালা থাকে না৷ মাটির চুলায় কাঠ জ্বেলে তৈরি হয় বাদুই উপজাতিদের খাবার৷ তারা বাড়ির মেঝেতে বসে খাওয়া দাওয়া করে৷ বাড়িতে আসবাবপত্র, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এবং আধুনিক সরঞ্জামাদি নিষিদ্ধ৷

গ্রামের প্রধান দারো দাইনাহ বলেন, আমরা কয়েক শতাব্দী ধরে শ্রদ্ধার সঙ্গে কঠোরভাবে এই সব নিয়ম পালন করে আসছি৷ বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে উপজাতীয় প্রধান হিসেবে জনসংযোগের দায়িত্ব পালন করতে ১৪ বছরের জন্যে দাইনাহকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে৷ তিনি বলেন, ''সরকার আমাদের বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে তবে আমরা তা প্রত্যাখ্যান করেছি, কারণ অগ্রগতি এত দ্রুত আসুক তা আমরা চায় না৷ আমরা আমাদের সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে চায়৷''

বাদুই উপজাতির উদ্ভব এক রহস্য৷ কেউ কেউ বলে থাকেন তারা হিন্দু রাজ পরিবারের বংশধর৷ বলা হয়ে থাকে, ১৫ শ শতকে ইন্দোনেশিয়ার সর্বত্র ইসলাম ধর্ম ছড়িয়ে পড়ার পর, পাহাড় থেকে তাদের বসতি উঠিয়ে নিতে বাধ্য হয় তারা৷

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক