এবার দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ আদালত
১৬ জুন ২০১০খেলা দেখতে এসে সাংবাদিক এবং বেশ কিছু ফুটবল প্রেমী উঠেছেন জোহানেসবার্গের একটি হোটেলে৷ নাম মাগালিসবুর্গ৷ সেই হোটেলে হলো ডাকাতি৷ সর্বস্ব লুট৷ তিন সাংবাদিক যাচ্ছিলেন কোথাও৷ হঠাৎ পথ আগলে দাঁড়ায় দুই অস্ত্রধারী৷ তারপর টেনেহিঁচড়ে তাদের অপহরণ করার চেষ্টা৷ যদিও অসফল৷ কেপটাউনে খেলা দেখতে আসা এক পর্যটকের ব্যাগ নিয়ে চম্পট এক মহিলা ছিনতাইকারী৷ আরেক শহরে চার চীনা সাংবাদিকের সর্বস্ব লুট৷
এক কথায় খেলা চলাকালীন বিদেশীদের উপর অপরাধকারীরা চড়াও হবার ঘটনা বাড়ছে৷ অবশ্য বছরের অন্য সময়গুলোতেও কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার নগর-বন্দরে অপরাধের মাত্রা একেবারে কম নয়৷
কী ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার
বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট চলাকালে নিরাপত্তা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা৷ স্টেডিয়ামের চারধারে, আশেপাশের এলাকা এবং হোটেলগুলোয় নিয়োগ দেয়া হয়েছে মোট ৪১ হাজার পুলিশ৷ হেলিকপ্টারে চলছে টহল, জলকামান নিয়ে প্রস্তুত পুলিশের কতিপয় সদস্য৷ কিন্তু এগুলোকে কোন ভ্রূক্ষেপ করছে না অপরাধীরা৷
তাই সেখানকার সরকার বিশ্বকাপ উপলক্ষে দ্রুত বিচার আদালত গঠন করেছে৷ যেখানে অপরাধ, যেখানে পাকড়াও, সেখানেই বিচার৷ আর বিচারের রায় দেয়াও হবে সেখানেই৷ দিনের পর দিন বিচার, আদালতে যাওয়া-আসা বা উকিল-মোক্তারের বিষয়গুলোকে একেবারে পাত্তা না দিয়েই কাজ করে যাচ্ছে এই আদালত৷ নাম দেয়া হয়েছে বিশ্বকাপ আদালত৷ এ ধরণের ৫৬টি আদালত দেশব্যাপী কাজ করছে৷ গত চারদিনে আদালত ২০টি অপরাধের রায় দিয়েছে৷ এর মধ্যে একজনকে দেয়া হয়েছে ১৫ বছরের কারাদণ্ড৷ অপরাধকান্ড ঘটনার কিছু সময় বাদেই শুরু হয়েছে তার কারাবাস৷ দ্রুত বিচার আদালত বোধ হয় একেই বলে৷
প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন