এশিয়া ২০১৫: যা যা ঘটে গেল
নেপালে ভূমিকম্প, মিয়ানমারে নির্বাচন, বাংলাদেশে ব্লগার হত্যা, এশিয়ায় কত কিছুই না ঘটেছে এই একটি বছরে!
৮ জানুয়ারি: শ্রীলঙ্কায় যুগাবসান
দশ বছর প্রেসিডেন্ট পদে থাকার পর মাহিন্দা রাজাপাকসে হারলেন বিরোধী রাজনীতিক মাইথ্রিপালা সিরিসেনার কাছে৷ আগস্ট মাসের সংসদীয় নির্বাচনে আবার একটি রাজনৈতিক কামব্যাকের প্রচেষ্টা করেন রাজাপাকসে – তবে ব্যর্থ হন৷ শ্রীলঙ্কায় এক নবযুগের সূচনা ঘটে৷
৩০ জানুয়ারি: পাকিস্তানে জুম্মাবারের নামাজে সন্ত্রাস
দক্ষিণ-পূর্ব পাকিস্তানের শিকারপুর শহরের একটি শিয়া মসজিদে বোমা আক্রমণে প্রাণ হারান ৬০ জনের বেশি মানুষ৷ পাকিস্তানি তালেবানের একটি দলছুট শাখা, সুন্নি চরমপন্থি জুনদু্ল্লাহ গোষ্ঠী এই আক্রমণের জন্য নিজেদের দায়ী বলে ঘোষণা করে৷
২৬ ফেব্রুয়ারি: ঢাকায় ব্লগার অভিজিৎ রায়কে হত্যা
বাংলাদেশি-মার্কিন ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় খুন হন ২৭ ফেব্রুয়ারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে৷ তাঁকে হত্যার মাধ্যমে উগ্রপন্থিরা বুঝিয়ে দেয় যে, নাস্তিকতা তারা কোনোভাবেই সহ্য করবে না৷ এরপর একে একে খুন হন ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু, অনন্ত বিজয় দাস, নিলয় চট্টোপাধ্যায় এবং প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন৷ এরা সকলেই অভিজিৎ রায়ের সঙ্গে বিভিন্নভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন৷
২৫ এপ্রিল: নেপালে ভূমিকম্প
নেপালে সাত দশমিক আট শক্তির ভূকম্পনে বহু গ্রাম মাটির সঙ্গে মিশে যায়৷ রাজধানী কাটমান্ডুও বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ ১২ মে আবার একটি সাত দশমিক দুই শক্তির ভূমিকম্প হয়৷ দু’টি বিপর্যয় মিলিয়ে প্রায় আট হাজার মানুষ প্রাণ হারান৷
১৪ জুলাই: ইরানের সঙ্গে পরমাণু বিরোধের সমাধান
তেহরানের রাস্তায় জনতার আনন্দ৷ ১৩ বছর বিরোধের পর ভিয়েনায় ইরান ও আন্তর্জাতিক ছয় শক্তির মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় (ছয় শক্তি বলতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্যদেশ ও জার্মানি)৷ তেহরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি ব্যাপকভাবে হ্রাস করতে সম্মত হয়, যার পরিবর্তে অর্থনৈতিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রত্যাহার করা হবে৷
১৭ আগস্ট: থাইল্যান্ডে সন্ত্রাস
রাজধানী ব্যাংককে একটি বোমা আক্রমণে বিশজন মানুষ নিহত হন – তাদের মধ্যে অনেক বিদেশি ছিলেন৷ আহত হন ১২০ জনের বেশি মানুষ৷ আক্রমণের পিছনে চীনের উইগুর উপজাতির হাত ছিল, বলে সন্দেহ করা হয়ে থাকে৷
৮ নভেম্বর: অং সান সু চি-র বিজয়
মিয়ানমারে গত ২৫ বছরের মধ্যে প্রথম নিরপেক্ষ সংসদীয় নির্বাচনে অং সান সু চি-র ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে৷ নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী সু চি ১৯৯০ সালের মুক্ত নির্বাচনেও জয়লাভ করেছিলেন৷ তখন সামরিক বাহিনী তাঁর সে জয়কে স্বীকার করে নেয়নি৷ জনগণের শ্রদ্ধার পাত্রী ‘লেডি’ ১৫ বছর কাটান গৃহান্তরীণ হয়ে৷