এমকিউএম নেতা ফারুক হত্যার ঘটনায় থমথমে করাচি
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০বাড়ির সামনে খুন হলেন ইমরান ফারুক
ইমরান ফারুককে লন্ডনে তাঁর বাসভবনের কাছেই বৃহস্পতিবার বেশি রাতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়৷ লন্ডন পুলিশের দেওয়া বয়ানে বলা হয়েছে, ফারুকের মাথায় এবং শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন ছিল৷ তবে, এই হত্যাকান্ড রাজনৈতিক উদ্দেশে ঘটেছে নাকি অন্য কোন কারণ ছিল এর নেপথ্যে, তা এখনও স্পষ্ট নয় বলেও জানিয়েছে লন্ডন পুলিশ৷ ফারুক মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট বা এমকিউএম-এর প্রতিষ্ঠাতাদের একজন৷ এমকিউএম পাকিস্তানের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল এবং করাচি পরিচালনা করছে যে জোট সরকার সেখানে তাদের একটা বড় অংশ রয়েছে৷ উল্লেখ্য, করাচিতে অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা ইমরান ফারুক ১৯৯২ সাল থেকে ব্রিটেনে নির্বাসিত জীবন যাপন করছিলেন৷
ফারুক হত্যাকান্ডের প্রতিক্রিয়ায় উত্তপ্ত করাচি
বৃহস্পতিবার বেশি রাতে লন্ডনে ইমরান ফারুকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই পাকিস্তানের বন্দরনগরী করাচিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে৷ এমকিউএম কর্মীরা কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়৷ এরপর সকাল থেকে করাচিতে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন পরিবহণ মালিকরা৷ ফারুক হত্যার কারণে আরও গাড়ি ভাঙচুর হতে পারে এই ভয়ে তাঁরা গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখেছেন বলে জানিয়েছেন করাচি ট্রান্সপোর্ট ইউনিটির সভাপতি ইরশাদ বোখারি৷ উল্লেখ্য, গত মাসে করাচিতে আরেক এমকিউএম নেতা রাজা হায়দারের হত্যার জের ধরে শহর জুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল৷ সেসময় কমপক্ষে ৮৫ জন নিহত হয়েছিলেন৷
করাচিতে অঘোষিত কারফিউ পরিস্থিতি
ফারুক হত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার সব ধরণের দোকানপাট বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা৷ ফলে সব মিলিয়ে করাচিতে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে৷ প্রশাসন সূত্রের খবর, পরিস্থিতির ওপর কড়া নজরদারি রাখা হচ্ছে ৷ করাচি পুলিশের প্রধান ফায়াজ লেঘারি বলেছেন, যে কোন সন্ত্রাসী ঘটনা এড়াতে তাঁরা সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়