1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কালেক্টরকে পুড়িয়ে মারার পর তেল চুরি রুখতে উদ্যোগী ভারত

২৭ জানুয়ারি ২০১১

তেল চুরি এবং ভেজাল তেলের কালোবাজারি রুখতে গেলে মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার অতিরিক্ত জেলা কালেক্টর যশবন্ত সোনাওয়ানকে গত মঙ্গলবার জীবন্ত পুড়িয়ে মারে তেল মাফিয়ারা৷ এরপর সরকার তেল মাফিয়াদের দুষ্টচক্র ভাঙ্গতে অভিযান শুরু করেছে৷

https://p.dw.com/p/105vc
তেল চুরি রোধে নতুন ব্যবস্থা গ্রহণের কথা ভাবছে ভারতছবি: AP

তেল চুরি এবং ভেজাল তেলের কালোবাজারি দমনে সরকার হঠাৎ জেগে উঠলো কেন ? কারণ গত মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার অতিরিক্ত কালেক্টর যশবন্ত সোনাওয়ানকে তেল মাফিয়ারা জীবন্ত পুড়িয়ে মারার পর মহারাষ্ট্র সরকার ব্যাপক অভিযান শুরু করে ৷ রাজ্যের প্রায় ২০০টি জায়গায় হানা দিয়ে ১৮০জনকে গ্রেপ্তার করেছে৷ কালেক্টরকে যারা পুড়িয়ে মারে তাদের ৫/৬ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলে পুলিশ৷ এই মর্মান্তিক ঘটনার প্রতিবাদে আজ মহারাষ্ট্রের ১৭ লাখ কর্মচারী রাজ্যব্যাপী হরতাল পালন করেন৷

তেল চুরি, কেরোসিনে ভেজাল দেওয়া রোধে কেন্দ্রীয় সরকার নতুন ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছেন৷ আজ নতুনদিল্লিতে নতুন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী জয়পাল রেড্ডি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, নতুন মার্কার আবার চালু করা হবে৷ ট্যাঙ্কারের গতিবিধির দিকে নজর রাখতে ট্যাঙ্কারে জিপিএস অর্থাৎ গ্লোবাল পজিসনিং সিস্টেম বসাতে এবং অন-লাইন তথ্যাদি দিতে রাজ্য সরকারগুলিকে সাহায্য করা হবে৷

প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে কালেক্টরের ড্রাইভার জানায়, নাসিক জেলার মানমাড়ে তেলের ট্যাঙ্কার থেকে কেরোসিন তেল চুরি করার দৃশ্য কালেক্টর সোনাওয়ানে যখন তাঁর মোবাইল ফোনে তুলে রাখছিলেন তখন মাফিয়াচক্রের কিছু লোক তাঁর গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়৷ মানমাড় চারটি হাইওয়ের চৌমাথায়৷ এখানে রয়েছে বিরাট তেলের ডিপো যেখান থেকে তেল ভরে রোজ প্রায় ৩০০ ট্যাঙ্কার বিভিন্ন গন্তব্যে পাড়ি দেয়৷ পথে ট্যাঙ্কার থামিয়ে ড্রাইভার তেল পাচার করে৷ ট্যাঙ্কারে তালা থাকলেও মাফিয়াদের হাতে থাকে ডুপ্লিকেট চাবি৷ হাইওয়েতে এই ধরণের ঘটনা নিত্যদিনের৷ কেউ এনিয়ে বিশেষ মাথা ঘামায়না৷ কিন্তু কর্তব্যনিষ্ঠ অফিসার সোনাওয়ানকে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে প্রাণ দিতে হলো৷ সোনাওয়ানের জন্ম এক দলিত পরিবারে৷ কর্মজীবনের শুরুতে ছিলেন সরকারি ক্লার্ক৷ পরে রাজ্য সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দিয়ে জেলা কালেক্টর হন৷ সমাজের অর্থনৈতিক বিকাশে তিনি অনেক কর্মসূচি রুপায়িত করেন৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়