1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এসে গেল নেটে দেওয়া ছবি মুছে দেওয়ার জার্মান সফ্টওয়্যার

২৬ জানুয়ারি ২০১১

ইন্টারনেটে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছবি মুছতে পারবে এইরকম একটি প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটাচ্ছে একটি জার্মান প্রতিষ্ঠান৷ ফেসবুক, মাইস্পেস অথবা ফ্লিকারের মতো ওয়েবসাইটে একটি নির্দিষ্ট সময় পরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপলোড করা ছবি মুছে যাবে৷

https://p.dw.com/p/105NB
Facebook
ইন্টারনেটে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছবি মুছতে পারবে এই সফ্টওয়্যারছবি: dpa

এইরকমই একটি সফ্টওয়্যার উদ্ভাবনের উন্নয়ন ঘটাচ্ছে জার্মান প্রতিষ্ঠানটি৷ প্রায়ই যেসব ঘটনা ঘটে, যেমন কোন একটা ছবি হয়তো গোপন রাখা উচিত ছিল, কিন্তু সেটি কেউ পোস্ট করে দিল আর এতে লজ্জাজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়া কিংবা এই ধরণের ঘটনা বারবার ঘটাও একই সঙ্গে প্রতিহত করবে সফ্টওয়্যারটি৷

এক্স-পিরে-র প্রতিষ্ঠাতা মিশায়েল ব্যাকস বলেন, ব্যাবহারকারী ছবি আপলোড করার আগেই ছবিটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যাবার নির্ধারিত সময় সেট করে নিতে পারবেন৷ তবে কেউ যদি পরে ছবিটি আবারো দেখতে চান, তবে সার্ভারে ছবিটি ছবিটি যেখানে ‘এক্সপায়ার্ড' হয়েছে, সেখানে তাকে খুঁজতে হবে৷ ফেসবুকের মতো সামাজিক নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটগুলো থেকে ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীদের ছবি মুছে ফেলার অধিকার দেওয়ায় আছে৷তবে ব্যাকস বলেন, ‘‘কিন্তু অভিজ্ঞতা বলছে, তা তাঁরা কখোনোই করেন না৷'' তিনি বলেন, উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ফেসবুক ব্যাবহারকারীদের বেশিরভাগই ফেসবুকে প্রচুর ব্যাক্তিগত তথ্য দেন এবং সেই পাতায় আর ফিরে আসেন না এবং এক পর্য়ায়ে তাঁরা তাঁদের পাসওয়ার্ডও ভুলে যান৷''

সফ্টওয়্যারটি সেই সব মানুষের জন্যে তৈরি নয়, যারা জানেন কীভাবে তাদের ডাটা রক্ষা করতে হয়, বরং এই সফ্টওয়্যারটি তাদের জন্যেই তৈরি যারা সমস্য সামনে চলে এলে তার সমাধান করতে চান এবং পরে আর এসব নিয়ে চিন্তা করতে চান না৷ ব্যাকস জানান, সফ্টওয়্যারটি পরবর্তী কয়েকদিনের মধ্যেই পাওয়া যাবে এবং এর জন্যে প্রতি মাসে দুই ইউরো করে দিতে হবে৷

তবে তিনি জানান, তৃতীয় পক্ষের ছবি ডাউনলোড করা এবং সেগুলোকে সেভ করে রাখার মতো যেসব ব্যাপার নিয়ে ব্যাবহারকারীরা চিন্তিত এই সফ্টওয়্যারটিও সেই সব ব্যাপারে কিছু করতে পারবে না৷ ব্যাকস বলেন, ‘‘মানুষ যখন কোন ছবি অনলাইনে দেন তখন তারা সেগুলো দেখার জন্যেই দেন, আমাদের এই সফ্টওয়্যারটি সর্বরোগের ওষুধ নয় এবং সব কিছুর রক্ষাকবচও নয়৷''

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়