1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিদায় নিলেন উইন

২২ এপ্রিল ২০১৪

মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অং সান সুচির ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধা ছিলেন তিনি৷ কারাগারে ছিলেন দু’দশক৷ দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র আসেনি বলে মুক্তির পরও নিজেকে মুক্ত ভাবেননি৷ কারাবন্দিদের নীল জামা পরেই চিরবিদায় নিলেন উইন টিন!

https://p.dw.com/p/1BljR
Win Tin / Aung San Suu Kyi / Myanmar / Birma
ছবি: picture-alliance/dpa

মিয়ানমারে সামরিক শাসন বিরোধী দীর্ঘ আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব উইন টিন আর নেই৷ সোমবার ইয়াঙ্গনের এক হাসপাতালে যবনিকা নামে তাঁর ৮৪ বছরের আপোসহীন জীবনের৷ ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি)-র এই অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রাজনীতিতে আসার আগে ছিলেন বার্তা সংস্থা এএফপির সাংবাদিক৷ মিয়ানমার ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে মুক্ত হবার পর সাংবাদিকতার সূত্রেই দেশের রাজনীতিবিদদের সংস্পর্শে আসেন৷ ১৯৬২ সালে জেনারেল নে উইনের সামরিক শাসন শুরুর সময় উইন টিন ছিলেন নেদারল্যান্ডসে৷ কিন্তু গণতন্ত্রকে মুক্ত করার আন্দোলনে অংশ নিতে প্রবাস জীবনের ইতি টেনে ফিরে আসেন দেশে৷ জীবনাবসানের আগ পর্যন্ত দীর্ঘ কারাজীবনের অমানুষিক নির্যাতনও আন্দোলনের পথ থেকে সরাতে পারেনি তাঁকে৷

Myanmar Tageszeitung The Voice
উইন ছিলেন বার্তা সংস্থা এএফপির সাংবাদিকছবি: picture-alliance/dpa

‘গণতন্ত্রের মানসকন্যা' অং সান সুচির সঙ্গে থেকে ১৯৮৮ সালে ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি প্রতিষ্ঠা করেন উইন টিন৷ পরের বছরই গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে৷ শুরু হয় অকথ্য শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন৷ গত বছর এক সাক্ষাৎকারে মিয়ানমারের এই রাজনীতিবিদ জানান, কারাজীবনে কখনো কখনো টানা পাঁচ দিনও নির্যাতন সইতে হয়েছে তাঁকে৷ তারপরও সেই পাঁচ দিনে এক মুহূর্তের জন্যও চোখের পাতা এক করতে পারেননি৷ ২০১০ সালে সুচিকে মুক্তি দেয়ার মাধ্যমে মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে সামরিক জান্তা৷ সংসদ নির্বাচন, সুচির বিরোধী দলনেত্রীর ভূমিকায় মুক্ত রাজনীতিতে ফেরা – থেন সেইন সরকারের সময়ে এ সব পরিবর্তনকে ইতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা৷ কিন্তু উইন টিন কখনো নিজেকে কারামুক্ত ভাবতে পারেননি৷ তাঁর কখনো মনে হয়নি, গণতন্ত্রকামীদের মিয়ানমারে এখনো স্বাভাবিকভাবে মূলধারার রাজনীতি শুরু করার সময় এসেছে৷

২০১১ সালে ইয়াঙ্গনের ‘ইনসেইন' কারাগার থেকে মুক্তি পান উইন টিন৷ মু্ক্তির ঘোষণা শুনে বিশ্বাসই হয়নি৷ তাই কারাবন্দিদের নীল জামা পরেই বেরিয়ে এসেছিলেন তিনি৷ সেই পোশাক আর ছাড়েননি৷ মিয়ানমারের কারাগারে যতদিন একজন রাজনৈতিক বন্দিও থাকবে ততদিন নীল জামা ছাড়বেন না – এই ছিল তাঁর প্রতিজ্ঞা৷ বেদনার রং নাকি নীল৷ জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত রাজনৈতিক বন্দিদের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে সেই নীল জামাই পরেছেন উইন টিন৷ সোমবার প্রিয় নেতার চিরবিদায়ের শোক সংবাদ জানানোর সময় তাঁর সহকারি ইয়ার জার বললেন, ‘‘তাঁকে হারিয়ে আমরা শোকাহত, মনে হচ্ছে পৃথিবীটাই বুঝি শেষ হয়ে গেল৷''

এসিবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য