1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এমকিউএম নেতা ফারুক হত্যার ঘটনায় থমথমে করাচি

১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০

ব্রিটেনে পাকিস্তানের এক রাজনৈতিক নেতা ইমরান ফারুক হত্যাকান্ডের পর পাকিস্তানের করাচির পরিস্থিতি এখন থমথমে৷ কারণ নিহত নেতা এমকিউএম বা মুত্তাহিদা কওমি আন্দোলন দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন৷

https://p.dw.com/p/PEM8
করাচিতে জ্বলছে গাড়িছবি: picture-alliance/dpa

বাড়ির সামনে খুন হলেন ইমরান ফারুক

ইমরান ফারুককে লন্ডনে তাঁর বাসভবনের কাছেই বৃহস্পতিবার বেশি রাতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়৷ লন্ডন পুলিশের দেওয়া বয়ানে বলা হয়েছে, ফারুকের মাথায় এবং শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন ছিল৷ তবে, এই হত্যাকান্ড রাজনৈতিক উদ্দেশে ঘটেছে নাকি অন্য কোন কারণ ছিল এর নেপথ্যে, তা এখনও স্পষ্ট নয় বলেও জানিয়েছে লন্ডন পুলিশ৷ ফারুক মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট বা এমকিউএম-এর প্রতিষ্ঠাতাদের একজন৷ এমকিউএম পাকিস্তানের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল এবং করাচি পরিচালনা করছে যে জোট সরকার সেখানে তাদের একটা বড় অংশ রয়েছে৷ উল্লেখ্য, করাচিতে অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা ইমরান ফারুক ১৯৯২ সাল থেকে ব্রিটেনে নির্বাসিত জীবন যাপন করছিলেন৷

Pakistan Mord Politiker Imran Farooq
লন্ডনে ফারুকের বাসভবনের সামনে পুলিশছবি: picture alliance / empics

ফারুক হত্যাকান্ডের প্রতিক্রিয়ায় উত্তপ্ত করাচি

বৃহস্পতিবার বেশি রাতে লন্ডনে ইমরান ফারুকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই পাকিস্তানের বন্দরনগরী করাচিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে৷ এমকিউএম কর্মীরা কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়৷ এরপর সকাল থেকে করাচিতে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন পরিবহণ মালিকরা৷ ফারুক হত্যার কারণে আরও গাড়ি ভাঙচুর হতে পারে এই ভয়ে তাঁরা গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখেছেন বলে জানিয়েছেন করাচি ট্রান্সপোর্ট ইউনিটির সভাপতি ইরশাদ বোখারি৷ উল্লেখ্য, গত মাসে করাচিতে আরেক এমকিউএম নেতা রাজা হায়দারের হত্যার জের ধরে শহর জুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল৷ সেসময় কমপক্ষে ৮৫ জন নিহত হয়েছিলেন৷

করাচিতে অঘোষিত কারফিউ পরিস্থিতি

ফারুক হত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার সব ধরণের দোকানপাট বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা৷ ফলে সব মিলিয়ে করাচিতে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে৷ প্রশাসন সূত্রের খবর, পরিস্থিতির ওপর কড়া নজরদারি রাখা হচ্ছে ৷ করাচি পুলিশের প্রধান ফায়াজ লেঘারি বলেছেন, যে কোন সন্ত্রাসী ঘটনা এড়াতে তাঁরা সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়