1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এ বছরেই পাকিস্তান যাচ্ছেন ওবামা

২৮ জানুয়ারি ২০১১

হোয়াইট হাউজের নতুন ‘সিচুয়েশন রুম’-এর বৈঠকে আফগানিস্তান পাকিস্তানের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ সিদ্ধান্ত, এ বছরেই একবার পাকিস্তান সফরে যাওয়ার৷ কথা হল সেনা ফেরানো নিয়েও৷

https://p.dw.com/p/106N6
সিচুয়েশন রুমের বৈঠকে ওবামা ও অন্যরাছবি: AP

সিচুয়েশন রুম৷ হোয়াইট হাউজের এই বিশেষ ঘরের নিরাপত্তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্রিস্টাল সিকিওরিটি'৷ খোলা বাংলায় যার অর্থ দাঁড়ায়, চরমেরও ওপরের মাত্রার নিরাপত্তা৷ তার কারণও আছে৷ সেটা হল, বিশ্বের বিভিন্ন গন্ডগোলের এলাকার যাবতীয় গোপন তথ্য এখানেই খতিয়ে দেখা হয়৷ সেখানেই গোপন বৈঠকে বসেছিলেন ওবামা৷

বৈঠকের উদ্দেশ্য অবশ্যই পাকিস্তান আফগানিস্তান৷ ওবামাকে বিশদে অবহিত করা হয়েছে এই দুটি দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি৷ মার্কিন বাহিনীর কার্যকলাপ, আফগানিস্তান থেকে সেনা ফেরানোর বিষয়ে যাবতীয় তথ্যাদি৷ শেষে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এ বছরেই পরের দিকে এক নিরাপত্তার বলয়ে ঘেরা সফরে পাকিস্তানে যাবেন বারাক ওবামা৷ বৈঠক শেষে সেকথাই সাংবাদিকদের জানান রবার্ট গিবস৷

হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র রবার্ট গিবস বৈঠকের পর যে বিষয়ে বেশি তথ্য দিয়েছেন তা স্বভাবতই আফগানিস্তান থেকে সেনা ফেরানোর বিষয়ে মার্কিন সিদ্ধান্তের বর্তমান অবস্থা৷ তবে এই নতুন বছরে অর্থাৎ ২০১১ সালে পাকিস্তান আফগানিস্তানে কী লক্ষ্য নিয়ে এগোবে যুক্তরাষ্ট্র, তা নিয়েও কথা হয়েছে সিচুয়েশন রুমের বৈঠকে৷

এর বাইরে রয়ে গেছে ২০১১-১২ সালের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে অবশিষ্ট লাখখানেক মার্কিন সেনা ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে কথাবার্তা৷ ন্যাটো যদিও বারবার বলেছে, ২০১৪ সালের আগে আফগানিস্তান থেকে সেনা ফিরিয়ে নেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না৷ কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য অন্য৷ তারা চাইছে দ্রুত নিজেদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়ার মত যোগ্য হয়ে ওঠা আফগান বাহিনীর হাতে তাদের দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে সেদেশ থেকে যাবতীয় সেনা ফিরিয়ে নিতে৷

কারণ, পরিসংখ্যান বলছে, আফগানিস্তানে তালেবানের পতনের পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ৭১১ জন বিদেশী সেনা তালেবানের হাতে মারা পড়েছে৷ তাদের মধ্যে সিংহভাগই অ্যামেরিকার৷ দেশের অভ্যন্তরের সেই সমস্যাকে আর বাড়াতে চান না বারাক ওবামা৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা