1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংকট কাটাতে কূটনৈতিক উদ্যোগ

২৮ জুন ২০১৭

কাতারকে একঘরে করতে সৌদি আরব ও তার সহযোগী দেশগুলি যে কড়া অবস্থান নিয়েছে, তা কিছুটা নরম করতে কূটনৈতিক উদ্যোগ নিচ্ছে মার্কিন প্রশাসন৷ এদিকে কাতারের উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুমকি শোনা যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/2fWQj
টিলারসন কাতার
ছবি: Reuters/Y. Gripas

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে উত্তেজনা কমাতে উদ্যোগ নিচ্ছেন৷ মঙ্গলবারই তিনি ওয়াশিংটনে সৌদি আরব ও কাতারসহ আঞ্চলিক দেশগুলির শীর্ষ কূটনীতিকদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেছেন৷ প্রায় এক সপ্তাহ ধরে এই উদ্যোগ চলার কথা৷ টিলারসন প্রথমে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মেদ বিন আবদুলরহমান আল তানি, তারপর কুয়েতের একজন মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন৷ উল্লেখ্য, এই সংকট কাটাতে কুয়েত মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে৷ জাতিসংঘও এ ক্ষেত্রে সহায়তা করার আগ্রহ দেখিয়েছে৷

তবে কাতার সংকট শীঘ্র কেটে যাওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷ ওয়াশিংটন সফরে এসে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবেইর বলেন, কাতারের কাছে যে সব দাবি পেশ করা হয়েছে, তা নিয়ে আলোচনার কোনো অবকাশ নেই৷ সে দেশকে সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদে মদদ দেওয়া বন্ধ করতে হবে৷

এদিকে গার্ডিয়ান সংবাদপত্রের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রাশিয়ায় নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ওমর গোবাশ বলেছেন, কাতারের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপানো হতে পারে৷ তাছাড়া অন্যান্য দেশের উপর এ ক্ষেত্রে চাপ সৃষ্টি করা হতে পারে৷ অর্থাৎ কাতারের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখলে আমিরাত ও তার জোটসঙ্গীদের সঙ্গে সেই সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে৷

এই সংকটের ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী দেশগুলি দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে৷ তুরস্ক ও ইরাক কাতারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে৷ অন্যদিকে সৌদি আরবের নেতৃত্বে সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর ও বাহরাইন কাতারকে শাস্তি দিতে বদ্ধপরিকর৷ প্রথমদিকে ওয়াশিংটন হস্তক্ষেপ না করলেও এখন উত্তেজনা কমানোর উদ্যোগ নিচ্ছে৷ কারণ, এই সংকটের সঙ্গে যুক্ত সব দেশের সঙ্গেই অ্যামেরিকার গভীর ও কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে৷ মার্কিন নৌ ও সেনাবাহিনী এই অঞ্চলের কয়েকটি দেশে মোতায়েন রয়েছে৷ তবে আদৌ কোনো সমাধানসূত্রে আসা সম্ভব হলেও সে ক্ষেত্রে দুই পক্ষেরই সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা করে তা করতে হবে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন৷ এই সংকটের সমাধান হওয়া পর্যন্ত গোটা অঞ্চলে মার্কিন অস্ত্র সরবরাহ মুলতুবি রাখার প্রস্তাবও শোনা যাচ্ছে৷

কাতারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আল জাজিরা টেলিভিশন নেটওয়ার্ককে বলেছেন, আরব দেশগুলি সন্ত্রাসবাদে মদদের যে অভিযোগ এনেছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও একেবারই গ্রহণযোগ্য নয়৷ এই সব দাবির সপক্ষে তারা কোনো প্রমাণও পেশ করতে পারেনি৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য