1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কানকুনে শুরু হয়েছে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন

৩০ নভেম্বর ২০১০

সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ এবং সমঝোতার আবেদনের মধ্য দিয়ে সোমবার থেকে মেক্সিকোর কানকুনে শুরু হয়েছে জাতি সংঘের জলবায়ু সম্মেলন৷

https://p.dw.com/p/QLta
কানকুনের এই হোটেলেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতিসংঘের সম্মেলনছবি: picture-alliance/dpa

কোপেনহেগেন সম্মেলনের ব্যর্থতার পর গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ কমাতে এই সম্মেলন কতখানি ভূমিকা রাখতে পারবে এখন সেটাই দেখার বিষয়৷

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সরকারের প্রতিনিধিরা এসে ভিড় জমিয়েছেন মেক্সিকোর পর্যটন শহর কানকুনে৷ এখানেই শুরু হয়েছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন৷ প্রায় দু'সপ্তাহব্যাপী এই সম্মেলন শেষ হবে ১০ ডিসেম্বর৷

Vor UN-Klimagipfel in Cancun - Connie Hedegaard
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি কনি হেডেগার্ডছবি: picture-alliance/dpa

গত ডিসেম্বরের কোপেনহেগেন সম্মেলনে হয়েছিলো৷ সেখানে বিশ্বের উষ্ণায়ন রোধে নতুন একটি চুক্তি সম্পাদন নিয়ে আলোচনা তীব্র মতবিরোধের কারণে ভেস্তে যায়৷ আলোচকদের কাছে এই বিষয়টি এখন স্পষ্ট যে, কানকুনের এই সম্মেলনে নতুন করে কোনো চুক্তি হবেনা৷ তবে তাঁরা আশা করছেন, নির্বনীকরণ, প্রযুক্তি ভাগ করে নেয়া এবং বিকাশমুখী দেশগুলিকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের মোকাবিলা করতে একটি তহবিল গড়ে তোলার মত ইস্যু নিয়ে ঐকমত্য হবে৷

জার্মান পরিবেশমন্ত্রী নর্ব্যার্ট রোয়েটগেন সম্মেলন শুরু হবার ঠিক আগে স্পিগেল ম্যাগাজিনকে বলেছেন, প্রক্রিয়াটি ক্রমান্বয়ে সামনের দিকে এগুচ্ছে বলে খুশি হওয়া উচিৎ৷ তবে তিনি স্বীকার করেন যে আলোচনা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থও হতে পারে৷ এমন সম্ভাবনা রয়েছে৷

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা অবশ্য বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ২০২০ সালের মধ্যে ২০০৫ সালের তুলনায় সতেরো শতাংশ কার্বন নি:সরণ কমানোর যে কথা দিয়েছে, সেই কথা রাখতে তিনি এখনও বদ্ধ পরিকর৷

Dossierbild Klimagipfel Cancun Mexiko 2010 Logo Bild 2
বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের প্রতীক

সম্মেলনের সূচনাতেই জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক প্রধান ক্রিস্টিয়ানা ফিগেরেস সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আলোচনায় একের পর এক ফাঁক রেখে কোন কাজ হবেনা৷ চাই ব্যাপক উদ্যোগ৷ শুধুমাত্র আপোশের মাধ্যমেই ফাঁকগুলো পূরণ করা সম্ভব হবে৷

স্বাগতিক দেশ মেক্সিকের প্রেসিডেন্টও অভিন্ন লক্ষ্য সামনে রাখার আবেদন জানান৷ জাতিসংঘের আন্তঃসরকার জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যানেল আইপিসিসিসি'র চেয়ারম্যান রাজেন্দ্র পাচাউরি বলেন, মানুষের সৃষ্ট কার্বন গ্যাস যত বেশি বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে বিশ্বের আবহাওয়া তত বেশি উষ্ণ হতে থাকবে৷ এবং পৃথিবী গ্রহের জন্য তার ফল হবে মারাত্মক৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু বিশেষজ্ঞ টিম গোরে বলছেন, ‘‘একটি রিপোর্টে দেখা গেছে, চরম আবহাওয়ার কারণে এবছরই মারা গেছেন ২১ হাজার মানুষ, যা ২০০৯ সালের দ্বিগুনের চেয়েও বেশি৷''

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক