1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ওবামা-ক্যামেরন বৈঠকে লকারবি ও আফগানিস্তান প্রসঙ্গ

২১ জুলাই ২০১০

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ডেভিড ক্যামেরনের এটিই প্রথম আমেরিকা সফর৷ বৈঠক করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সাথে৷ উঠে আসল বিপি, লকারবি হামলার অভিযুক্ত মেগরাহি, আফগানিস্তান যুদ্ধ এবং অর্থনৈতিক মন্দা প্রসঙ্গও৷

https://p.dw.com/p/OQQK
ব্রিটিশ, ডেভিড, ক্যামেরন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট, বারাক ওবামা, আমেরিকা President, Barack Obama and British Prime Minister David Cameron, White House, Washington
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাছবি: AP

প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠক করেন ওবামা ও ক্যামেরন৷ ক্যামেরনকে হোয়াইট হাউস ঘুরে দেখান ওবামা৷ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের গণ্ডিতে পৌঁছে পরস্পরকে সম্বোধন করেন ডেভিড এবং বারাক নামে৷ বলে রাখা ভালো, ওবামা এখন ৪৮ আর ক্যামেরনের চলছে ৪৩ বছর৷ নিজেদের শহরের বিয়ার থেকে শুরু করে বাচ্চাদের ঘরের বিশৃঙ্খল অবস্থার কথাও উঠে আসে দুই নেতার খোশ গল্পে৷ তারপরও বৈঠকে জায়গা করে নিয়েছে আফগানিস্তান যুদ্ধ, মেক্সিকো উপসাগরে তেল বিপর্যয় আর মেগরাহির মুক্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ৷

আফগানিস্তানে নিহত ব্রিটিশ এবং মার্কিন সৈন্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান ওবামা এবং ক্যামেরন৷ এছাড়া দুই নেতাই জোর দিয়ে বলেন যে, আফগানিস্তানে তাঁদের নীতি কৌশল এখনও ফলপ্রসূ৷ বারাক ওবামা বলেন, ‘‘সেখানে আমাদের সঠিক কৌশল রয়েছে৷ আমরা তালেবান গোষ্ঠীর শক্তি ভেদ করতে যাচ্ছি৷ আমরা আফগান বাহিনীর সামর্থ্য বাড়াতে কাজ করছি৷ ফলে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীই ভবিষ্যতে নিজেদের দায়িত্ব নিতে পারবে৷'' গত বছরও আফগানিস্তানে সৈন্য বৃদ্ধির পরিকল্পনা ছিল বারাক ওবামার৷ তবে এবার ২০১১ সালের জুলাই মাসের মধ্যেই অন্তত কিছু সৈন্যকে ঘরে ফিরিয়ে আনার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন ওবামা৷ এদিকে, ক্যামেরন চান আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সেখান থেকে ব্রিটিশ সৈন্য প্রত্যাহার করতে৷

স্কটল্যান্ডের লকারবির আকাশে মার্কিন বিমানে হামলার দায়ে অভিযুক্ত আসামী মেগরাহির মুক্তির নিন্দা জানালেন দুই নেতাই৷ ১৯৮৮ সালের ঐ হামলায় নিহত হয়েছিল ২৭০ জন৷ লিবীয় নাগরিক আব্দেল বাসেত আল মেগরাহির মুক্তি প্রসঙ্গে ক্যামেরন বলেন, ‘‘এক বছর আগেই আমি বলেছি যে, এটা একটা খারাপ সিদ্ধান্ত৷ এটা মোটেও উচিত হয়নি৷ সে হামলার শিকার ব্যক্তিদের প্রতি কোন সমবেদনাও জানায়নি৷ তাদেরকে আত্মীয়-স্বজনের মাঝে নিজ ঘরের বিছানায় মরতে দেওয়া হয়নি৷ তাই আমার মতে, এই উদাসীন খুনীকে বিলাসবহুল জীবন উপহার দেওয়াটা উচিত হয়নি৷ আর তার মুক্তির সিদ্ধান্ত বিপি নেয়নি, বরং এটা ছিল স্কটিশ সরকারের সিদ্ধান্ত৷''

অবশ্য মেগরাহির মুক্তির সাথে ব্রিটিশ তেল কোম্পানি বিপি'র জড়িত থাকার বিষয়ে নতুন করে কোন তদন্তের বিষয় নাকচ করে দিয়েছেন ক্যামেরন৷ এছাড়া মেক্সিকো উপসাগরে তেল বিপর্যয়ের ব্যাপারে ক্যামেরন বলেন, এই ঘটনায় মার্কিন অসন্তোষের ব্যাপারে তিনি সচেতন৷ তবে বিপি'র সামর্থ্য বাড়ানোর মধ্যে জড়িত রয়েছে দুই দেশেরই স্বার্থ৷ এখন এই তেল বিপর্যয় ঠেকানো বিপি'রই দায়িত্ব এ ব্যাপারে একমত প্রকাশ করেন ক্যামেরন৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম