1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ওবামার আমন্ত্রণে ওয়াশিংটনে সমবেত বিশ্ব নেতৃবৃন্দ

১৩ এপ্রিল ২০১০

ওয়াশিংটনে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে পারমানবিক নিরাপত্তা বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলন৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমন্ত্রণে ৪৬টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/MupU
সম্মেলনে আগত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক শেষে হোয়াইট হাউসে ফিরে যাচ্ছেন ওবামাছবি: AP

পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব

১৯৪৫ সালের পর কোন রাষ্ট্রপ্রধানের উদ্যোগে এতবড় আন্তর্জাতিক শীর্ষ সম্মেলন এই প্রথম অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ উল্লেখ্য, ১৯৪৫ সালের আন্তর্জাতিক সম্মেলনটিও হয়েছিল তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্টের আহ্বানে, জাতিসংঘ গঠন উপলক্ষে৷ সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ওয়াশিংটনের কনভেনশন সেন্টারে একে একে আগত রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের স্বাগত জানান৷ এসময় তিনি সরাসরি বৈঠক করেন চীন, ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা সহ বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে৷ বিশ্বের সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর হাতে যাতে পরমাণু অস্ত্র যেতে না পারে তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যেই এই সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা৷ এই ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিশ্বে পরমাণু অস্ত্রের নানা উপাদান ছড়িয়ে পড়েছে৷ তাই এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হলো, পরমাণু অস্ত্রের উপাদানগুলোকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসা৷'

Iran Uranaufbereitungsanlage in Isfahan
সম্মেলনের অন্যতম আলোচ্য বিষয় ইরানের পরমাণু কর্মসূচীছবি: AP

টার্গেট ইরান

তবে সম্মেলনে যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্ব পেতে যাচ্ছে তা হলো ইরানের পরমাণু কর্মসূচী৷ বলাই বাহুল্য, ইরানকে এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানাননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা৷ সম্মেলনে পরমাণু অস্ত্র সম্প্রসারণ নিষিদ্ধ করা ছাড়াও পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে সক্ষম এমন বেসামরিক তৎপরতাও নিষিদ্ধ করার বিষয়টি আসবে৷ এবং সে প্রসঙ্গে ইরানের পরমাণু কর্মসূচীও তালিকায় থাকছে৷ উল্লেখ্য, পশ্চিমা বিশ্বের সন্দেহের জবাবে ইরান দাবি জানিয়ে আসছে যে তাদের পরমাণু কর্মসূচী বেসামরিক কাজের জন্য৷

চীনের সম্মতি আদায়ে চেষ্টা

এদিকে সোমবার চীনা প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও এর সঙ্গে ওবামার বৈঠকটি বেশ গুরুত্ব পায়৷ দুই নেতাই এসময় পরমাণু ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করার পক্ষে মত দেন৷ যদিও বৈঠক শেষে দুই দেশের পক্ষ থেকে দুই ধরণের বক্তব্য এসেছে৷ হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তা জেফ বাডের জানিয়েছেন যে ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে সহায়তা করতে রাজি হয়েছে চীন৷ অন্যদিকে চীনা দলের মুখপাত্র মা ঝাসু বলেন, চীন আশা করে যে ইরানের পরমানু কর্মসূচীর ব্যাপারে সুরাহা করতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো কূটনৈতিক উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে৷

এদিকে সম্মেলন শুরু হবার কিছু আগে ইউক্রেন ঘোষণা দেয় যে তারা আগামী বছরের মধ্যে তাদের সকল সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম সরিয়ে ফেলবে৷ ইউক্রেনের এই ঘোষণা সম্মেলনের লক্ষ্যকে আরও জোরালো করে তুলবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা৷

প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা