1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কনকনে ঠান্ডা ফুটবলারদের চাঙ্গা করে তোলে

৬ ডিসেম্বর ২০১৬

ইউরোপে ফুটবল মরসুম মানেই ব্যস্ততায় ভরা৷ একাধিক প্রতিযোগিতায় খেলতে গিয়ে ক্লাবের পেশাদারী খেলোয়াড়রা বিশ্রাম পান না৷ চোট বা ক্লান্তি দূর করতে তাই কাজে লাগানো হচ্ছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি৷

https://p.dw.com/p/2Tkfk
UEFA EURO 2016 Training Deutsches Team in Evian-Les Bains Manuel Neuer
ছবি: picture-alliance/dpa

বায়ার লেভারকুজেন ক্লাবের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের স্পিডকোর্টে গতিই মূল বিষয়৷ ক্রীড়াবিজ্ঞানী কারস্টেন রাডামাখার বলেন, ‘‘এরপর আমরা এক ‘ট্যাপিং টেস্ট' করবো৷ দু'টি পা সাদা অংশে রাখতে হবে৷ ৬ সেকেন্ডে যতটা সম্ভব মাটির সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ করতে হবে৷''

কৃত্রিম কাচের নীচে বিশেষ প্লেট রয়েছে৷ গোলকিপার নিকলাস লম্ব-এর লাফানোর গতির উন্নতির প্রয়োজন৷ গোলকিপার অসাধারণ পারফর্মেন্স দেখালেন৷ কিন্তু কোচ আরও একটি পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছেন৷ কারস্টেন রাডামাখার বলেন, ‘‘এবার এক কাউন্টডাউন হবে – ৩, ২, ১ তারপর বিভিন্ন সংখ্যা জ্বলে উঠবে৷ দৌড়ে গিয়ে সেগুলি ছুঁতে হবে৷ ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে যতবার সম্ভব এটা করতে হবে৷''

যে কোনো পেশাদারী গোলকিপারকে দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখাতে হয়৷ ঘুমের মধ্যেও নিরাপদে লাফানোর ক্ষমতা তার থাকা উচিত৷ দ্রুত দিক-বদলের ক্ষমতাও অপরিহার্য৷ কর্মসূচি শেষ করতে সিমন রল্ফেস মুখোশ, উলের টুপি ও দস্তানা পরে ফেললেন৷ শীতল চেম্বারে মেরু প্রদেশের মতো শীতল পরিবেশে এ সব দরকার৷ কারস্টেন রাডামাখার বলেন, ‘‘শীতল চেম্বারের বড় সুবিধা হলো, খেলোয়াড়রা সহজে ও দ্রুত সেরে উঠতে পারেন৷ বিশেষ করে প্রায় একই সময়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, জার্মান বুন্ডেসলিগা আর জার্মান কাপ প্রতিযোগিতা চলে বলে দ্রুত ফর্মে ফেরা জরুরি৷''

একটি চেম্বার থেকে অন্যটিতে ঢুকলে শীতের মাত্রা বেড়ে যায়৷ চারিদিক অস্পষ্ট হয়ে উঠছে৷ তৃতীয় চেম্বারে রল্ফেস মাইনাস ১১০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ৩ মিনিট ধরে কাঁপেন, তবে পরে বেশ তাজা বোধ করেন৷ তবে সাবধানতার খাতিরে ক্লোজড সার্কিট টিভিতে খেলোয়াড়দের মনিটর করা হয়৷ চরম শীতল তাপমাত্রায় শুধু বাইরের ধমনী সঙ্কুচিত হয়৷ অনেকটা বরফের মতো জলে স্নান করার মতো অভিজ্ঞতা৷ প্রত্যেক ম্যাচ ও প্রশিক্ষণ সেশনের পর ফুটবলাররা আইস চেম্বার ব্যবহার করেন৷ চোট লাগার পর বরফের মতো তাপমাত্রা আরও দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে৷ পেশাদারী ফুটবলার হিসেবে সিমন রল্ফেস বলেন, ‘‘চেম্বারের মধ্যে অভিজ্ঞতা তেমন মধুর হয় না, কিন্তু বেরিয়ে আসার পর সত্যি গরম লাগে৷ অনেকটা সনা-র মতো, তবে এখানে ব্যাপারটা উলটো হয়৷ রিজেনারেশনের জন্য আদর্শ৷''

বায়ার লেভারকুজেন ক্লাবের খেলোয়াড়রা অসাধারণ মেডিকাল সুযোগসুবিধা ভোগ করেন৷ কোনো পেশাদারী ফুটবলারের দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের জন্য এটা অত্যন্ত জরুরি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান