1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এশিয়ার মানুষদের জন্য আকাশ উন্মুক্ত করছে স্বল্প খরচের বিমান

১৪ মার্চ ২০১১

কম ভাড়ায় এবং অল্প দূরত্বে চলাচল শুরু করায় এশিয়ার দেশগুলোর মানুষের সাধ্যের বাহন হতে চলেছে বিমান৷ আর একে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে বিমান সংস্থাগুলো৷

https://p.dw.com/p/10Yqu
ফাইল ছবিছবি: AP

এক দশক আগেও বিষয়টি ভাবা এত সহজ ছিল না৷ তখনও এশিয়ার ধনী ব্যক্তিই তাঁদের পরিবারকে নিয়ে সাগর তীরে বেড়াতে যেতেন বাসের ঝক্কি ঝামেলা পেরিয়ে৷ বিমান মানেই অনেক টাকা-পয়সার ব্যাপার৷ তাই বিমানে করে যেখানে সেখানে যাওয়ার কথা তাঁরা ভাবতেও পারতেন না৷ কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই৷ বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়৷ কারণ স্বল্প খরচের বিমান এই অঞ্চলে মানুষদের জন্য আকাশ ভ্রমণ উন্মুক্ত করে দিয়েছে৷

মালয়েশিয়া ভিত্তিক এয়ারলাইনস এয়ার এশিয়া যাত্রা শুরু করে ২০০১ সালে৷ এটি ছিল প্রথম বিমান সংস্থা, যেটি বিমানে চলাচল এশিয়ার মানুষজনের হাতের নাগালে নিয়ে আসে৷

বিমান নির্মাণ সংস্থা ‘এয়ারবাস' এর এশিয়া অঞ্চলের কমিউনিকেশন ডিরেক্টর সিয়েন লি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘যেসব লোকজন কোনদিন বিমানে ওঠেননি, এমনকি যারা গ্রামে বাস করেন এবং তাঁদের আত্মীয়-স্বজনদের দেখতে বারো ঘণ্টা ধরে বাসে চলাচল করতেন, তাঁরাও হঠাৎ করে বিমানে চলাচল শুরু করেন৷'' তিনি বলেন, চীন, ভারত এবং ইন্দোনেশিয়ার ক্ষেত্রেও যদি একই ব্যাপার ঘটে, তাহলে ভাবুন কী দারুণ বিষয় দাঁড়াবে৷''

এয়ারবাস ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, আগামী ২০ বছরের মধ্যে নতুন বিমানগুলোর এক তৃতীয়াংশই তারা বিক্রি করতে পারবে এই অঞ্চলে৷ এখনই কোম্পানিটির কাছে এই অঞ্চলের এক হাজারেরও বেশি বিমান সরবরাহ করার জন্য অর্ডার রয়েছে৷

‘এয়ার এশিয়া'র প্রধান টনি ফার্নান্ডেস বার্তা সংস্থা এএফপি'কে বলেছেন, ‘‘২০১১ সালে আমরা বিমান চলাচলের সীমানা এবং পথ আরও সম্প্রসারিত করবো৷ এবং আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে ভারত এবং চীনের বাজারে প্রবেশ করা৷''

এয়ারবাস আশা করছে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ভিত্তিক বিমান সংস্থা ‘এশিয়া-প্যাসিফিক' এর যাত্রী সংখ্যা প্রতি বছর ৫ দশমিক ৮ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যেখানে সারা বিশ্বে বৃদ্ধি পাচ্ছে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ হারে৷

এয়ারবাস এর মুখপাত্র সিয়েন লি বলেন, ‘‘২০০১ সালের দিকে ফিরে তাকালে দেখা যায়, এই অঞ্চলে কম ভাড়ার বিমান এয়ার বাস বলতে গেলে ছিলই না৷ অথচ এই দশকের শেষে যা বেড়ে দাঁড়াবে শতকরা ২০ ভাগ৷ এই বৃদ্ধি আসলেই অনেক দ্রুত৷''

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন