1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হংকং-এর যৌনপল্লীতে আতঙ্ক?

১৩ নভেম্বর ২০১৬

হংকং-এ এমন ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের নজির নেই বলে জানিয়েছেন সেখানকার এক বিচারক৷ ইন্দোনেশিয়ায় দুই নারীকে সেখানে নৃশংসভাবে হত্যা করে এক ব্রিটিশ ব্যাংকার৷ সেই অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত৷

https://p.dw.com/p/2SPTb
রাস্তায় অপেক্ষারত এক যৌনকর্মী
ছবি: Manuel Pedreza/AFP/Getty Images

রুরুক জুটিং নামে ঐ ৩১ বছর বয়সি সাবেক ব্যাংকার অবশ্য সুমারথি নিংসি এবং সেনেং মুজিয়াসিকে হত্যার কথা অস্বীকার করেছেন৷ ২০১৪ সালের ঐ ঘটনায় নিজেকে মাদকাসক্ত বলে দাবি করেছেন তিনি৷ তার হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটির ভিডিও থাকায় বিচারকদের জন্য রায় দিতে সহজ হয়৷ ব্রিটেনেই সাজা ভোগ করতে হবে তাকে৷ কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করা জুটিং এক ধরনের যৌন বিকারগ্রস্ত ব্যক্তি বলে রায় দেয় আদালত৷ বলেন, সে এমন বিভৎস কাজ করেছে যেটাকে ভাষায় বর্ণনা করার মত শব্দ আমার জানা নেই৷

জুটিং-এর দণ্ডে হংকং-এর যৌনপল্লীতে স্বস্তি, আতঙ্ক 

২০১৪ সালের নভেম্বরে যখন ঐ দুই যুবতীকে হত্যা করা হয়, তখন নিরাপদ শহর হিসেবে পরিচিত হংকং শহর স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল৷ জুটিং-এর বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টটি ছিল যৌনপল্লীর খুব কাছে৷ ঐ দুই নারীর একজনকে একটি বার থেকে এবং একজনকে ‘স্ট্রিপ ক্লাব' থেকে নিজের অ্যাপার্টমেন্টে নিয়ে গিয়েছিল সে৷ হংকং-এ অনেক নারী ইন্দোনেশিয়াফিলিপাইন্স থেকে এ ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়৷ জুটিং-এর এই শাস্তিতে হংকং-এর যৌনপল্লীতে স্বস্তি নেমে এলেও, অনেক যৌন কর্মী বলছেন, হংকং-এর অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভালো না হওয়ায় এমন ব্যক্তিদের বাধ্য হয়ে প্রশ্রয় দেয় তারা৷ এমনই একজন নারী সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানান, ঐ দুই নারীর একজনের সঙ্গে তার পরিচয় ছিল৷ তাই তাঁর এই মৃত্যু তাকে আতঙ্কিত করেছে, কিন্তু ১৩ বছর বয়সি সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে তিনি এ ধরনের কাজ চালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন৷ তবে মাদকাসক্ত কাস্টমার দেখলে এখন তিনি ভয় পান৷ এই রেড লাইট এশিয়ার বেশিরভাগ নারীকে হোটেলে গিয়ে কাস্টমারদের সঙ্গে রাত কাটাতে হয়৷ তাই এই নারী চান হোটেলে যাওয়ার আগে ঐ ব্যক্তির সম্পর্কে কিছু আগাম তথ্য যেন পান সেই ব্যবস্থা করতে৷ এক রাতের জন্য সর্বোচ্চ ১৯৩ ডলার আয় হয় তার৷

যে নারীদের হত্যা করা হয়েছে, তার মধ্যে নিংসির পরিবার খুব গরিব৷ ইন্দোনেশিয়ায় তাঁর একটি ছেলে রয়েছে৷ জুটিং-এর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল অনলাইনে৷ ঐ হত্যাকাণ্ডের পর নিংসির বাবা-মা এএফপিকে জানান, তারা জানতো তাদের মেয়ে এক রেস্তোঁরায় কাজ করে৷ প্রতিমাসে পরিবারকে ২৫০ ডলার পাঠাতো নিংসি৷

পেটের দায়ে যাঁরা এ কাজ করেন, তাঁদেরও কি আপনি খারাপ চোখে দেখেন? লিখুন নীচের ঘরে৷

এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান