1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এরশাদের বিচার হওয়া উচিত, বলেছে হাইকোর্ট

২৯ ডিসেম্বর ২০১০

সংবিধানের সপ্তম সংশোধনী বাতিল করে দেয়া হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার জন্য সাবেক সেনাশাসক এইচ.এম.এরশাদের বিচার হওয়া উচিত৷

https://p.dw.com/p/zr9m
এইচ.এম.এরশাদছবি: DW

আর এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জাতীয় সংসদকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন আদালত৷

গত ২৬শে আগষ্ট দেয়া এই রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি বুধবার প্রকাশ করা হয়েছে৷ সপ্তম সংশোধনী বাতিল হয়ে যাওয়ায় সংবিধান পুনর্মুদ্রণের জন্যও সরকারকে বলা হয়েছে৷

পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে যাতে সামরিক শাসন জারির চেষ্টা কেউ না করতে পারে সেজন্য অতীতে যারা সামরিক শাসন জারি করেছে তাদের বিচার করা উচিত৷ খন্দকার মোশতাক এবং জেনারেল জিয়ার অবৈধ সামরিক শাসনে উৎসাহিত হয়েই জেনারেল এরশাদ সামরিক শাসন জারি করেন বলে মন্তব্য করা হয়েছে ঐতিহাসিক এই রায়ে৷ এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানান, রায়ে বলা হয়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবৈধভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলকারীদের বিচারের নজির রয়েছে৷ বাংলাদেশেও সেই নজির স্থাপন করতে হবে৷ এজন্য এরশাদের বিচার হওয়া উচিত৷

তিনি জানান, মুক্তিযুদ্ধের মহান লক্ষ্য এবং আদর্শকে ভূলুন্ঠিত করে সংবিধানের চার মূল স্তম্ভকে ধ্বংস করে জারি করা সব সামরিক শাসনকেই ন্যক্কারজনক বলে অভিহিত করেছেন আদালত৷

সাবেক সেনা শাসক এরশাদের ক্ষমতাগ্রহণ এবং ১৯৮২ সাল থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত সব সামরিক ফরমান, আইন ও আদেশ-নির্দেশকে বৈধতা দানকারী সপ্তম সংশোধনী বাতিল করে হাইকোর্ট রায় দেয় গত ২৬শে আগষ্ট৷ হাইকোর্টের বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন এ রায় দেন৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক