1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘কমনওয়েল্থ গেমস’এর প্রস্তুতি চলছে জোরদমে

১৮ মার্চ ২০১০

নতুন দিল্লিতে আগামী অক্টোবরের ‘কমনওয়েল্থ গেমস’এর কাজ সময় মতো শেষ করার জন্য শ্রমিকদের ইতিমধ্যেই তাগিদা দিতে শুরু করেছে সরকার৷ কিন্তু, জরুরি ভিত্তিতে এতো বড় কাজের জন্য মজুরি বাড়ানো হয়নি৷

https://p.dw.com/p/MWDf
ভারতীয় অলিম্পিক কমিটির প্রধান সুরেশ কালমাদিছবি: UNI

সফল ভাবে আন্তর্জাতিক মানের ইভেন্ট সম্পূর্ণ করা ভারতীয় অলিম্পিক কমিটির সামনে এক বড় চ্যালেঞ্জ বলে স্বীকার করেছেন কমিটির প্রধান সুরেশ কালমাদি৷ তবে তিনি পাশাপাশি এ আশ্বাস দিয়েছেন যে, যে গতিতে কাজ হচ্ছে - তাতে সময়ে কাজ শেষ করা কোন সমস্যা হবে না৷ খুব স্বাভাবিকভাবেই, এতো বড় একটা কর্মকাণ্ড সফল করতে গেলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যাতায়াত - সবটাই কমিটির সামনে চ্যালেঞ্জ৷

তাই এ কাজে সহায়তা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শীলা দিক্ষিত ও কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রী এমএস গিল সর্বোত ভাবে সাহায্য করছেন৷ কিন্তু, এই কাজের পিছনে যাদের ভূমিকা সবচেয়ে বড়, সেই শ্রমিকদের কথা বিশেষ কেউ ভাবছেন না৷ আথচ, গেমস'টিকে সফল করতে কাজ করছে প্রায় ১৭ হাজার শ্রমিক৷ এবং তারা প্রায় অমানুষিক পরিস্থিতিতে বাস করছে, বলে একটি ভারতীয় আদালতের দ্বারা নিযুক্ত এক বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠী বৃহস্পতিবার জানিয়েছে৷ তাদের অনেকেই ভারতের বিভিন্ন দরিদ্র রাজ্য থেকে আগত শ্রমিক৷ অনেক সময়ে তাদের শুধু প্লাস্টিকের শীট দিয়ে কোথাও একটা মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নিতে বলা হয়েছে৷ তাদের বস্তিগুলিতে শৌচালয় তো দূরের কথা, মহিলাদের আব্রু রক্ষারও কোনো ব্যবস্থা নেই৷ এবং কাজের ক্ষেত্রেও, সামনে নির্মম গ্রীষ্ম৷

ওদিকে, নিরাপত্তা সংক্তান্ত ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, তারা সব প্রতিযোগীকে সর্ব্বোচ পর্যায়ে নিরাপত্তা দিতে তৈরি৷ পাশাপাশি গেমস দেখতে আসা দর্শকদের নিরাপত্তার ব্যাপারেও পৃথক পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে তারা৷

উল্লেখ্য, আগামী ৩ থেকে ১৪ অক্টোবরের ‘কমনওয়েল্থ গেমস'ই হবে ১৯৮২ সালের পর ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর৷ ২০১০ সালের এই গেমস'এ অংশগ্রহণ করছে বিশ্বের ৭১টি দেশ৷

প্রতিবেদক : দেবারতি গুহ

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী