1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাশ্মীরে সহিংসতার বিরাম নেই

১৪ সেপ্টেম্বর ২০১০

মঙ্গলবারও ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের উত্তপ্ত পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি৷ কারফিউ চলছে গোটা উপত্যকায়৷ নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে সোম ও মঙ্গলবার এই দুদিনে মারা গেছে অন্তত ১৭ জন৷ স্বাভাবিক জনজীবন অচল৷

https://p.dw.com/p/PBq7
কাশ্মীরে হিংসা আরো ছড়িয়েছেছবি: AP

উপত্যকায় শান্তি ফেরানোর প্রথম পদক্ষেপ সামরিক বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন ‘আফস্পা' শিথিল বা প্রত্যাহার৷ এ বিষয়ে মনমোহন সিং সরকার এখন দোটানায়৷

গতকাল মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির বৈঠকে, এর পক্ষে ও বিপক্ষে সব রকম যুক্তি নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ হয়৷ এই আইন তুলে নেয়া বা শিথিল করা হলে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে, সামরিক বাহিনীর তরফে প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ.কে অ্যান্টনি প্রধানমন্ত্রীকে তা ব্যাখ্যা করেন৷ পরে সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবার আগে সব রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে পরামর্শ করা জরুরি৷'' এ ব্যাপারে, আগামিকালের সর্বদলীয় বৈঠকের পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার৷ কাশ্মীরের পরিস্থিতি এখনও বেশ গুরুতর৷ তাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও মনে করে, ‘আফস্পা' না থাকলে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পাবে বাড়তি জোর৷ এই বিশেষ আইন তুলে নেবার ক্ষেত্রে বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল পি.ভি নায়েক সেনাদের জন্য আইনি রক্ষাকবচের কথা বলেন৷ বলেন, ‘‘সেনাবাহিনীকে দক্ষভাবে তাঁদের কর্তব্য পালন করতে হলে এই আইনের দরকার৷ তবে সরকার সবদিক ভেবে সঠিক সিদ্ধান্তই নেবে৷'' প্রসঙ্গত, প্রধান বিরোধী দল বিজেপি'ও এই আইন তুলে নেবার বা শিথিল করার বিপক্ষে৷

Indien Kaschmir Demonstranten in Srinagar Flash-Galerie
গোটা উপত্যকায় এখন কারফিউ৷ আর কারফিউ লঙ্ঘন করলে সংঘর্ষ হওয়াটাই স্বাভাবিক৷ছবি: AP

এছাড়া, এই আইন তুলে নেবার দাবি জানিয়ে আসছেন জম্মু কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা৷ তুলে নেবার পক্ষপাতি সিপিআই'ও৷ তাদের মতে, এই বিতর্কিত আইন সাধারণ মানুষের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছে৷ উল্লেখ্য, সামরিক বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইনে, সেনা যে-কোন স্থানে তল্লাসি চালাতে পারে, যে-কোন ব্যক্তিকে আটক করতে পারে, যে-কোন সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে৷ আর এজন্য কোন আদালতে তা চ্যালেঞ্জ করা যাবেনা৷

এদিকে, কাশ্মীরে হিংসা আরো ছড়িয়েছে৷ গোটা উপত্যকায় এখন কারফিউ৷ আর কারফিউ লঙ্ঘন করলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হওয়াই স্বাভাবিক৷ শ্রীনগর এখন দেশের অবশিষ্টভাগ থেকে বিচ্ছিন্ন৷ বিমান পরিষেবা আগামী তিনদিন বাতিল৷ স্বাভাবিক জনজীবন অচল৷ সংবাদপত্র নেই, স্থানিয় টিভি চ্যানেলের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা৷ কট্টরপন্থী হুরিয়াত শাখা ১১ দিনব্যাপী প্রতিবাদ বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছে এরই মধ্যে৷ সোম ও মঙ্গলবার এই দুদিনে নিহত অন্তত ১৭জন, আহত শত খানেক৷ তার মধ্যে জনা পঞ্চাশেক পুলিশ৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ