1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কমার্স ব্যাংকের শিল্পকর্মগুলো জাদুঘরে যাচ্ছে

২৬ সেপ্টেম্বর ২০১০

কমার্স ব্যাংক এতদিন ধরে যে শিল্পকর্ম সংগ্রহ করেছিল, সেগুলোকে তারা এবার দিয়ে দিচ্ছে জার্মানির পাঁচটি জাদুঘরে৷ শিল্পকর্ম জাদুঘরেই শোভা পায়, বলছে এই ব্যাংকটি৷

https://p.dw.com/p/PMoE
Berlin 13. Art Forum
বার্লিনের একটি চিত্রকলা প্রদর্শনীছবি: AP

বিনামূল্যে দীর্ঘ সময়ের জন্য জার্মানির পাঁচটি জাদুঘরে প্রায় একশ'টি শিল্পকর্ম ধার দিচ্ছে কমার্স ব্যাংক৷ কমার্স ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্টিন ব্লেসিং জানান, ‘‘আমরা সমাজকে কিছু দিতে চাই৷ আর সে কারণেই, আমরা আমাদের কার্যক্রমে শিল্প, সংস্কৃতি এবং তরুণ প্রজন্মকে রাখি৷ তাই আমরা মনে করছি, এইসব শিল্পকর্ম আমাদের কাছে না রেখে জাদুঘরে দেওয়া হলে সেটি আরও ভালো হবে৷''

জানা গেছে, বার্লিনের ন্যাশনাল গ্যালারি ও স্টেট আর্ট কালেকশন, ফ্রাংকফুর্টের দ্য মিউজিয়াম ফর মডার্ন আর্ট এবং স্টেডাল মিউজিয়াম, ড্রেসডেনের মিউনিসিপ্যাল গ্যালারি পাচ্ছে ঐ শিল্পকর্মগুলো৷

ড্রেসডেনে ব্যাংকের শিল্পকর্ম সংগ্রহের তত্ত্বাবধায়ক আস্ট্রিড কিসলিং-তাসকিন বলছেন, ‘‘প্রথমে এটা মেনে নেওয়া কঠিন ছিল যে, কমার্স ব্যাংকের সংগ্রহে থাকা শিল্পকর্মগুলো নিয়ে নতুন এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে৷ যাই হোক, শেষ পর্যন্ত ব্যাংকের প্রধান কর্মকর্তা এর ভাল-মন্দ চিন্তা করেই রাজি হয়েছেন যে, ব্যাংকের চেয়ে জাদুঘরই এর জন্য উপযুক্ত স্থান৷ সত্যি কথা বলতে কি, আমি দুশ্চিন্তামুক্ত হয়েছি যে, উচ্চমানের এই শিল্পকর্মগুলো এবার ভালো হাতে পড়ছে৷ কেননা, পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য এগুলোর যত্ন কিংবা সংরক্ষণ করার মতো জনবল আমাদের ছিলনা৷''

নিজেদের সংগ্রহে থাকা সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ শিল্পকর্ম, শিল্পী আলব্যার্টো জিয়াকোমেত্তি'র ‘লম কি মার্শ'৷ এই শিল্পকর্মটি এবছরের শুরুতেই নিলামে বিক্রি করেছে কমার্স ব্যাংক৷ অন্যান্য বড় শিল্পকর্মগুলোর মতো এটা জাদুঘরে ধার দেওয়া হয়নি৷ তবে ৭ কোটি ৪০ লাখ ইউরোতে একজন ব্যক্তিগতভাবে কিনে নিয়েছেন এটি৷ কোনো চিত্র প্রদর্শণীতে এর আগে এতো মূল্যবান আর কোনো শিল্পকর্ম বিক্রি হয়নি৷ শোনা যাচ্ছে, বিক্রির এই অর্থ কমার্স ব্যাংক ১০ লাখ ইউরো করে ঐ পাঁচটি জাদুঘরে দিচ্ছে৷ আর বাকি অর্থ যাচ্ছে কমার্স ব্যাংক ফাউন্ডেশনে৷

এর মানে এই নয় যে, কমার্স ব্যাংককে দেখে অন্যান্য ব্যাংকও এ ধরণের কার্যক্রম শুরু করবে৷ কারণ, ডয়চে ব্যাংক এবং মিউনিকের আলিয়ন্স ব্যাংক কিন্তু তাদের শিল্পকর্মের সংগ্রহ বাড়ানোর জন্য উল্টো আরও উদ্যোগ নিচ্ছে৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ