1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জামায়াতের অপতৎপরতা

২৩ অক্টোবর ২০১৩

এক ব্লগার মনে করেন ২৫শে অক্টোবরকে সামনে রেখে জামায়াত বড় কিছু ঘটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ অতীতের মতো আবারও জঙ্গিরা দেশব্যাপী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে তাঁর প্রশ্ন – ‘কবে প্রশাসনের টনক নড়বে?'

https://p.dw.com/p/1A56q
ছবি: Strdel/AFP/Getty Images

২৫শে অক্টোবর সরকারি ও বিরোধী দল পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করায় রাজনীতির ময়দান এখন উত্তপ্ত৷ এ প্রসঙ্গে আমারব্লগে এ হুসাইন মিন্টু লিখেছেন ‘মরণ কামড় দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াতি জঙ্গিরা'

সেখানে জামায়াতে ইসলামীর অতি সাম্প্রতিক অপতৎপরতার কথা জানাতে গিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘‘মঙ্গলবার মধ্যরাতে চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানার রসূলবাগ আবাসিক এলাকায় জামায়াত কর্মীর বাসায় বোমা বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে! এই ঘটনার পর জামায়াত কর্মী, জঙ্গি নসরুল্লাহ পালিয়ে গেছে! তার মেঝ ভাই আসাদুল্লাহ ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করেছে৷

নসরুল্লাহর বাবা ইসলামি ব্যাংকের কর্মকর্তা, বড় ভাই ফয়জুল্লাহ মাদ্রাসা শিক্ষক ও মেঝ ভাই আসাদুল্লাহ সক্রিয় জামায়াত কর্মী৷ নসরুল্লাহ আগে শিবিরের ক্যাডার ছিল, পরে সে জামায়াতের মূল রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়৷ তার প্রায় এক সপ্তাহ আগে চট্টগ্রামের এক মাদ্রাসায় বোমা বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল৷ পরে দেখা গেল মাদ্রাসাটি মূলত বোমা বানানোর কারখানা ছিল৷ পুলিশ সেখান থেকে বিপুল পরিমাণে বোমা বানানোর সরঞ্জাম উদ্ধার করলেও পালিয়ে গিয়েছে জঙ্গি মুফতি ইজাহার৷ গতরাতের ঘটনার পর নসরুল্লাহর বাসা থেকেও অর্থাৎ ঘটনাস্থল থেকে গান পাউডারসহ এমন বিস্ফোরক দ্রব্য জব্দ করা হয়েছে যা দিয়ে হ্যান্ড গ্রেনেড তৈরি করা হয়৷''

Bangladesch Proteste nach Ghulam Azam Urteil 15.07.2013
এমন পরিস্থিতিতে পুলিশ ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা শঙ্কা জাগানোর মতোছবি: Reuters

চট্টগ্রামের ঘটনাটির প্রসঙ্গে এ হুসাইন মিন্টু আরো লিখেছেন, ‘‘চট্টগ্রামে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে বারবার৷ আবাসিক এলাকার মতো জনগুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যদি এমন রোমহর্ষক ঘটনা ঘটে, তাহলে পুলিশের জঙ্গি বিরোধী তত্পরতা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন জাগে মনে৷ সহজেই অনুমান করা যায় চট্টগ্রামের গোয়েন্দা বিভাগের কার্যক্রম কত দুর্বল৷ বিস্ফোরণের মতো ভয়ংকর ঘটনা ঘটার পরই কেন পুলিশ খবর পায়? আগে কেন নয়? এসব প্রশ্ন করা কি খুবই অনুচিত হবে? যেসব জায়গায় এমন ঘটনা ঘটার আশঙ্কা আছে, মাদ্রাসাসহ সেইসব জায়গাগুলোকে কেন এতদিনে পুলিশ অথবা গোয়েন্দা নজরদারিতে আনা গেল না? এ ব্যাপারে কবে প্রশাসনের টনক নড়বে? এসব ঘটনায় যদি কারো প্রাণনাশের মতো ঘটনা ঘটে, সেই দায়িত্ব কে নেবে ?'

এ জে হুসাইন মিন্টু মনে করেন এসব ঘটনার সঙ্গে বিরোধী দলের ২৫শে অক্টোবরের কর্মসূচির সম্পর্ক রয়েছে৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘এসব জঙ্গি তত্পরতা নিশ্চয় ২৫শে অক্টোবরকে সামনে রেখে চালানো হচ্ছে, স্বাধীনতা বিরোধীরা ও জামায়াতি জঙ্গিরা ভেতরে ভেতরে মরণ কামড় দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, এসব দেখার জন্য সরকার বা প্রশাসনের কোনো অঙ্গ প্রতঙ্গ কাজ করছে বলে মনে হচ্ছে না৷ জামাতের ব্যাপারে সরকার কেন এত উদাসীন, তা কিছুতেই বোধগম্য হচ্ছে না৷ শত্রুকে মিত্ররূপে দেখা বা দুর্বল ভাবা বোকামি বৈ আর কিছু না৷ সরকার বারবার কেন এই বোকামির পরিচয় দিচ্ছে? এই জঙ্গিদের সবসময় মূল টার্গেট থাকে শেখ পরিবার তথা শেখ হাসিনা৷ অতীতে আমরা তার অনেক নজির দেখেছি৷ পনেরোই আগস্ট ও একুশে আগস্ট এখনো আমাদের মনে ক্ষত হয়ে আছে৷ পনেরো-ই আগস্ট বা একুশে আগস্টের মতো ভয়ংকর দিন আমরা আর কখনো দেখতে চাই না৷ কিন্তু পুলিশ ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা বারবার আমাদের মনে শঙ্কা জাগাচ্ছে৷ একুশে আগস্ট বা পনেরোই আগস্টের মতো আরেকটি অনাকাঙ্খিত সর্বনাশা ঘটনা ঘটার পরই কি প্রশাসন বা সরকারের টনক নড়বে?''

সংকলন : আশীষ চক্রবর্ত্তী

সম্পাদনা : জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য