1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কর্তার পর এবার গিন্নির বিরুদ্ধেও বিদেশি-বিরোধিতার অভিযোগ

১৯ জানুয়ারি ২০১১

প্রথমে কর্তা, তারপর গিন্নি – বিস্ফোরক মন্তব্য ও আচরণের কারণে দুজনেই জার্মানিতে তুমুল বিতর্কের মুখে৷ ‘বিদেশিরা দেশের নানা সমস্যার কারণ’ – ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে মোটামুটি এমনই সব কথা বলে চলেছেন তাঁরা৷

https://p.dw.com/p/zzbX
বিতর্কের নায়ক টিলো সারাৎসিনছবি: dapd

কয়েক মাস আগেও প্রায় কেউই তাঁদের নাম জানতো না৷ এমনকি সামাজিক গণতন্ত্রী দলের সদস্য টিলো সারাৎসিন যে জার্মানির কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের পরিচালকমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন, তাও কারো নজর কাড়ে নি৷ তারপর তিনি বই লিখলেন, যার শিরোনাম ‘জার্মানি নিজেকেই বিলুপ্তির পথে ঠেলে দিচ্ছে৷' নানা রকমের উদ্ভট তত্ত্ব খাড়া করে তিনি জার্মানির ভবিষ্যতের এক ভয়াবহ চিত্র খাড়া করলেন৷ তাঁর মতে, বিদেশী বা বিদেশী বংশোদ্ভূত মানুষের সংখ্যা যেভাবে বেড়ে চলেছে, তার ফলে একদিন দেখা যাবে যে ‘আসল' জার্মানরা নিজেদের দেশেই সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে৷ মোটকথা জার্মানি রসাতলে যাচ্ছে৷

টিলো সারাৎসিন'এর এই অবস্থানকে ঘিরে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে৷ সেই বিতর্ক থিতিয়ে যেতে না যেতেই এবার বিতর্কের মঞ্চে এসে পড়লেন তাঁর স্ত্রী উর্সুলা৷ বার্লিনে এক স্কুলের শিক্ষিকা তিনি৷ বেশ বদমেজাজি বলে পরিচিত৷ তবে অভিযোগ উঠেছে, তাঁর সেই বদ মেজাজের শিকার হয় মূলত বিদেশী বা বিদেশী বংশোদ্ভূত ছাত্রছাত্রীরা৷ তাদের বাবা-মা ও কয়েকজন সহকর্মীও নালিশ করে আসছিলেন৷ এক জাপানি-জার্মান ছাত্রকে উর্সুলা নাকি তাচ্ছিল্যের সঙ্গে ‘সুজুকি' বলে ডাকতেন৷ আরেক ছাত্রের মাথায় তিনি নাকি বাঁশি দিয়ে আঘাত করেছেন৷

Berlin Demonstration Sarrazin
সারাৎসিন-বিরোধী বিক্ষোভছবি: AP

এই সব অভিযোগের ফলে স্কুল কর্তৃপক্ষের উপর উর্সুলা সারাৎসিন'কে স্কুল থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ বাড়ছিল৷ সেই ‘ষড়যন্ত্র' বানচাল করতে স্বামী টিলো সারাৎসিন'এ সমর্থকরা আসরে নেমেছেন৷ উর্সুলাও আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলছেন, ছাত্রছাত্রীদের সামলাতে একটু কড়া হতে হয় ঠিকই, তবে তিনি মোটেই বাড়াবাড়ি করেন না৷ আসলে স্বামীর কারণেই তাঁকে অযথা হেনস্তা করা হচ্ছে৷

লড়াইয়ের এখানেই শেষ নয়৷ শেষ পর্যন্ত কোন পক্ষের জয় হয়, তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ