1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কার্লোস দুঙ্গা রোম্যান্টিক ফুটবলের ধার ধারেন না

১ জুন ২০১০

ব্রাজিলের কোচ এককালে শুধু স্বদেশে এবং স্বদেশের হয়েই নয়, ইটালি, জার্মানি এবং শেষমেষ জাপানেও সাফল্যের সঙ্গে পেশাদারী ফুটবল খেলেছেন৷ এবং কোচ হয়েও তিনি তাঁর স্বভাব-প্রকৃতি বদলাননি৷

https://p.dw.com/p/Nf8y
দুঙ্গাছবি: AP

প্লেয়ার হিসেবেও দুঙ্গা যে পায়ের চারুকাজের জন্য বিখ্যাত ছিলেন, এমন নয়৷ লোকে তাঁকে চিনতো তাঁর একরোখামি আর নাছোড়বান্দা মনোভাবের জন্য৷ ব্রাজিল ২০০৬ সালে জার্মানিতে বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালেই বিদায় নেওয়ার পর দুঙ্গা'কে দেওয়া হয় ‘সেলেসাও'-এর দায়িত্ব৷ সে'যাবৎ দুঙ্গা এক পর্যায় নতুন খেলোয়াড় এনেছেন, এবং তাদের ওপর নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন৷ ঝগড়া করেছেন মিডিয়া'র সঙ্গে, প্লেয়ারদের সঙ্গে, এমনকি ফুটবল সমিতির কর্মকর্তাদের সঙ্গে৷ কিন্তু শেষমেষ তিনি এমন একটা দল তৈরী করেছেন. যেখানে রোনাল্ডিনিও এবং কাকা'র মতো সুপারস্টাররাও তাদের জায়গা সম্পর্কে নিশ্চিন্ত থাকতে পারে না৷

এবারকার কোয়ালিফাইং অভিযানেই দুঙ্গা দেখিয়েছেন যে, তাঁর সিস্টেম সাফল্য এনে দিতে সক্ষম৷ ব্রাজিল শেষমেষ থাকে তালিকার শীর্ষে, প্যারাগুয়ে এবং চিলি'র এক পয়েন্ট আগে৷ মোট কথা, দুঙ্গা যেমন তাঁর ফুটবলার জীবনে নো-চ্যাংড়ামি, নো-ক্যারদানি প্লেয়ার ছিলেন, কোচ হিসেবেও তিনি ঠিক তাই৷ রোমান্টিক ফুটবলের দেশ ব্রাজিলের মানুষরা তাঁকে হয়তো ভালোবাসতে শেখেনি, কিন্তু ২০০৭-এ কোপা আমেরিকা এবং ২০০৯-এ কনফেডারেশনস কাপ জয়ের পর দেশবাসী দুঙ্গাকে - ইচ্ছা কি অনিচ্ছায় - শ্রদ্ধা করতে শিখেছে৷

১৯৯৪ সালে যে ব্রাজিল দল বিশ্বকাপ জয় করে, তার ক্যাপ্টেন ছিলেন দুঙ্গা৷ আজ ৪৬ বছরের কোচ কিন্তু জোহানেসবার্গ পৌঁছে বলেছেন: ‘‘আমি যে একটি জিনিষ নতুন করে প্রচলন করতে চেয়েছি, সেটা হল ব্রাজিলের জার্সির প্রতি ভালোবাসা এবং জাতীয় দলে খেলার লক্ষ্য৷ কিন্তু এখন আমরা জানি যে, আমরা এর আগে যা কিছু করেছি, তার সব কিছুর মাপকাঠি হবে এই প্রতিযোগিতা৷ আমরা যদি না জিতি, তা'হলে সকলে সেই এক কথাই বলবে: প্লেয়াররা এবং প্রস্তুতি ভালো ছিল না৷''

বিশেষ করে দুঙ্গাকে অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে পর্যবেক্ষণ করবে ব্রাজিলের মিডিয়া৷ ইন্টার মিলানে রোনাল্ডিনিও'র ফর্ম ক্রমেই আরো ভালো হওয়া সত্বেও তাকে ডাক দেননি দুঙ্গা৷ সেই ভাবেই আদ্রিয়ানো'কে উপেক্ষা করেছেন৷ এবং অন্যান্যদেরও৷ বিশ্বকাপ না জিতে এবার পার নেই কার্লোস দুঙ্গার৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ