1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী আশাবাদী

১১ এপ্রিল ২০১৪

মালয়েশিয়ার অভিশপ্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী আশাবাদী হলেও তাঁর দেশের সমন্বয়কারী দপ্তর সংশয় প্রকাশ করছে৷ তবে অনুসন্ধানের কাজ পুরোদমে চলছে৷

https://p.dw.com/p/1Bg9U
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টোনি অ্যাবটছবি: Getty Images

মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের এমএইচ৩৭০ উড়ালের অভিশপ্ত বিমানটি উধাও হয়ে যাওয়ার পর থেকে বার বার আশার আলো দেখা গেছে৷ কিন্তু কোনোবারই পাকা খবর পাওয়া যায়নি৷ তাই অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টোনি অ্যাবট শুক্রবার যখন আবার বললেন যে, সমুদ্রের তলায় এমএইচ৩৭০-এর ব্ল্যাক বক্স পাওয়ার সম্ভাবনা বেশ উজ্জ্বল, তখনও পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া কঠিন৷

Bildergalerie MH 370 Suche
অনুসন্ধানকারী জাহাজ ‘ওশেন শিল্ড'ছবি: Reuters/Australian Defence Force

চীন সফরে এসে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের আলাদা তাৎপর্য আছে৷ বিমানটির যাত্রীদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই চীনা নাগরিক৷ ভারত মহাসাগরের দক্ষিণে অস্ট্রেলিয়া যেভাবে অনুসন্ধানের নেতৃত্ব দিচ্ছে, সর্বত্র তার প্রশংসা শোনা যাচ্ছে৷ তাদের ‘ওশেন শিল্ড' নামের জাহাজে বিশেষ মার্কিন যন্ত্রপাতি সমুদ্রের তলা থেকে চারটি সংকেত শনাক্ত করতে পেরেছে৷ অ্যাবট বলেন, ধীরে ধীরে আরও সেই সংকেতের উৎস খোঁজার কাজে অগ্রগতি ঘটছে৷ তবে সেটি সত্যি ব্ল্যাক বক্স হলেও তার ব্যাটারির আয়ু যে কোনো সময় শেষ হয়ে যাবে – এমন আশঙ্কাও রয়েছে৷

সংকেতের উৎস নির্ধারণ করতে পারলেও প্রায় সাড়ে চাল কিলোমিটার গভীরে অনুসন্ধান চালানোও সহজ কাজ নয়৷ মালয়েশিয়ার বিমানের ধ্বংসাবশেষ ও ব্ল্যাক বক্স পাওয়া গেলে তা উদ্ধার করে তুলে আনা বড় প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ৷ উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর সেখানে বিশেষ সাবমেরিন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিতে কয়েক দিন লেগে যাবে বলে জানানো হয়েছে৷ সমুদ্রের এত গভীরে ‘ব্লুফিন ২১' নামের সেই সাবমেরিন রোবোট কতটা কার্যকর হতে পারবে, তা নিয়েও দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে৷

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী চীনে গিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করলেও পার্থ শহরে অনুসন্ধানের সমন্বয়কারী দপ্তর এখনো সংশয় প্রকাশ করছে৷ তাদের মতে, যে পাঁচটি সংকেত পাওয়া গেছে, তার মধ্যে চারটি কোনো বিমানের ব্ল্যাক বক্সের হতে পারে৷ তবে পঞ্চম সংকেতটি নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে৷ সব মিলিয়ে বড় কোনো অগ্রগতির লক্ষণ দেখতে পাচ্ছে না জেএসিসি দপ্তর৷

উল্লেখ্য, গোটা এলাকায় সমুদ্রপৃষ্ঠে এখনো পর্যন্ত বিমানের কোনো অংশ পাওয়া যায় নি৷ অর্থাৎ বিমানটি আদৌ ধ্বংস হয়েছে কিনা, হয়ে থাকলে সেই এলাকাতেই এমন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে কিনা, তা বলা যাচ্ছে না৷ পিং বা সংকেতের উৎসও যদি ভুল প্রমাণিত হয়, তাহলে এত বড় অভিযান সম্পূর্ণ বৃথা প্রমাণিত হবে৷

এসবি/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য