1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করাচিতে বেড়ে গেছে অনাকাঙ্খিতভাবে জন্ম নেয়া শিশু হত্যা

১৮ জানুয়ারি ২০১১

পাকিস্তানের বন্দর নগরী করাচি৷ সেখানে বেড়ে যাচ্ছে অনাকাঙ্খিতভাবে জন্ম নেয়া শিশুর মৃত্যু৷ সপ্তাহের কোন না কোন দিন সেখানকার কোন আবর্জনা ফেলার জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশু৷

https://p.dw.com/p/zz5i
অনাকাঙ্খিতভাবে জন্ম নেয়া শিশু হত্যা বেড়ে গেছে করাচিতেছবি: Samir Kumar Dey

ইদি ফাউন্ডেশন৷ পাকিস্তান ভিত্তিক একটি শিশু ও মানবাধিকার সংগঠন৷ এক কথায় সমাজ সেবা যাদের কাজ৷ তাদেরই একজন স্বেচ্ছাসেবক মোহাম্মদ সেলিম৷ এই তো সেদিনও তিনি একটি নর্দমায় পেলেন দুই দুটি শিশুর লাশ৷ এক বা দুই দিন বয়স৷ তাদেরকে করবস্থ করা হয়েছে একটি নামহীন কবরে৷

Lächelnde Babys auf neuen Ultraschall-Geräten?
পৃথিবীর আলো দেখার আগেই বহু প্রাণ হত্যা করা হচ্ছেছবি: picture-alliance/dpa

প্রায় নিত্য এই ঘটনা৷ বিবাহ বহির্ভূত সন্তান জন্ম দেয়া সেখানকার মানুষের ধর্ম বহির্ভূত৷ পাকিস্তানের অধিকাংশ মানুষ মুসলিম৷ ইসলামিক আইন অনুসারে বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক এবং সন্তান জন্মদান – দুটোই শাস্তিযোগ্য৷ আর এ কারণেই গোপনে সন্তান জন্ম দেবার পর তাকে হত্যা করা হয়, ফেলে দেয়া হয় নর্দমায়৷ আর ইদি ফাউন্ডেশনের কর্মীরা তা খুঁজে আনেন, নিয়ম অনুসারে কবরস্থ করেন৷

গত বছর এ ধরণের ১ হাজার ২১০টি শিশুর লাশ খুঁজে পেয়েছে এই সংগঠনের কর্মীরা৷ যাদের অধিকাংশই মেয়ে শিশু৷ এর আগের দুই বছরে যথাক্রমে এই সংখ্যা ছিল ৯৯৯ এবং ৮৯০৷ ইদি ফাউন্ডেশন করাচির ম্যানেজার আনোয়ার কাজমির দিলেন এই তথ্য৷ জানালেন, পৈশাচিক কায়দায় এদের অনেককে হত্যা করা হয়েছে৷ কাউকে পাথর দিয়ে আঘাত করে, কাউকে বা পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে, এমন শিশুর লাশও খুঁজে পেয়েছে তারা৷

‘হত্যা করো না, আমাদের এখানে দিয়ে দাও' – এমন স্লোগান সম্বলিত একটি সাইনবোর্ড লাগানো আছে ইদি ফাউন্ডেশন এর কার্যালয়ের সামনে৷ এর ফলে অনেকেই তাদের সদ্যোজাত অনাকাঙ্খিত সন্তানকে রেখে যাচ্ছে সেখানে৷ ‘‘যারা এখানে ঐ শিশুদের রেখে যাচ্ছে, তাদের মধ্যে মানবিকতা আছে,'' বললেন ঐ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল সাত্তার ইদি৷ তিনি জানালেন, ‘‘আমরা যাদের এখানে খুঁজে পাই তাদের অধিকাংশের বয়স এক সপ্তাহের কম৷''

পাকিস্তানের পুলিশ অনাকাঙ্খিত জন্ম নেয়া শিশু মৃত্যুর বিষয়ে কোন মামলা গ্রহণ করে না৷ এমনকি কোন সাধারণ ডায়েরিভুক্তও করা হয় না সেগুলো৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন