‘কান চলচ্চিত্র উত্সবের ছবি দেখে মুগ্ধ’ | পাঠক ভাবনা | DW | 16.05.2013
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘কান চলচ্চিত্র উত্সবের ছবি দেখে মুগ্ধ’

কান চলচ্চিত্র উত্সবের প্রথম দিনেই অত্যন্ত তত্পরতার সাথে ওয়েবসাইটের প্রথম পাতায় নানা তথ্যসহ ছবির পরিবেশনা দেখে মুগ্ধ হলাম৷ উত্সব চলাকালীন উত্সবের নানা দিক নিয়ে আরও তথ্যসহ বিস্তারিত পরিবেশনার অনুরোধ রইলো৷

‘ইউরোভিশন সংগীত প্রতিযোগিতা' – সংগীতের এই আসর নিয়ে সংস্কৃতি বিনোদনের পাতায় একটি বিস্তারিত পরিবেশনার আয়োজন করার অনুরোধ রইলো, বিশেষ করে তথ্য ভিত্তিক ছবিঘরের উপস্থাপনা৷ জার্মানি এই আসরে কত বার বিজয়ী হয়েছে? সংগীতের এই প্রতিযোগিতায় সাধারণত কোন ধরণের গানকে বিবেচনা করা হয়ে থাকে? জানার আগ্রহ আছে৷ সুভাষ চক্রবর্তী, নতুন দিল্লি থেকে এই অনুরোধ করেছেন৷

- প্রতিবছরই ‘ইউরোভিশন সংগীত প্রতিযোগিতা' সম্পর্কে ডয়চে ভেলে নানা তথ্য দিয়ে থাকে, এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না৷ প্রস্তাবের জন্য ধন্যবাদ৷

উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন'৷ আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার রাত ১০ টার পরই বাংলাদেশের কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপকূলে আঘাত হানবে এই মহাসেন৷ অবশ্য তারপরই ঘূর্ণিঝড়টি মিয়ানমারের দিকে চলে যাবে৷ আপনাদের ‘মহাসেন-এর জন্য মহাপ্রস্তুতি' শীর্ষক প্রতিবেদনটি ভালো লাগলো৷ এতে অনেক পরিসংখ্যান দেয়া আছে৷

আমি যখন এই চিঠি লিখছি পাশে রয়েছে রেডিওটা৷ শুনছি এ সময়ে প্রচারিত আন্তজাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান৷ পাশে আর একটা রেডিও সেটে লো ভলিউমে বাজছে বাংলাদেশ বেতার৷ শুনছি মহাসেন সংক্রান্ত আপডেট/ ঝড়ের পূবাভাষ৷ কিছুক্ষণ আগে টেলিভিশনে দেখলাম ভোলা ও চর কূকরীমুকরী ৫-৭ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে৷ কক্সবাজারে ও বাগেরহাটে তুমুল বৃষ্টিপাত হচ্ছে৷ রাতটা হয়ত অজানা আশংকায় কাটবে৷ আমাদের এখানে ঝড় মহাসেনের কোনো প্রভাব না থাকলেও, না জানি কত মানুষ নির্ঘুম রাত কাটাবে৷ না জানি কি ক্ষয়ক্ষতি আর হতাহতের খবর আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে৷ ই-মেলটি পাঠিয়েছেন মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ, উথলি বাজার, চুয়াডাঙ্গা থেকে৷

সাভারের রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে ১৭ দিনের মাথায় মৃত্যুর মুখ থেকে রেশমা বেঁচে ফিরেছেন – আমি এই খবরটি পড়ে সত্যিই খুব বিস্মিত হয়েছি৷ পেশায় পোশাক শ্রমিক, ২২ বছরের রেশমার জীবনযুদ্ধের লড়াইকে আসুন আমরা সবাই স্যালুট করি৷ ১৭ দিন ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে থাকা রেশমার পোশাক এত পরিষ্কার কেন – এই জাতীয় অবান্তর প্রশ্ন তোলার এটাই কি মানবিক সময়? আপনারা যারা রেশমার কাপড় নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, প্লিজ একটু চুপ করুন আর একটু ভগবানকে ধন্যবাদ দিন তাঁর অপার দয়ার জন্য৷ রেশমার জন্য অকৃত্রিম শুভেচ্ছা রইলো৷ ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের সকলকে নমস্কার জানিয়ে শেষ করলাম৷ রবিশংকর বসু, বমনগর, আঁটপুর, হুগলি, পশ্চিমবঙ্গ৷

- মতামতের জন্য ধন্যবাদ সবাইকে৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন