1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কমনওয়েলথ গেমস নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক

২৩ সেপ্টেম্বর ২০১০

কমনওয়েলথ গেমসের প্রস্তুতি নিয়ে ঘরে বাইরে যেভাবে সমালোচনার ঝড় উঠেছে, তাতে স্বভাবতই ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড: মনমোহন সিং অস্বস্তিতে৷ গেমসের প্রস্তুতির সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে আজ তিনি এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন৷

https://p.dw.com/p/PL0Q
কমনওয়েলথ গেমস নিয়ে বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংছবি: UNI

মনমোহন সিং আলোচনায় বসেছিলেন গেমসের দায়িত্বে থাকা বিশেষ মন্ত্রীগোষ্ঠীর দুজন সদস্য, ক্রীড়ামন্ত্রী এম এস গিল এবং শহরাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী জয়পাল রেড্ডির সঙ্গে৷ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ক্যাবিনেট সচিব কে এম চন্দ্রশেখর ও অন্যান্যরা৷

দু-তিন দিন আগে গেমস ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ড মাইকেল ফেনেল এবং প্রধান নির্বাহী মাইক হুপার গেমস ভিলেজের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কড়া সমালোচনা করে বলেছেন যে, গেমস ভিলেজ নোংরা এবং থাকার অযোগ্য৷ দেশের ভাবমূর্তির দিকে তাকিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মাঠে নেমেছেন শেষ মুহূর্তে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত. লেঃ গভর্নর তেজেন্দ্র খান্না৷ কমনওয়েলথ গেমসের আয়োজক কমিটির প্রধান সুরেশ কালমাডিকে এখন ঠুঁটো জগন্নাথ করে রাখা হয়েছে৷ এরই মধ্যে কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ড ফেনেল আজ গেমস ভিলেজে যান অন্য সদস্যদের নিয়ে৷

রাজনৈতিক দিক

প্রধান বিরোধি দল বিজেপি গেমসের ব্যবস্থাপনার গলদ দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে৷ বলেছে : গেমস শুরু হবার মুখে মূল জহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামের সামনে ফুটওভার ব্রিজ ভেঙ্গে পড়া, দুদিন আগে স্টেডিয়ামের বক্সিং রিং-এর ছাদের টালি খসে পড়া, গেমস ভিলেজ আবর্জনায় ভরা - এই সব কিছুর পেছনে পরোক্ষভাবে কাজ করেছে দুর্নীতি৷ তবে এখন এই নিয়ে কাটাছেঁড়া করার সময় নেই৷ দেশের মান বাচাঁতে বিজেপি চায় গেমস যেন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়৷ বিজেপি সরকারের জমানাতেই দিল্লিতে কমনওয়েলথ গেমসের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, কিন্তু কংগ্রেস জমানায় ৬ বছরেও তার পরিকাঠামো ঠিকমত শেষ করতে না পারাটা দুঃখের বিষয়৷ হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করা সত্ত্বেও৷

বিদেশি ক্রীড়া সংস্থা কীভাবে সাড়া দিচ্ছে?

আজ থেকে খুলে দেয়া হয়েছে গেমস ভিলেজ৷ খেলোয়াড়রা ভিলেজে যেতে শুরু করেছেন৷ পাঁচটি দেশ তাদের যাত্রা পিছিয়ে দিয়েছে৷ তবে এখন পর্যন্ত কোন দেশ যাত্রা বাতিল করেনি৷ অস্ট্রেলিয়া নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে৷ দিল্লি পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ফুলপ্রুফ৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী