1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কষ্ট করে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার কি প্রয়োজন, আমরা আছি!

২৩ জুলাই ২০১০

নতুন এক ধরণের পেশার জন্ম হয়েছে ইউক্রেনে৷ মানুষের কষ্ট লাঘব করাই হচ্ছে এ পেশাজীবীদের মূল উদ্দেশ্য৷

https://p.dw.com/p/OS7U
সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থেকে কাজ সারাটা ভদ্রতাছবি: picture-alliance/ dpa

যদি আপনার কাছে টাইম মেশিন থাকে, তাহলে বছর কয়েক আগে একটু ঘুরে আসা যেতে পারে৷ কোথায় যাবেন ভাবছেন? বলে দিই চলুন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার গুলিস্তান বা গাবতলিতে৷ সেখানে গেলে কী দেখতে পাবেন? এক কথায় হযবরল, লাইনের বালাই নেই, নেই শৃঙ্খলা৷ যে যার মতো ঠেলেঠুলে উঠে যাচ্ছে বাসে৷ যাদের শক্তি আছে তারাই স্থান পাচ্ছে, আর যারা দুর্বল, তারা পড়ে থাকছে পিছনেই৷

এবার আবার বাস্তবে ফিরে আসুন৷ এখন সেই ঠেলাঠেলির অবস্থা অনেকটাই পাল্টে গেছে৷ এখন প্রায় সকল বাস সার্ভিসেই উঠতে হলে আপনাকে দাঁড়াতে হবে লাইনে৷ কিন্তু সরকারি অফিস-আদালত কিংবা ব্যাংকে বিল জমা দেবার সময়ের চিত্র কিন্তু এখনো রয়েছে আগের মতোই৷

Warten vor der Stimmabgabe in Nepal
এরকম একটা লাইনে আপনার হয়ে অন্য একজন দাঁড়ালে, মন্দ কি ?ছবি: AP

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে লাইনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থেকে কাজ সারাটা ভদ্রতা, নিয়ম বললেও একেবারে ভুল হবে না৷ কিন্তু আলোর নীচে যেমন অন্ধকার থাকে ঠিক তেমনি এ ধরণের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকাও মাঝে মাঝে বেশ বিরক্তিকর৷ তাহলে কী করা যায়? এরই এক সমাধান খুঁজে পেয়েছেন ইউক্রেনের মানুষ৷ রাজধানী কিয়েভে নতুন একটি পেশার জন্ম হয়েছে৷ এই পেশাজীবীরা আপনার হয়ে সরকারি অফিস, দূতাবাস বা অন্য স্থানগুলোতে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকবেন৷ তারপর যখনই কাউন্টারের কাছাকাছি এসে যাবেন, সেই সেবাদানকারী ব্যক্তি, টুক করে আপনাকে একটা ফোন করে দেবেন৷ তারপর আপনি এসে দাঁড়াবেন ঐ লোকের জায়গায়৷ আর লোকটি তখন বের হবে অন্য খদ্দেরের খোঁজে৷ এই কাজের জন্য মজুরি নির্ধারিত হয় ঘণ্টা মাফিক৷ প্রতি ঘণ্টায় চার ইউরো'র সমপরিমাণ ইউক্রেনি মুদ্রা৷

মাটিশেভিৎস নামের এক তরুণ প্রায়ই সরকারি অফিসে এটা ওটা করতে গেলেই তাঁকে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো লাইনে৷ ঘন্টার পর ঘণ্টা৷ এভাবেই একদিন দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে তাঁর মাথায় খেলে গেলো বুদ্ধি৷ যোগাড় করলেন বেশ কয়েকজনকে৷ নিজের নামেই খুললেন একটা কোম্পানি৷ তারপর শুরু হলো কাজ৷ অন্যের হয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার এই কাজে দৈনিক নাকি বেশ ভালোই আয় হয় তাদের এই প্রতিষ্ঠানের৷ আর বেশ কিছু বেকারের বেকারত্বও ঘুচেছে! মাটিশেভিৎস বললেন, ‘‘আমার আরও লোক দরকার৷ তাই নতুন নতুন লোক খুঁজছি৷ যাদের থাকতে হবে রোদে বা বৃষ্টিতে, গরমে বা ঠাণ্ডায় দাঁড়িয়ে থাকার ধৈর্য৷''

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন