1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ওবামার জার্মানি সফর

২১ জুন ২০১৩

২০০৮ সালে যখন ওবামা প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে বার্লিনে আসেন, তখন দু’লাখ মানুষ তাঁকে পপস্টার সুলভ সম্বর্ধনা জানায়৷ এবার তিনি এসেছিলেন প্রেসিডেন্ট ও বন্ধু হিসেবে৷ অথচ তাঁর ফিরে যাওয়ার আগেই শোনা যাচ্ছে নানা সমালোচনা৷

https://p.dw.com/p/18tgP
U.S. President Barack Obama (L) and First Lady Michelle wave as they board Air Force One to depart from Berlin June 19, 2013. Obama's first presidential visit to Berlin comes nearly 50 years to the day after John F. Kennedy landed in a divided Berlin at the height of the Cold War and told encircled westerners in the city "Ich bin ein Berliner", a powerful signal that America would stand by them. REUTERS/Thomas Peter (GERMANY - Tags: POLITICS)
ছবি: Reuters

মুক্ত জনতার পরিবর্তে ব্রান্ডেনবুর্গ তোরণে চার হাজার বাছাই অতিথির সামনে প্রদত্ত ভাষণ, কাচের বেষ্টনীর পিছনে৷ একে দুর্ধর্ষ গরম, তার ওপর টেলিপ্রম্পটার কাজ করছে না৷ এই পরিস্থিতিতে পঞ্চাশ বছর আগে প্রেসিডেন্ট কেনেডি যেভাবে ‘‘আমি একজন বার্লিনবাসী'' বলে জার্মানদের মন কেড়েছিলেন; কিংবা তারপর প্রেসিডেন্ট রেগান তৎকালীন সোভিয়েত প্রধান মিখাইল গর্বাচভের প্রতি বার্লিন প্রাকার ভেঙে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন – সে ধরনের কোনো ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মতো বাক্য দৃশ্যত ওবামার স্পিচ রাইটারদের মাথায় এবার আসেনি৷ ওবামা তাঁর ২৪ ঘণ্টার বার্লিন সফর সমাপ্ত করে আবার এয়ার ফোর্স ওয়ানে আকাশে ওঠার আগেই জার্মান পত্রপত্রিকাগুলিতে যে ধরনের মন্তব্য ও ভাষ্য প্রকাশিত হতে শুরু করেছে, তা থেকে সেই ধারণাই হতে পারে৷

‘শোয়েবিশে সাইটুং' লিখছে:

‘‘একজন অ্যামেরিকান যখন ব্রান্ডেনবুর্গ তোরণের সামনে ভাষণ দেন, তখন জার্মানরা এবং বিশেষ করে বার্লিনবাসীরা তাঁর কাছে বিরাট কিছু একটা প্রত্যাশা করে৷....সেই কারণেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পক্ষে আমাদের সকলের প্রত্যাশা পূরণ করা সম্ভব ছিল না৷....ইউরোপ ওবামার কাছে কখনো বাস্তবিক গুরুত্বপূর্ণ ছিল না৷....তাঁর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা যে, এবার রুশীদের সঙ্গে আণবিক অস্ত্র কমানো নিয়ে কথাবার্তা বলা হবে, সেটাও ছিল দায়সারা৷''

‘নয়ে অসনাব্রুকার সাইটুং':

‘‘(ওবামার) এই সফরে কোনো চমক ছিল না৷....পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ শুনতে ভালো লাগে, কিন্তু (তা) অস্ত্রভাণ্ডারের ধ্বংসের শক্তি সম্পর্কে কিছু বলে না৷ বিশ্বকে পাঁচবার ধ্বংস করার মতো শক্তি থাকাটা বিশ্বকে দশবার ধ্বংস করার মতে শক্তি থাকার চেয়ে খুব বেশি ভালো নয়৷ কম অস্ত্র দিয়ে যদি একই কাজ হয়, তাহলে দৃশ্যত ব্যয় সাশ্রয়ই মূল উদ্দেশ্য, বিশ্বশান্তি নয়৷ প্রেসিডেন্ট (ওবামা) বাস্তববাদী, আদর্শবাদী নন৷ স্বাধীনতার মতো উচ্চ আদর্শ নিয়ে কথা বলে, কিংবা বার্লিন আর মিয়ানমারের মধ্যে কষ্টকর তুলনা দেবার চেষ্টা করে সেই সত্যটা ঢাকা দেওয়া যায় না৷''

‘লুডভিগসবুর্গার ক্রাইজসাইটুং':

‘‘এটা পরিষ্কার যে, ওয়াশিংটনের কাছে আণবিক অস্ত্রের কৌশলগত গুরুত্ব এমনিতেই কমে এসেছে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আজ চালকবিহীন ড্রোন আর ইন্টারনেট সহযোগে ‘আধুনিক যুদ্ধ' চালায়৷ যে প্রেসিডেন্ট তাঁর প্রথম কর্মকালের সূচনাতেই অগ্রিম পাওনা হিসেবে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন, তাঁর পক্ষে এটা খুব সম্মানজনক নয়৷''

‘স্টুটগার্টার সাইটুং':

‘‘বারাক ওবামা (জানতেন), বিশেষ করে বার্লিনে তাঁকে ২০০৮ সালের সফরের সেই সর্বজনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর সঙ্গে তুলনা করে হবে৷ আজ তিনি সেই নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী, যিনি গুয়ান্টানামোতে বন্দিদের উপর উত্তরোত্তর অত্যাচার হতে দেন৷ তিনি হলেন ওয়াশিংটনের ‘বিগ ব্রাদার', যিনি ইন্টারনেট থেকে গোপন তথ্য সংগৃহীত হতে দেন৷ যিনি তাঁর যাবতীয় গালভরা প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও, মধ্যপ্রাচ্যে সম্প্রীতি আনার পথে বিশেষ প্রগতি অর্জন করতে পারেননি৷''

এসি/ডিজি (ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য