1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কর ফাঁকি বন্ধে উদ্যোগ

১৫ মে ২০১৩

ইউরোপে কর ফাঁকির সুযোগ বন্ধ করতে মন্ত্রীরা তৎপরতা বাড়িয়ে দিয়েছেন৷ চাপ বাড়ছে লুক্সেমবুর্গ ও অস্ট্রিয়ার উপর৷ এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি নাগরিকদের আস্থা কমতির দিকে৷ তাই ব্যাংকিং ইউনিয়ন চালু করতে হলে প্রয়োজন স্বচ্ছতার৷

https://p.dw.com/p/18XVp
A burned EU flag hangs on the barriers protecting the Greek parliament in Athens on May 1, 2013. Greece's two main unions called a general strike against prolonged austerity on May 1, with protests by unions, students and workers. AFP PHOTO/ LOUISA GOULIAMAKI (Photo credit should read LOUISA GOULIAMAKI/AFP/Getty Images)
ছবি: AFP/Getty Images

আর্থিক সংকটের মধ্যে খোঁজ চলছে বাড়তি আয়ের৷ ফলে নজর পড়ছে ধনীদের কর ফাঁকি দেবার প্রবণতার দিকে৷ এর ফলে আনুমানিক প্রায় ১ লক্ষ কোটি ইউরোর ক্ষতি হচ্ছে৷ তার উপর খোদ ইউরোপের বুকে দুই ইইউ সদস্য দেশ – লুক্সেমবুর্গ ও অস্ট্রিয়ায় গোপন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রাখা সম্ভব হওয়ায় সমালোচনা বাড়ছে৷ চাপে পড়ে লুক্সেমবুর্গ তার গোপনীয়তা আইন শিথিল করার ইঙ্গিত দিলেও অস্ট্রিয়া এখনো পুরোপুরি মনস্থির করে উঠতে পারছে না৷ বাকি ইউরোপ চায়, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত সব তথ্য স্বচ্ছ রাখতে হবে৷ উল্লেখ্য, এর আগে ব্রিটেনও কর ফাঁকি বন্ধ করতে কিছু কড়া পদক্ষেপের ঘোষণা করেছিল৷

Figur im Rettungsboot
লুক্সেমবুর্গ ও অস্ট্রিয়ায় গোপন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রাখা সম্ভব হওয়ায় সমালোচনা বাড়ছে (প্রতীকী ছবি)ছবি: Fotolia/Arnd Drifte

প্রস্তাবিত ব্যাংকিং ইউনিয়ন চালু করতে হলেও এমন স্বচ্ছতার প্রয়োজন৷ তবে ইউরোপের ব্যাংকিং ক্ষেত্রকে একই নিয়ন্ত্রকের আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়ে অবশ্য এখনো ঐকমত্যের অভাব রয়েছে৷ জার্মানি চায় ইউরোপীয় চুক্তির মধ্যে রদবদল, যাতে ভবিষ্যতেও এই কাঠামো মজবুত থাকে৷ আপাতত জাতীয় কর্তৃপক্ষদের নিয়ে এক নেটওয়ার্ক তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন জার্মান অর্থমন্ত্রী৷ স্পেন ও পর্তুগালের মতো সংকটগ্রস্ত দেশ আরও দ্রুত ব্যাংকিং ইউনিয়ন কার্যকর করতে চায়৷ আগামী জুন মাসে ইইউ শীর্ষ সম্মেলনেই তারা এ ক্ষেত্রে অগ্রগতি দেখতে চায়৷

সোমবার ইউরো এলাকার অর্থমন্ত্রীদের বৈঠককে ঘিরে পুঁজিবাজারে বেশ আশার আলো দেখা গিয়েছিল৷ ফলে বাজার কিছুটা চাঙ্গা হয়ে ওঠে৷ কর ফাঁকি বন্ধ করার প্রচেষ্টা ও একাধিক দেশের বেলআউট নিয়েও তাঁরা আলোচনা করেছেন৷

গ্রিস ও পর্তুগাল তাদের আগামী কিস্তির বেলআউট পেতে চলেছে৷ স্লোভেনিয়া-রও এমন সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ নতুন সরকার গঠনের পর ইটালি কোন পথে এগোবে, সেদিকেও বাজারের নজর রয়েছে৷ এর মধ্যে এক জনমত সমীক্ষায় দেখা গেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি নাগরিকদের আস্থা কমে চলেছে৷ মূলত সরকারি ব্যয় সংকোচ ও ব্যাপক আকারে বেকারত্বের ফলে বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নৈরাশ্য বেড়ে চলেছে৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য