1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কলকাতায় মেট্রো আতঙ্কে অনিশ্চয়তায় নিত্যযাত্রীরা

২২ অক্টোবর ২০১০

একসময় যে পরিবহন ব্যবস্থাকে কলকাতার গর্ব মনে করা হত, সেই মেট্রো রেল এখন নিত্যযাত্রীদের আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ একের পর এক দুর্ঘটনার জেরে দুর্ভোগ হচ্ছে সাধারণ মানুষের৷

https://p.dw.com/p/PkWY
কলকাতা হিমশিম খেলেও নতুন দিল্লির যাত্রীরা মেট্রোর সুখ নিচ্ছেনছবি: AP

বুধবার ব্যস্ত অফিস-সময়ে ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গের মধ্যে মেট্রো রেলের কামরার লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ভয় পাইয়ে দিয়েছে বহু মানুষকে, যারা নিত্য প্রয়োজনের নানা কাজে মেট্রো রেলে সফর করতেন৷ এদের মধ্যে যেমন নিয়মিত অফিসযাত্রীরা আছেন, তেমন আছে ছোট ছোট স্কুল ছাত্র-ছাত্রী আর তাদের বাবা-মায়েরা৷ এত মানুষের জীবন মাটির তলার ওই সুড়ঙ্গে পণবন্দি করার অধিকার কে দিল, এ প্রশ্ন মেট্রো কর্তৃপক্ষকে এখনও কেউ করেনি৷ কিন্তু বুধবারের দুর্ঘটনার পর যা জানা গেছে, তা শিউরে ওঠার মত৷ খোদ মেট্রো কর্মী ইউনিয়নের প্রতিনিধি বলছেন, কলকাতা মেট্রোর জন্য ১৮টি রেক এসেছিল ১৯৮১ থেকে ৮৪ সালের মধ্যে৷ অর্থাৎ রেকগুলি ২৫ বছরের বেশি পুরনো৷ রেলের নিয়ম অনুযায়ী, ২৫ বছর বা তার বেশি পুরনো রেক বাতিল করে দেওয়া হয়৷ অথচ কলকাতায় সেই পুরনো রেকগুলিই এখনও চালানো হচ্ছে৷

Alte Gebäude in Kalkutta Altstadt Indien
যানযটে নাকাল নিত্যযাত্রীরা এতকাল মেট্রোর উপর ভরসা করতেনছবি: picture alliance /dpa

বোঝাই যাচ্ছে যে কলকাতার মেট্রো রেলের নিত্যযাত্রীরা নিজেরা না জেনেই রোজ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন৷ অথচ বুধবারের দুর্ঘটনার পর নিয়মমাফিক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা ছাড়া অন্য কোনও দায়িত্ববোধ মেট্রো কর্তৃপক্ষের দিকে চোখে পড়েনি৷ এবং এই কমিটি বৃহস্পতিবার সারা দিনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার সময়ই পাননি৷ উল্টে রেল সুরক্ষা বাহিনী চরম দুর্ব্যবহার করেছে সাংবাদিকদের সঙ্গে৷ সে ব্যাপারে মেট্রোর জনসংযোগ অধিকর্তার সাফাই, ‘‘মেট্রো রেলের ভিতরে ঢুকতে গেলে কিছু নিয়মকানুন আছে, অনুমতি নেওয়ার ব্যাপার আছে৷ সাংবাদিকরা যদি আগাম অনুমতি নিয়ে রাখতেন তাহলে সমস্যা হত না৷ কিন্তু তারা তা না করায় রেল সুরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে তাদের কিছু বচসা হয়েছে৷ এর জন্যে আমরা দুঃখপ্রকাশ করছি৷''

কলকাতা মেট্রোর বেহাল অবস্থা নিয়ে যথারীতি রাজনৈতিক চাপান-উতোরও শুরু হয়ে গেছে৷ যার আড়ালে চাপা পড়ে যাচ্ছে যাত্রী সুরক্ষার চরম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি৷

প্রতিবেদন: শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন