1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জুয়ার দরজা খুলছে জাপান

১৯ মে ২০১৪

সব ঠিক থাকলে ২০২০ সালের অলিম্পিকের সময় জাপানের টোকিও ও ওসাকায় প্রথমবারের মতো খোলা হচ্ছে ক্যাসিনো, যে বাজারের দখল নিতে নড়ে চড়ে বসেছেন দুই মার্কিন বিলিয়নেয়ার৷

https://p.dw.com/p/1C1i6
Symbolbild Glücksspiel Poker Roulette Casino
ছবি: picture-alliance/dpa

জুয়ার বৈধতা না থাকায় বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ জাপান ক্যাসিনো ব্যবসায়ীদের কাছে এতোদিন অধরাই ছিল৷ ব্রোকাররা বলছেন, ম্যাকাও ও যুক্তরাষ্ট্রের পর জাপান হতে পারে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম জুয়ার আখড়া, যেখান থেকে বছরে ৪০ বিলিয়ন ডলরা মুনাফা তুলে নেয়া সম্ভাব৷

ক্যাসিনো ব্যবসাকে বৈধতা দিতে চলতি বছরই নতুন আইনি কাঠামো চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন জাপানি আইনপ্রণেতারা৷ ফলে এ ব্যবসার রাঘব বোয়ালরা টোকিও ও ওসাকায় ক্যাসিনো খোলার অনুমতি পেতে এখন থেকেই কোমর বেঁধে নেমেছেন৷

শিকাগোর আবাসন ব্যবসায়ী নেইল ব্লুমের নজর জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় বাণিজ্যিক কেন্দ্র ওসাকার দিকে৷ অর্থ-বাণিজ্যের সাময়িকী ফোর্বসের হিসাবে, পেনসিলভানিয়া, শিকাগো ও নায়াগ্রা ফলসে ২.৬ বিলিয়ন ডলারের ক্যাসিনো ব্যবসা সামলাচ্ছেন ৭৬ বয়সি এই ধনকুবের৷

অন্যদিকে লাস ভেগাসের ‘গেইমিং টাইকুন' শেলডন অ্যাডলেসন আগ্রহী টোকিওর বাজার নিয়ে৷ লাস ভেগাস স্যান্ডস কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী হিসাবে ৩৯ বিলিয়ন ডলারের জুয়ার ব্যবসা সামলাচ্ছেন অশীতিপর এই বৃদ্ধ৷

রাশ গেইমিংয়ের প্রধান নেইল ব্লুম মনে করেন, ওসাকার স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শিকাগোর মতোই উদার৷ ক্যাসিনো খুলে দ্রুত জমিয়ে ফেলার সব সম্ভাবনাই ওসাকার রয়েছে৷

Baden in Geldscheinen Symbolbild Eurojackpot
জুয়ার আসর থেকে অর্থ আয়ের স্বপ্ন দেখেন অনেকে (ফাইল ফটো)ছবি: Fotolia/Franz Pfluegl

তার মতে, টোকিওর পরিস্থিত তুলনামূলকভাবে অনেক কঠিন৷ সেখানে অনুমতি বের করে ক্যাসিনো খোলা এবং ব্যবসা করে ভালো লাভ তুলে আনতে অনেক বেশি অর্থ ও সময় বিনিয়োগ করতে হবে৷

ওসাকায় ক্যাসিনো খোলার আগ্রহ অ্যাডলেসনেরও রয়েছে৷ তবে টোকিওতে ১ কোটি ৩২ লাখ মানুষের বাজার তার কাছে অনেক বেশি লোভনীয় বলে মনে হচ্ছে৷ ইতোমধ্যে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, অনুমতি পেলে জাপানের রাজধানীতে ক্যাসিনো সাম্রাজ্য গড়ে তুলতে ১০ বিলিয়ন ডলার খাটাতেও তিনি রাজি৷

মরগ্যান স্ট্যানলির সাম্প্রতিক এক প্রতিবদেনে বলা হয়েছে, জাপানে ক্যাসিনো খুলতে কম করে হলেও ৫ বিলিয়ন ডলার নিয়ে নামতে হবে৷ আর তাতে বছরে লাভের সম্ভাবনা ২০ শতাংশের কম৷ অবশ্য ম্যাকাও, সিঙ্গাপুর ও লাস ভেগাসে ক্যাসিনো চালানোর অভিজ্ঞতা থেকে জাপানের বিষয়ে যথেষ্টই আত্মবিশ্বাসী অ্যাডলেসনের স্যান্ডস কর্পোরেশন৷

এ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জর্জ তানাসিজেভিচ বলেন, ‘‘আমাদের সামর্থ্য নিয়ে আমাদের কোনা ভুল ধারণা নেই৷ শেয়ার হোল্ডারদের খুশি রাখার মতো লাভ আমরা তুলে আনতে পারব৷''

টাকার খেলা

চারদিকে অনেক টাকার গল্প শোনা গেলেও নেইল ব্লুম মনে করেন, চার থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলারেই ওসাকায় ক্যাসিনো খুলতে পারবেন তিনি৷ তাছাড়া স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মনে করে, কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠান জাপানি কোনো কোম্পানির সঙ্গে মিলে যৌথ উদ্যোগে ক্যাসিনো খুললে সেটাই হবে সবচেয়ে ভালো৷ এ বিষয়ে ব্লুমেরও খুব একটা আপত্তি নেই৷

২৮ লাখ মানুষের শহর ওসাকায় গত এপ্রিলে পরিচালিত এক জরিপে ৫৬ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তাঁরা ক্যাসিনোর পক্ষে৷ এ শহরের গভর্নর ইচিরো মাৎসুই আশা করছেন, যে কোম্পানিই ওসাকায় ক্যাসিনো খুলুক, তারা পাঁচ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ তো করবেই, পাশাপাশি নিজেদের ব্যবসার স্বার্থেই রেলওয়ে অবকাঠামোর উন্নয়ন করবে৷

অবশ্য টোকিও কর্তৃপক্ষের মনোযোগ ২০২০ সালের অলিম্পিকের ওপরই পুরোপুরি নিবদ্ধ৷ ক্যাসিনো নিয়ে খুব বেশি নড়াচড়া এখনো তাঁদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না৷ এ ব্যবসার অনুমতি পেতে কি করতে হবে – সে বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা টোকিওর গভর্নর ইয়োইচি মাসুজো এখনো দেননি৷

জেকে/ডিজি (রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান