1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কলকাতা বন্দরের বেহাল দশা

১৪ ডিসেম্বর ২০১০

হুগলি নদী ক্রমশ তার নাব্যতা হারাতে থাকায় কলকাতা বন্দর তার বাণিজ্যিক গুরুত্ব হারিয়েছে অনেক আগেই৷ সম্প্রতি এক দুর্ঘটনায় বোঝা গেল, বন্দর হিসেবে সচল থাকার যোগ্যতাও তার নেই৷

https://p.dw.com/p/QXUc
old, buildings, Calcutta, Municipality, Corporation, কলকাতা, ভারত, সমাজ, জাহাজ, নদী, বন্দর, পশ্চিম বঙ্গ, দুর্ঘটনা
হাওড়া ব্রিজ (ফাইল ছবি)ছবি: AP

কলকাতা বন্দরের ইতিহাসে এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি৷ যে মোহনা থেকে বন্দরে আসার পথে দুটো জাহাজ এমন প্রবলভাবে পরস্পরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে অচল হয়ে পড়ল৷ সৌভাগ্যবশত দুটিই মালবাহী জাহাজ হওয়ায় কোনও বড় বিপত্তি হয়নি, নাবিক-কর্মীদের মধ্যেও কেউ হতাহত হননি৷ তবে এই দুর্ঘটনা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যে কলকাতা বন্দর এ ধরণের জরুরি পরিস্থিতির মোকাবিলায় কতটা অপ্রস্তুত৷ দুর্ঘটনার দু সপ্তাহ পরেও ধাক্কা খাওয়া জাহাজটিকে সরানোর কোনও ব্যবস্থা করা গেল না৷

কলকাতা বন্দরের সঙ্গে যুক্ত অভিজ্ঞ নাবিকরা কিন্তু বলছেন, প্রাকৃতিক কারণেই কলকাতা বন্দর তার সূচনাপর্ব থেকেই মার খাচ্ছে৷ নৌচালনার কাজে ৩৩ বছর রয়েছেন মাস্টার মেরিনার অ্যালি ডাগমান৷ তিনি জানালেন, কলকাতা বন্দর যেদিন থেকে চালু হয়েছে, তখন থেকেই বেশ কিছু প্রতিকূলতার সঙ্গে তাদের লড়ে যেতে হচ্ছে৷ মোহনা থেকে বন্দর পর্যন্ত প্রায় ১২৫ কিলোমিটারের যে নদীপথ, তার সংকীর্ণতা এবং গভীরতার অভাব সবসময়ই সমস্যা হয়ে থেকেছে৷

অভিজ্ঞ নাবিক ডাগমানের যুক্তি, এঁকেবেঁকে বয়ে চলা হুগলি নদীর বুকে অত্যধিক পলি জমতে থাকার কারণেই কলকাতা বন্দরের এই বেহাল দশা৷ কিন্তু নদীর দুর্বোধ্য মতিগতি বোঝার কোনও চেষ্টাই যে এত বছরে হয়নি, সেটাও বোঝা গেল ডাগমানের কথায়৷ কারণ তিনি জানালেন, একে তো নাব্যতার অভাব, তার ওপর ওই জলপথের একেক জায়গায় একেক রকমের স্রোত, যা নাবিকরা এখনও বুঝে উঠতে পারেননি৷ জাহাজের চালকদের জন্য এখনও স্থানীয় মাঝি-মাল্লাদের ব্যবহারিক জ্ঞানই ভরসা৷

কাজেই এই অভূতপূর্ব ঘটনার ধাক্কা এখনও সামলে উঠতে পারেনি কলকাতা বন্দর৷ বরং সংকটের চেহারাটা আরও স্পষ্ট হয়েছে যে অতি সাধারণ কোনও দুর্ঘটনাও অচল করে দিতে পারে এই বন্দরকে৷

প্রতিবেদন: শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক