1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এবার দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ আদালত

১৬ জুন ২০১০

বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর শুরু হয়েছে এই তো চারদিন হলো৷ নানা দেশ থেকে সেখানে এসেছে ফুটবল প্রেমীরা৷ খেলোয়াড়, কর্মকর্তা আর সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে রয়েছেন সাংবাদিকরাও৷ কিন্তু নিরাপত্তার সমস্যা এখনো রয়ে গেছে৷

https://p.dw.com/p/NsKE
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো সম্পূর্ণ সন্তোষজনক নয়ছবি: AP

খেলা দেখতে এসে সাংবাদিক এবং বেশ কিছু ফুটবল প্রেমী উঠেছেন জোহানেসবার্গের একটি হোটেলে৷ নাম মাগালিসবুর্গ৷ সেই হোটেলে হলো ডাকাতি৷ সর্বস্ব লুট৷ তিন সাংবাদিক যাচ্ছিলেন কোথাও৷ হঠাৎ পথ আগলে দাঁড়ায় দুই অস্ত্রধারী৷ তারপর টেনেহিঁচড়ে তাদের অপহরণ করার চেষ্টা৷ যদিও অসফল৷ কেপটাউনে খেলা দেখতে আসা এক পর্যটকের ব্যাগ নিয়ে চম্পট এক মহিলা ছিনতাইকারী৷ আরেক শহরে চার চীনা সাংবাদিকের সর্বস্ব লুট৷

এক কথায় খেলা চলাকালীন বিদেশীদের উপর অপরাধকারীরা চড়াও হবার ঘটনা বাড়ছে৷ অবশ্য বছরের অন্য সময়গুলোতেও কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার নগর-বন্দরে অপরাধের মাত্রা একেবারে কম নয়৷

কী ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার

বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট চলাকালে নিরাপত্তা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা৷ স্টেডিয়ামের চারধারে, আশেপাশের এলাকা এবং হোটেলগুলোয় নিয়োগ দেয়া হয়েছে মোট ৪১ হাজার পুলিশ৷ হেলিকপ্টারে চলছে টহল, জলকামান নিয়ে প্রস্তুত পুলিশের কতিপয় সদস্য৷ কিন্তু এগুলোকে কোন ভ্রূক্ষেপ করছে না অপরাধীরা৷

তাই সেখানকার সরকার বিশ্বকাপ উপলক্ষে দ্রুত বিচার আদালত গঠন করেছে৷ যেখানে অপরাধ, যেখানে পাকড়াও, সেখানেই বিচার৷ আর বিচারের রায় দেয়াও হবে সেখানেই৷ দিনের পর দিন বিচার, আদালতে যাওয়া-আসা বা উকিল-মোক্তারের বিষয়গুলোকে একেবারে পাত্তা না দিয়েই কাজ করে যাচ্ছে এই আদালত৷ নাম দেয়া হয়েছে বিশ্বকাপ আদালত৷ এ ধরণের ৫৬টি আদালত দেশব্যাপী কাজ করছে৷ গত চারদিনে আদালত ২০টি অপরাধের রায় দিয়েছে৷ এর মধ্যে একজনকে দেয়া হয়েছে ১৫ বছরের কারাদণ্ড৷ অপরাধকান্ড ঘটনার কিছু সময় বাদেই শুরু হয়েছে তার কারাবাস৷ দ্রুত বিচার আদালত বোধ হয় একেই বলে৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন