1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এ মাসেই আন্তর্জাতিক বাজারে আসছে আইপ্যাড

৮ মে ২০১০

অবশেষে আইপ্যাড ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন অ্যামেরিকার বাইরের মানুষ৷ এমাসেরই ২৮ তারিখ থেকে বাজারে পাওয়া যাবে এটি৷ তবে সব দেশে নয়৷

https://p.dw.com/p/NJHQ
ছবি: AP

প্রথম যেসব দেশের নাগরিকরা এটি ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছেন সেগুলো হলো অস্ট্রেলিয়া, ক্যানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, জাপান, স্পেন, সুইজারল্যান্ড ও ব্রিটেন৷ তবে সোমবার থেকেই এসব দেশের ক্রেতারা অনলাইনে আইপ্যাড কেনার জন্য অর্ডার করতে পারবেন৷

উল্লেখ্য, গতমাসের শেষ দিক থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারে আইপ্যাড পাওয়া যাবে বলে প্রথমে জানানো হয়েছিল৷ কিন্তু নির্মাতা কোম্পানি অ্যাপল বলছে, ক্রেতাদের কাছ থেকে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি সাড়া পাওয়ায় এক মাস দেরিতে এটি বাজারে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷

জুলাই মাস থেকে আরও কয়েকটি দেশে আইপ্যাড বিক্রি শুরু করবে অ্যাপল৷ এগুলো হলো অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, হংকং, আয়ারল্যান্ড, লুক্সেমবুর্গ, মেক্সিকো, হল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর৷

এদিকে অ্যামেরিকার বাজারে আসার মাত্র ২৮ দিনেই ১০ লক্ষেরও বেশি আইপ্যাড বিক্রি হয়েছে বলে অ্যাপল জানিয়েছে৷ এ বছরের মধ্যে প্রায় ৫০ লক্ষ আইপ্যাড বিক্রির আশা করছে কোম্পানিটি৷ উল্লেখ্য, এপ্রিলের ৩ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আইপ্যাড বিক্রি শুরু হয়৷

কেন আইপ্যাড নিয়ে এতো মাতামাতি? কী আছে এই আইপ্যাডে? বরং তার চেয়ে বলুন কী নেই এতে৷ ৯.৭ ইঞ্চি টাচ স্ক্রিনের এই ডিভাইসটিতে রয়েছে গান শোনা, ভিডিও দেখা, গেমস খেলা, ইন্টারনেট ব্রাউজ করা ও ই-বুক পড়ার সকল সুবিধা৷ আইপড ও আইফোনের দেড় লাখ অ্যাপ্লিকেশনের প্রায় সবগুলোই রয়েছে এতে৷ এছাড়া থাকছে ওয়্যারলেস ওয়াইফাই ইন্টারনেট কানেকশন সুবিধা৷ আরও আছে থ্রিজি সেলুলার নেট কানেকশন সুবিধা৷

আর দাম? যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ১৬ গিগাবাইট ফ্ল্যাশ মেমারি এবং ওয়াই-ফাই সক্ষমতাসহ ‘আইপ্যাড' এর ‘বেস' সংস্করণ এর দাম ধরা হয়েছে ৪৯৯ ডলার৷ আর ‘থার্ড জেনারেশন' প্রযুক্তি সম্বলিত ৬৪ গিগাবাইট ফ্ল্যাশ মেমারি এবং ওয়াই-ফাই সক্ষমতার ‘আইপ্যাড' এর দাম ৮২৯ ডলার৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন