1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কান’এ অলিভার স্টোন’এর ‘‘ওয়াল স্ট্রীট’’

১৫ মে ২০১০

১৯৮৭-র ছবিটির সিকোয়েল, এবং সেই মাইকেল ডগলাস’কে নিয়েই৷ কিন্তু এবার ‘‘ওয়াল স্ট্রীট - টাকা কখনো ঘুমোয় না’’ ছবিটির উপজীব্য হল ২০০৮ সালের ওয়াল স্ট্রীট সঙ্কট৷

https://p.dw.com/p/NOjS
পরিচালক অলিভার স্টোনছবি: AP

শুক্রবার কান'এ ছবিটি দেখানো হল বিশাল আড়ম্বরে, যদিও প্রতিযোগিতার অঙ্গ হিসেবে নয়৷ কিন্তু চলচ্চিত্র উৎসব মানেই লাল গালিচা, হলিউডের তারকা, পাপারাৎসি৷ কাজেই ‘‘ওয়াল স্ট্রীট''-এর স্ক্রিনিং উপলক্ষে যদি মাইকেল ডগলাস এবং ছবির বাকি কাস্ট, পরিচালক অলিভার স্টোন, সেই সঙ্গে আরো দু'জন সুবিখ্যাত পরিচালক মার্টিন স্কর্সেজে এবং জর্জ লুকাস, তাছাড়া অভিনেত্রীদ্বয় জুলিয়েট বিনোশ এবং কেট বেকিনসেল'কে একত্রে লাল গালিচার ওপর দেখা যায়, তাহলেই তো ‘গালা প্রিমিয়ার' সার্থক৷

১৯৮৭ সালের ছবিটিতে মাইকেল ডগলাস ছিলেন গর্ডন গেক্কো - মানে টিকটিকি - নামধারী এক জালিয়াত ফাটকাবাজ৷ ছবিটিতে গেক্কো'র একটি সংলাপ প্রবাদবাক্য স্বরূপ হয়ে ওঠে: ‘গ্রীড ইজ গুড', মানে ‘লোভ ভালো জিনিষ'৷ নতুন ছবিতে গেক্কো জেল থেকে বেরিয়েছে এবং তার মেয়ের সঙ্গে আবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে৷ কিন্তু সামনে ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইসিস, এবং ব্যাংকাররাই তার ভিলেন৷ তাদের বিরুদ্ধে গেক্কোর লড়াই৷

অলিভার স্টোন কিন্তু ছবিটিতে ব্যাংকারদের পুরোপুরি ভিলেন হিসেবে দেখাননি৷ অপরদিকে তিনি বলতে বাধ্য হয়েছেন, ‘‘লোভ বস্তুটি এ্যাতো বেড়ে গেছে যে, বিশ্বের বহু মানুষের মতো আমিও বিভ্রান্ত৷ পুঁজিবাদ তার বর্তমান অবস্থায় চালিয়ে যেতে পারবে বলে মনে হয় না৷'' অপরদিকে মাইকেল ডগলাস ছবিটির বক্তব্য হিসেবে স্বয়ং গেক্কোর উদ্ধৃতি দিয়েছেন: ‘‘লোভ তো আর থামেনি৷ লোভ এখন আইনী হয়ে গেছে৷''

যে আইনের মারপ্যাঁচে এখন অপর এক আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রপরিচালক রোমান পোলাস্কি৷ তিনি সুইজারল্যান্ডে আটক, চেষ্টা চলেছে তাঁকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করার৷ পটভূমিতে ১৯৭৭ সালে এক ১৩ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা৷ রোমানস্কির হস্তান্তর রোধ করার জন্য কান'এ নামী-দামী শিল্পী-পরিচালকদের একটি আবেদনে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেছেন মাইকেল ডগলাস, যদিও তিনি পোলানস্কির গুণগ্রাহী বলে জানিয়েছেন৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: জাহিদুল হক