1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কর্নেল জিয়াকে গ্রেপ্তারের দাবি

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৯ জুন ২০১৪

নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি৷ দলের যুগ্ম মহাসাচিব রুহুল কবির রিজভী দাবি করেন, ‘‘কর্নেল জিয়াই হলো নারায়ণগঞ্জ হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা৷’’

https://p.dw.com/p/1CEst
লাশ উদ্ধারের পর নিহতের আত্মীয়দের আহাজারিছবি: DW

তাই ‘‘তাঁকে গ্রেপ্তার করলে হত্যাকাণ্ডের সব কিছু জানা যাবে'', সোমবার দুপুরে ঢাকার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এভাবেই বলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী৷ তাঁর কথায়, ‘‘নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনা গোড়া থেকেই র‌্যাব জানত৷ জেনেও তারা কেন চুপচাপ ছিল – তা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে৷ এতে স্পষ্ট হয়েছে যে, শুধু নারায়ণগঞ্জ র‌্যাব ১১-র আটক তিন কর্মকর্তাই নয়, র‌্যাব সদর দপ্তরেরও আরো কোনো কর্মকর্তা সাত খুনের সঙ্গে জড়িত৷''

রুহুল রিজভী বলেন, ‘‘হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসানের নাম বার বার আসছে৷ কিন্তু তারপরও তাঁকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না৷ তাঁকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে৷ তিনি দাবি করেন, ‘‘জিয়াউল আহসানই হলো হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা৷ তাঁকে গ্রেপ্তার না করা হলে আসল ঘটনা জানা যাবে না৷''

রিজভী আহমেদ বলেন, ‘‘বিএনপি বিশ্বাস করে, হাইকোর্ট আদেশ না দিলে র‌্যাবের ওই তিন কর্মকর্তাকেও গ্রেপ্তার করা হতো না৷ সরকার ধূম্রজাল সৃষ্টি করে ঘটনাটি ধামাচাপা দিত৷'' তাই এ ঘটনায় ন্যায় বিচারের স্বার্থে যাঁদের নাম এসেছে, তাঁদেরও গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন বলে দাবি করেন রিজভী৷

ওদিকে গত সপ্তাহে নারায়ণগঞ্জের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মেজর আরিফ এবং কমান্ডার রানা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত র‌্যাবের মোট ১১ জনের নাম জানিয়েছেন৷ এই ১১ জনের মধ্যে আটক র‌্যাব ১১-র প্রধান লে. কর্নেল সাঈদ রয়েছেন৷ এর বইরেও তারা একজন ঊর্ধতন কর্মকর্তার নাম বলেছে, যাঁর নির্দেশে তারা সাতজনকে অপহরণ এবং হত্যা করে৷ নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন দাবি করেছেন যে, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে কর্নেল জিয়ার নামও বলেছেন স্বীকারোক্তি দেয়া ঐ দুই কর্মকর্তা৷

এদিকে হত্যাকাণ্ডের পর পরই র‌্যাবের তিন কর্মকর্তা লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন এবং লে. কমান্ডার এমএম রানাকে ঢাকায় র‌্যাব সদর দপ্তরে ডেকে পাঠানো হয় এবং তারা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে৷ তারপরও সদর দপ্তর তাদের অপরাধের ব্যাপরে চুপচাপ ছিল বলে প্রশাসনিক তদন্ত কমিটি নিশ্চিত হয়েছে৷

গত ২৭শে এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম এবং আইনজীবীচন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়৷ ৩০শে এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে তাঁদের লাশ ভেসে ওঠে৷

নিহত নজরুলের শ্বশুর শহিদুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘জবাবন্দিতে র‌্যাবের যে ১১ জন সদস্যের নাম এসেছে, তাদের সবাইকে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি৷'' তাদের গ্রেপ্তারে দেরী করা হলে সন্দেহ-সংশয় বড়বে বলে মনে করেন তিনি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য