1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এবার বিয়ে করতে যাচ্ছেন মনীষা

৮ এপ্রিল ২০১০

শিল্পা শেঠীর পর বলিউডের আরেক খ্যাতনামা অভিনেত্রী মনীষা কৈরালা বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন৷ পাত্র নেপালের ব্যবসায়ী৷ নাম - সম্রাট দাহাল৷ সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র থেকে পিএইচডি করে ফিরেছেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/Mpwa
অভিনেত্রী মনীষা কৈরালাছবি: AP

২০০১ সালে মনীষা নেপালের তৎকালীন অস্ট্রেলিয়ান অ্যাম্বাসেডর ক্রিসপিন কনরয়-এর সাথে বাগদান ভেঙে দেন এই বলে যে, তিনি বিয়ে করতে প্রস্তুত নন৷ আর তারপর গত বছর, প্রণয়ে জড়িয়ে পড়েন অ্যামেরিকান লেখক ও বক্তা ক্রিস্টোফার ডোরিস-এর সঙ্গে৷ অবশ্য বিয়ের ঘন্টা শেষ পর্যন্ত আর বাজেনি৷ বর্তমানে এই নেপালী সুন্দরী যেন শিকড়ের টানেই ফিরে এসেছেন নেপালে আর বর হিসেবে বেছে নিয়েছেন একজন নেপালীকেই৷

ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিস জানিয়েছে, নেপালের রাজনৈতিক পরিবার থেকে সিনে জগতে আসা প্রথম অভিনেত্রী মনীষা কৈরালা৷ ৪০ বছর বয়সি মনীষা, দাহাল-এর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে যাচ্ছেন দু'মাস পর৷ আগামী ১৯ জুন এই মালা বদলের দিন ঠিক হয়েছে বলে খবর৷

স্বাভাবিকভাবেই, বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলিউডের খ্যাতনামা তারকারা৷ বিয়ের অনুষ্ঠান চলবে তিন দিন ধরে৷ তাই এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে চলছে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা৷ ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, এই বিয়ের অনুষ্ঠান হবে কাঠমান্ডুতেই৷

এদিকে, মনীষা প্রায় দুই দশক পর ‘ধর্ম' ছবিটির মধ্য দিয়ে আবার নেপালী চলচ্চিত্রে ফিরে আসছেন বলে জানা গেছে৷ এ ছবির পরিচালক দীপেন্দ্র খানাল৷ তবে, বর্তমানে তিনি কেরালাতে একটি তেলেগু ছবির শ্যুটিং-এও ব্যস্ত রয়েছেন৷ সামনের শুক্রবার তিনি কাঠমান্ডুতে এসে পৌঁছবেন৷

নেপালে মনীষা এযাবৎ মাত্র একটি ছবিতে অভিনয় করেছেন৷ তবে, নেপালী বংশোদ্ভূত মনীষা বলিউডে অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী৷ বলিউডে তাঁর উল্লেখযোগ্য ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে - সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘খামোশি', বিধুবিনোদ চোপড়ার ‘১৯৪২ - আ লাভ স্টোরি', ‘দিলসে', ‘বম্বে' ইত্যাদি৷

গতমাসে মনীষা কৈরালা তাঁর দাদা গিরিজা প্রসাদ কৈরালার শেষকৃত্যে যোগ দিতে নেপালে যান৷ গিরিজা প্রসাদ কৈরালা ছিলেন নেপালের প্রথম নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী৷ সংবাদ সম্মেলনে মনীষাকে তাঁর বিয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞেসা করা হলে, তিনি প্রশ্ন এড়িয়ে যান৷ উল্লেখ্য, নেপালী চলচ্চিত্র পরিচালক দীপেন্দ্র খানালই প্রথম মনীষার বিয়ের কথা জানান৷

প্রতিবেদক : আসফারা হক

সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক