1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরমাণু চুক্তি নিয়ে বিবাদ

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)১৮ মে ২০১৮

ইরানের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার চাপ সামলাতে ইউরোপীয় কোম্পানিগুলির সহায়তার উদ্যোগ নিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ অন্যদিকে ওয়াশিংটন ইরানের সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী জোট গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/2xv3u
এমানুয়েল মাক্রোঁ ও জঁ ক্লোদ ইয়ুংকার
ছবি: Reuters/Y. Herman

ওয়াশিংটন ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি বাতিল করার ফলে সে দেশের সঙ্গে ইউরোপের সংঘাতের আশঙ্কা বেড়ে চলেছে৷ অ্যামেরিকার নিষেধাজ্ঞার ভয়ে ইউরোপের অনেক কোম্পানি এখনই ইরান থেকে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলার তোড়জোড় করছে৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ অবশ্য বিষয়টি নিয়ে অ্যামেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের কোনো আশঙ্কা দেখছেন না৷ তাঁর মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপের কোম্পানিগুলিকে ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনলেও মার্কিন কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে ইউরোপের পালটা পদক্ষেপ নেবার কোনো অর্থ হয় না৷ উল্লেখ্য, বর্তমান অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে ফ্রান্সের টোটাল কোম্পানি ইরানে এক গ্যাস প্রকল্প থেকে প্রত্যাহারের হুমকি দিয়েছে৷

বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন শীর্ষ সম্মেলনে ইরান চুক্তির প্রশ্নে জোরালো ঐক্য দেখা গেছে৷ এমনকি প্রয়োজনে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সংঘাতের পথে যেতেও প্রস্তুত ইউরোপীয় নেতারা৷ ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞার পালটা জবাব হিসেবে ইউরোপ বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ বিবেচনা করছে৷ যেমন ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞা মানলে ইইউ-ভিত্তিক কোম্পানিগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা হবে৷

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জঁ ক্লোদ ইয়ুংকার জানিয়েছেন, শুক্রবারই ‘ব্লকিং স্ট্যাটিউট' নামের আইন চালু করার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে৷ উল্লেখ্য, এখনো পর্যন্ত এই আইন প্রয়োগ করা হয়নি৷ তাই এই পদক্ষেপের কার্যকারিতা নিয়ে অনেক মহলে সংশয় রয়েছে৷ বিশেষ করে গোটা বিশ্বে বাণিজ্যিক ও আর্থিক ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যের আলোকে ইউরোপের কোনো একক পদক্ষেপ ইউরোপীয় কোম্পানিগুলির জন্য কতটা সহায়ক হবে, তা স্পষ্ট নয়৷ ফলে তারা মার্কিন চাপের মুখে আন্তর্জাতিক স্তরে নানা বাধার মুখোমুখি হতে পারে৷

ইরান চুক্তি বাতিল করে একঘরে হয়ে পড়লেও মার্কিন প্রশাসন তেহরানের সরকার ও ‘স্থিতিশীলতা বিপন্ন করতে তাদের কার্যকলাপ'-এর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী এক জোট গঠন করতে চায়৷ মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এই উদ্যোগের রূপরেখা তুলে ধরবেন৷ নতুন এই উদ্যোগের মূলমন্ত্র হলো, ইরানের সরকার শুধু আঞ্চলিক স্তরে নয়, গোটা বিশ্বের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে – এই বাস্তব সবার কাছে স্পষ্ট করে দেওয়া হবে৷ মার্কিন প্রশাসন ইরানের সরকারের বিরোধিতা করলেও সে দেশের জনগণের পাশে রয়েছে৷ ২০১৪ সালে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রায় ৭৫টি দেশের যে জোট সৃষ্টি করা হয়েছিল, সেই আদলে ইরানের বর্তমান সরকার-বিরোধী জোট সৃষ্টি করতে চায় ওয়াশিংটন৷