1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কলম্বোয় জাতিসংঘের দপ্তর বন্ধ করলেন বান কি মুন

৯ জুলাই ২০১০

কলম্বোয় জাতিসংঘের দপ্তরের সামনে এক মন্ত্রীর নেতৃত্বে বিক্ষোভের জের ধরে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন দপ্তর বন্ধ করে শীর্ষ প্রতিনিধি প্রত্যাহার করছেন৷

https://p.dw.com/p/OEaD
কলম্বোয় জাতিসংঘের দপ্তরের সামনে বান কি মুন’এর কুশপুত্তলিকা পোড়াচ্ছে বিক্ষোভকারীরাছবি: AP

ঘটনার সূত্রপাত ২০০৯ সালের মে মাসে তামিল বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কা সরকারের সফল সামরিক অভিযানকে কেন্দ্র করে৷ দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছরের সংঘর্ষের পর বিদ্রোহীরা পরাস্ত হয়৷ কিন্তু সেসময়ে তামিল জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অসংখ্য অভিযোগ উঠে আসে৷ সেই সব অভিযোগের তদন্ত করতে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কিন মুন গত মাসে এক পরিষদ গঠন করেন৷

Ban ki-Moon besucht Sri Lanka
২০০৯ সালের মে মাসে শ্রীলঙ্কা সফরে এসে তামিল শরণার্থীদের পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা করেছিলেন বানছবি: AP

শ্রীলঙ্কার সরকার তীব্র আপত্তি জানিয়ে এই পরিষদ ভেঙে দেওয়ার দাবি জানায়৷ সরকারের বক্তব্য, এর মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করা হচ্ছে৷ তাছাড়া এর মাধ্যমে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সংগ্রামের ক্ষেত্রে দু'রকমের মাপকাঠির পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে৷ বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার নির্মাণ দপ্তরের মন্ত্রী ভিমল ভীরাভানসা'র নেতৃত্বে একদল মানুষ জাতিসংঘের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখায়৷ বিক্ষোভের তৃতীয় দিনে ভীরাভানসা অনশন কর্মসূচিও শুরু করেন৷ সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ভারত, চীন ও রাশিয়ার মতো বন্ধুভাবাপন্ন দেশের উদ্দেশ্যে তিনি পরিষদ ভেঙে দেওয়ার জন্য বান কি মুনের উপর চাপ সৃষ্টি করার আবেদন জানাচ্ছেন৷ এই দাবি পূরণ হওয়া পর্যন্ত তিনি অনশন ও প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন৷

Flüchtlingslager in Sri Lanka PANO
তামিল বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের সময় এমন শিবিরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিলেন অনেক তামিলছবি: AP

বান বলেন, প্রতিবাদ-বিক্ষোভের ফলে জাতিসংঘের কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে৷ শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষ এই প্রতিবাদ বন্ধ করতে যেভাবে ব্যর্থ হয়েছে, তা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়৷ তাঁর মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, দেশের এক মন্ত্রী যেভাবে বিশৃঙ্খল জনতাকে একত্র করে তাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন, তার ফলে জাতিসংঘের দপ্তরের কাজকর্ম ব্যাহত হয়েছে৷ ফলে দপ্তর বন্ধ করে স্থানীয় সমন্বয়ক নিল বুন'কে প্রত্যাহার করা হচ্ছে৷ শ্রীলঙ্কার সরকারের উদ্দেশ্যে বান জাতিসংঘের প্রতি দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান, যাতে আন্তর্জাতিক এই প্রতিষ্ঠান শ্রীলঙ্কার মানুষের সহায়তার গুরুত্বপূর্ণ কাজ চালিয়ে যেতে পারে৷

উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন ধরেই কলম্বোয় জাতিসংঘের দপ্তরের সামনে একের পর এক অপ্রিয় ঘটনা ঘটে চলছিল৷ মঙ্গলবার প্রতিবাদ শুরু হওয়ার পর বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ঘটে৷ পুলিশ জাতিসংঘের কর্মীদের নিরাপদে দপ্তর থেকে উদ্ধারের কাজ করার সময় এই ঘটনা ঘটে৷ বৃহস্পতিবার কয়েকজন কর্মীর উপস্থিতিতে দপ্তর আবার খোলা হলেও নির্মাণ মন্ত্রীর নেতৃত্বে আবার বিক্ষোভ শুরু হয়৷ শ্রীলঙ্কার সরকার চলতি সপ্তাহে বার বার জাতিসংঘের কর্মীদের নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও কার্যক্ষেত্রে তার প্রতিফলন দেখা যায় নি৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম