1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এবারের বিশ্বকাপে ‘সারপ্রাইজ প্যাকেজ’ উত্তর কোরিয়া

৮ জুন ২০১০

ফিফা ব়্যাংকিংয়ে উত্তর কোরিয়ার অবস্থান ১০৫৷ সবাইকে চমকে দিয়ে এশিয়া জোন থেকে উত্তর কোরিয়া নিজেদের বিশ্বকাপের আসরে নিয়ে এসেছে৷ অথচ শুরুতে কেউ-ই উত্তর কোরিয়াকে খুব একটা গুরুত্ব দেয়নি৷

https://p.dw.com/p/NkbX
বিশ্বকাপে উত্তর কোরিয়ার জাতীয় দলছবি: AP

রোববার নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে একটি ফ্রেন্ডলি ম্যাচে খেলতে গিয়ে শিরোনামে চলে এসেছে উত্তর কোরিয়া৷ না, খেলার জন্য নয় বরং টিকিট না পাওয়ায় ক্ষিপ্ত ভক্ত এবং সমর্থকদের পদপিষ্ট হয়ে ষোল জন মানুষ আহত হয়েছে - সেটাই ছিল গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকায় বড় খবর৷

‘সারপ্রাইজ প্যাকেজ' নাম নিয়ে ইতিমধ্যে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে উত্তর কোরিয়া৷ কোয়ালিফাইং রাউন্ডে উত্তর কোরিয়া সহজেই প্রতিপক্ষদের কুপোকাৎ করেছে শুধু ইরানের কাছে ২-১ গোলে পরাজয় বরণ করেছে৷ কিন্তু কিছুতেই দমে যাচ্ছে না দলটি৷ ক্ষিপ্র গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া৷

দলের কোচ কিম জং হুন সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে জানান, কোন ধরণের মানসিকতা এবং মনোভাব নিয়ে দলটি খেলছে৷ তিনি বলেন, প্রায় সব দলই নিজের দেশের জন্য, দলের জন্য কাপটি জিততে চায়৷ উত্তর কোরিয়া বিশ্বকাপ জিততে চায় তাদের প্রিয় মাতৃভূমি এবং নেতা কিম জং ইলের জন্য৷

তবে ১৯৬৬ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত যাওয়ার ঘটনা এখনো সবার স্মৃতিতে উজ্জ্বল৷ ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডে কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালের কাছে ৫-৩ গোলে হেরে যাওয়ায় বিদায় নিতে হয়েছিল উত্তর কোরিয়াকে৷ সেই বিশ্বকাপেই ইটালিকে ১-০ গোলে পরাজিত করেছিল ‘সারপ্রাইজ প্যাকেজ'৷ এবারও তাদের গ্রুপে রয়েছে সেই পর্তুগাল, সঙ্গে ব্রাজিল এবং আইভরি কোস্ট৷

উত্তর কোরিয়া দলের ব্যবহারের জন্য বাসটি দিয়েছে দক্ষিণ করিয়ার হুয়ান্ডাই কোম্পানি৷ কোম্পানি নিজ থেকেই স্লোগান দিচ্ছে, ‘১৯৬৬ সালের পুনরাবৃত্তি! উত্তর কোরিয়ার জন্য সাফল্য, বিজয়৷'

তবে রাজনীতির প্রভাব খুব বেশি কিন্তু বিশ্বকাপে পড়ছে না৷ বিতর্কিত কিম জং ইল, দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধজাহাজ - সব কিছু ছাপিয়েই কোরিয়ার মানুষরা ফুটবলে একাত্ম হয়েছে৷ বিশ্বকাপের মাঠে যেন কোন উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া নেই - আছে শুধু একটি কোরিয়া৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম