1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কালান্তক ঠান্ডায় ‘জমে’ আছে বিশ্বকাপের আসর

১৯ জুন ২০১০

‘বাফানা বাফানা’র যাত্রা প্রায় শেষ৷ বলছি বিশ্বকাপের আয়োজক দেশের কথা৷ কারণ কী তবে তীব্র শীত? এই বিশ্বকাপে তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ নামছে আবহাওয়ায়৷ কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, তাতে খেলোয়াড়দের অসুবিধে হওয়ার কথা নয়৷

https://p.dw.com/p/NxIm
ঠান্ডার সঙ্গে যোগ হয়েছে বৃষ্টিছবি: AP

‘ওরা তো ঘরের মাঠেই খেলছে৷ তাও জিততে পারল না৷ মাঠে ওদের দেখে মনে হচ্ছিল ঠান্ডায় জমে গেছিল অনেকেই৷' মন্তব্য দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ বা কোন ফুটবল বিশেষজ্ঞের নয়৷ মন্তব্য, ‘বাফানা বাফানা'র সংবাদমাধ্যমের একাংশের৷ দোষ দেওয়া যায় না সংবাদমাধ্যমকে৷ দক্ষিণ আফ্রিকায় কিন্তু বেজায় ঠান্ডা৷ বেজায় বললে কম বলা হয়, কোথাও কোথাও তো শূণ্যের নিচেও খেলা হচ্ছে৷ এই যেমন ব্লুমফন্টেন স্টেডিয়ামটার কথাই ধরা যাক৷ সেটা বেশ উঁচুতে আর সেখানে নাকি তাপমাত্রা আরও নামবে৷

WM Südafrika Stimmung Fußball Fans
আফ্রিকান ঢং এবারের বিশ্বকাপকে মনে করিয়ে রাখবেছবি: picture alliance/dpa

তাপমাত্রার এই জমিয়ে দেওয়া হালচাল দেখে কিন্তু বিচলিত নন অধিকাংশ কোচ বা খেলোয়াড়রা৷ তাঁদের মতে, ক্ষতিটা কী? ফুটবল আদতে ঘাম ঝরানোর খেলা৷ বেশি তাপমাত্রা থাকলে, বাতাসে প্রচুর আর্দ্রতা থাকলে ছোটাছুটি করে দম পেতে যথেষ্ট অসুবিধে হয়৷ তার চেয়ে এই ভালো৷

ভালো যে তা বেশ জোরগলায় বলেছেন গ্রিসের জার্মান কোচ অটো রেহাগেল৷ রেহাগেল নিজে বেশ ঠান্ডার দেশেরই মানুষ৷ তাঁর মতে আবার, এই কম তাপমাত্রা থাকায় খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত নৈপুণ্য দেখতে পাওয়া যাবে অনেক বেশি৷ তাঁর দলের নামজাদা তারকা স্ট্রাইকার নিনিসেরও একই মতামত৷ নিনিস বলছেন, ‘‘খেলতে এসেছি, খেলব৷ তাপমাত্রা কী কেমন, এসব নিয়ে ভাবার সময় কই বলুন তো ?''

ব্যাপারটা নিয়ে কিন্তু বেশ ভাবছিলেন নাইজিরিয়ার কোচ লার্স লাগারব্যাক৷ ফ্রি স্টেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার গ্রিসের বিরুদ্ধে নামার আগে তিনি বলেছিলেন, ‘স্টেডিয়ামটা অতি চমৎকার৷ তবে বড্ড ঠান্ডা এখানে৷' সেই ঠান্ডাই কী শেষ পর্যন্ত কাল হয়ে দাঁড়াল তাঁর দলের বিশ্বকাপ স্বপ্নের জন্য? দেখা গেল শুরুতে গ্রিসকে চেপে ধরে, প্রথমে গোল করে এগিয়ে গিয়েও তাঁর দল কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে হেরেই গেল গ্রিসের কাছে৷ বোঝাই যাচ্ছে দ্বিতীয় পর্বে যাওয়া প্রায় অসম্ভব নাইজিরিয়ার৷ তাহলে কম তাপমাত্রাই কী শেষ পর্যন্ত নাইজিরিয়ার স্বপ্নকে জমিয়ে দিল অবাস্তবভাবে?

কে জানে! তা হয়তো হতেই পারে৷ কারণ, আফ্রিকায় এই প্রথম বিশ্বকাপে আফ্রিকার দলগুলোর কাছে সকলের প্রত্যাশা কিন্তু ক্রমশ নিচের দিকেই যাচ্ছে৷ এর জন্য যদি ওই কালান্তক ঠান্ডাই ‘কাল' হয়ে যায়, তাতে অন্তত দোষ চাপাবার জন্য একটা কাউকে পাওয়া গেল৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা : সঞ্জীব বর্মন