1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কমনওয়েলথ গেমসের জন্য প্রস্তুত নেহেরু স্টেডিয়াম

২৭ জুলাই ২০১০

কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের সব ঠিকঠাক করতে দুই মাসের অল্প কিছু সময় বেশী রয়েছে ভারতের হাতে৷ নতুন দিল্লি শহরে ২০১০ সালের ৩রা থেকে ১৪ই অক্টোবর পর্যন্ত কমনওয়েলথ গেমস অনুষ্ঠিত হবে৷

https://p.dw.com/p/OVr5
কমনওয়েলথ গেমস’এর প্রস্তুতিকে ঘিরে বিতর্ক এখনো কাটছে নাছবি: UNI India

কিন্তু প্রস্তুতি যেভাবে চলছিল, তাতে ঠিক সময় কাজ শেষ হবে কি না, সেবিষয়ে দেখা দিয়েছিল বেশ সন্দেহ৷

আর সন্দেহের পাল্লায় একটি ভারি বাটখারা তুলে দিয়েছিলেন খোদ কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশনের সভাপতি মাইকেল ফেনেল৷ তিনি সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড.মনমোহন সিং-কে এক চিঠিতে জানালেন, গেমসের প্রস্তুতি সম্পর্কে গভীর সংশয় রয়েছে তাঁর৷ তাই এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ৷

Baustelle in Indien
প্রায় এক বছর আগেও হকি স্টেডিয়ামের অবস্থা এমন ছিলছবি: AP

ফেনেলের কথায়, মূল ভেন্যু, মানে নতুন দিল্লির জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়াম গেমসের জন্য মোটেও প্রস্তুত নয়৷ কিন্তু সেই সন্দেহের আগুনে আজই পানি ঢেলে দিয়েছে ভারতের কমনওয়েলথ গেমস কমিটি৷ জানিয়ে দিয়েছে, জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়াম গেমসের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত৷ এতে ভারতের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রী এম এস গিল একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন যেন৷ এদিকে খোদ কংগ্রেস নেতা মণি শঙ্কর আয়ার এক বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেছেন, কমনওয়েলথ গেমস সফল হলেই তিনি অসন্তুষ্ট হবেন৷ তাঁর মতে, এমন বড় আকারের প্রতিযোগিতা আয়োজন করলে আখেরে তার ফল মোটেই ভালো হয় না৷

প্রায় ৯৬১ কোটি ভারতীয় টাকা খরচ হয়েছে এই স্টেডিয়ামকে কমনওয়েলথ গেমসের জন্য প্রস্তুত করতে৷ ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এটি৷ এক কথায় পুরানো কিন্তু ঐতিহাসিক এই স্টেডিয়ামের মেরামত, নতুন করে সাজানো, সুন্দর করে তোলা – নানা কাজে তো সময় লাগবেই, ভাষ্য কমিটির৷ মূলত স্টেডিয়ামের দুই প্রান্তের মধ্যে একটি টানেল নির্মাণ করার জন্যই একটু বেশি সময় লেগেছে বলে জানা যায়৷ মূলত এই টানেল দিয়ে গেমসের উদ্বোধনী এবং সমাপনী দিনে অংশগ্রহণকারী ক্রীড়াবিদরা স্টেডিয়ামের মূল মাঠে ঢুকতে এবং বেরুতে পারবেন৷ প্রায় ৪ লাখ ৫ হাজার বর্গ মিটারের এই স্টেডিয়ামে ষাট হাজার দর্শক এক সঙ্গে বসে খেলা উপভোগ করতে পারবেন৷

Flughafen Neu-Delhi weiht neues Terminal ein
গেমস’এর ঠিক আগে চালু হয়ে গেছে বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালছবি: AP

সব প্রস্তুতির সঙ্গে এখন সবচেয়ে আগে যে বিষয়টি দেখা হচ্ছে, তা হলো নিরাপত্তা৷ তবে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হবে পুরো নতুন দিল্লিকে৷ আর সে কাজ ইতিমধ্যে শুরুও হয়ে গেছে বলে দাবি তাদের৷ গেমস পল্লী ও শহর এলাকার নিরাপত্তা বিধানের জন্য ৮২ হাজারেরও বেশি পুলিশ ইতিমধ্যেই মোতায়েন করা হয়েছে৷ পুলিশ বিভাগে খোলা হয়েছে কমনওয়েলথ গেমস অ্যান্ড প্ল্যানিং (সিডব্লিউজিপি) সেল৷ পুলিশের বাইরেও প্যারামিলিটারি সদস্য এবং কমান্ডো বাহিনী এ সময় নিযুক্ত থাকবে বলে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতিমধ্যেই৷ সবকিছু মিলিয়ে প্রায় এক লাখ নিরাপত্তা কর্মী এ সময় দায়িত্ব পালন করবেন৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন