1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কর্নাটকে দলত্যাগীদের বিধায়ক পদ খারিজ বহাল রাখলেন হাইকোর্ট

২৯ অক্টোবর ২০১০

ভারতের কর্নাটক বিধানসভার স্পিকার বিজেপি’র দলত্যাগী ১১জনের বিধায়ক পদ খারিজ করে যে রায় দিয়েছিলেন, কর্নাটক হাইকোর্ট শুক্রবার তা বহাল রাখলো৷ বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর হাত থেকে আপাতত বেঁচে গেল রাজ্যের বিজেপি সরকার৷

https://p.dw.com/p/PtvZ
ভারতছবি: AP

দক্ষিণী রাজ্য কর্নাটকের বিজেপি সরকারের ফাঁড়া আপাতত কাটলো৷ দলত্যাগী ১১জনের বিধায়ক পদ খারিজ করে বিধানসভার স্পীকার যে আদেশ দিয়েছিলেন, কর্নাটক হাইকোর্ট শুক্রবার তা বৈধ বলে রায় দেন৷ কর্নাটক হাইকোর্টের প্রধানবিচারপতির নেতৃত্বে দুজন বিচারকের বেঞ্চ বিধায়ক পদ খারিজ মামলায় একমত হতে না পারায়, তা তৃতীয় বিচারপতির এজলাসে পাঠানো হয়৷ তৃতীয় বিচারপতি ভি.জি সাবাহিত আজ দলত্যাগ বিরোধি আইনের ২(১) ধারা অনুযায়ী স্পীকারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন৷

সাংবাদিকদের কাছে বিজেপির আইনজীবি এস.জৈন বলেন, যে ১১জন এমএলএ সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নিয়ে গত ৪ঠা অক্টোবর রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছিলেন, তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজের সিদ্ধান্ত হাইকোর্ট বহাল রেখেছেন৷ নির্দল ৫জন বিধায়ক সম্পর্কে রায় দেয়া হবে ২রা নভেম্বর৷

সংবাদ মাধ্যমের কাছে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি.এস ইয়েদুরাপ্পার প্রতিক্রিয়া, দলত্যাগ সম্পর্কে আমাদের অবস্থান সঠিক প্রমাণিত হলো৷ গণতন্ত্রের আদর্শ অমলিন রইলো৷ ভবিষ্যতে দলত্যাগীদের কাছে এটা সতর্ক ঘন্টা৷ এতে দেশে ইচ্ছেমত দলত্যাগের হিড়িক বন্ধ হবে৷ বিরোধী দল জেডি(এস) এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রীম কোর্টে যাবার কথা বলেছে৷একমাস ধরে চলা এই রাজনৈতিক নাটকের নেপথ্য নায়ক জেডি (এস) নেতা কুমারস্বামী৷বিজেপি সরকারে ভাঙন ধরাতে তিনিই নাকি বিজেপি বিধায়কদের প্ররোচিত করেন৷

এ মাসের প্রথম দিকে দুর্নীতির অভিযোগে বিজেপি সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছে বলে ৫জন নির্দল বিধায়কসহ মোট ১৬জন বিধায়ক রাজ্যপাল এইচ.আর ভরদ্বাজকে চিঠি দেন৷ তার প্রেক্ষিতে রাজ্যপাল সরকারকে আস্থা ভোট নিতে বলেন৷ আস্থা ভোটের ঠিক আগে বিধানসভার স্পিকার ঐ ১৬জনের বিধায়ক পদ খারিজ করে দেন৷ ফলে বিধানসভার সদস্য সংখ্যা কমে যায়৷গন্ডগোলের মধ্যে ধ্বনিভোটে সরকার সে যাত্রায় পার পেয়ে যায়৷ রাজ্যপাল তা মেনে নিতে অস্বীকার করেন৷ দ্বিতীয়বারের আস্থাভোটেও ২০৮ সদস্যের বিধানসভায় বিজেপি সরকার পায় ১০৬ ভোট এবং বিরোধী পক্ষ ১০০৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক