1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এবার আলজেরিয়ায় সরকার বিরোধী আন্দোলন শুরু

১২ ফেব্রুয়ারি ২০১১

মিশরের পর এবার আলজেরিয়ায় সরকার বিরোধী আন্দোলন শুরু হলো৷ রাজধানী আলজিয়ার্সে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে৷ দেশটিতে ১৯৯২ সাল থেকে জরুরি আইন বলবৎ থাকার কারণে যে কোন ধরণের বিক্ষোভ সেখানে নিষিদ্ধ৷

https://p.dw.com/p/10GGs
প্রেসিডেন্ট আবদেল আজিজ বুতেফলিকা গত ১৯ বছর ধরে ক্ষমতায়ছবি: AP

এদিন প্রায় ২ হাজার বিক্ষোভকারী সমবেত হন আলজিয়ার্সে৷ বিক্ষোভরত লোকজনের ওপরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে৷ বিরোধী রাজনীতিকসহ গ্রেপ্তার করে বেশ কয়েকজনকে৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা এই খবর দিলেও, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ঠিক কতজন আহত হয়েছে তা জানা যায় নি৷ জরুরি আইনের কারণে বিক্ষোভ নিষিদ্ধ হওয়া স্বত্ত্বেও, প্রতিবাদকারীরা বিক্ষোভ সমাবেশের পরিকল্পনা আগেই করেছিল এবং সেই লক্ষ্য নিয়েই শনিবারে এগুতে থাকে৷ তবে সমাবেশের ঘোষণা আগে দিলেও কর্তৃপক্ষ তা অনুমোদন করেনি৷ আর এর পরিপ্রেক্ষিতেই নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় ৩০ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে রাজধানীতে৷ দাঙ্গা পুলিশ চেষ্টা করছে সেখানে যেন মিশরের মতো কোন বিপ্লব না ঘটে৷

প্রথমে টিউনিশিয়া এবং গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মিশরে গণবিক্ষোভের পরেই, আলজেরিয়াতে এই বিক্ষোভের সূচনা৷ আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্স এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ওরানের এই বিক্ষোভের ডাক আগেই দেওয়া হয়৷ মিশরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের পতনের একদিন পরেই এই বিক্ষোভ শুরু হলো আলজেরিয়াতে৷

আলজেরিয়ার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ যেন বিক্ষোভে অংশ নিতে না পারে সেজন্য রাজধানীতে আসার রেল ও বাস যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আবদেল আজিজ বুতেফলিকা গত ১৯ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছেন৷

আলজিয়ার্সে এই বিক্ষোভ আয়োজনে সহায়তা করেছে ‘লিগ ফর হিউম্যান রাইটস' নামে একটি মানবাধিকার গোষ্ঠী৷ বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের চড়াও হবার ঘটনা সম্পর্কে এই গোষ্ঠীর নেতা মুস্তফা বৌখাচি বলেন, ‘‘আমি এটা দেখে দুঃখিত যে, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দমনে সরকার প্রচুর পুলিশ নামিয়েছে৷ যা আলজেরিয়ার ভাবমুর্তির জন্যে ভালো নয়৷'' আলজিয়ার্সের কেন্দ্রস্থলে, মে ওয়ান চত্বরে বিক্ষোভকারীদের একটা ছোট অংশ সমবেত হন এবং ‘‘বুতেফলিকা নিপাত যাক'' বলে স্লোগান দেয়৷ অনেকে এই সময়ে পত্রিকার কপিকেই প্ল্যাকার্ড হিসেবে নাড়তে থাকেন৷ যেখানে শিরোনাম ছিল মুবারকের পতন৷

শুক্রবারে মিশরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের পদত্যাগ এবং গত মাসে টিউনিশিয়ার সরকার পতনের ঘটনা আরব বিশ্বে কাঁপন ধরিয়েছে এবং এর পরে কোন অঞ্চল, এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে৷ তবে আলজেরিয়ায় ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হলে সেটা বিশ্ব অর্থনীতিতে দুর্ভোগ বয়ে আনতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশংকা করছেন৷ কারণ এই দেশটি বিশ্বের অন্যতম তেল ও গ্যাস রপ্তানিকারক৷

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: জাহিদুল হক