1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘কিং অব ওয়ালৎস’ : ইয়োহান স্ট্রাউস

২৮ অক্টোবর ২০১০

পশ্চিমের ধ্রুপদী সংগীত জগতের এক বিশিষ্ট সুরস্রষ্টা ইয়োহান স্ট্রাউস৷ অস্ট্রিয়ার এই সংগীতকার ওয়ালৎস সংগীতের সম্রাট হিসেবে পরিচিত৷ ওয়ালৎস সংগীত ও তারই সুরে নাচ পাশ্চাত্য সংস্কৃতির এক বিরাট ঐতিহ্য৷

https://p.dw.com/p/PqpO
ইয়োহান স্ট্রাউসছবি: picture-alliance / akg-images

ইয়োহান স্ট্রাউস জুনিয়র-এর বিখ্যাত ওয়ালৎস সংগীত ‘ব্লু দানিউব' কে বলা হয় অস্ট্রিয়ার বেসরকারি জাতীয় সংগীত৷ এই জনপ্রিয় সংগীতকারের জন্ম ১৮২৫ সালের ২৫শে অক্টোবর ভিয়েনায়৷ বাবা ইয়োহান স্ট্রাউস ছিলেন একজন বিখ্যাত ওয়ালৎস সংগীতকার ও অর্কেস্ট্রা নির্দেশক৷ ছেলে সংগীত জগতে না এসে কোন সরকারি পেশায় নিযুক্ত হোক এই ছিল বাবার ইচ্ছা৷ কিন্তু মা ছেলের সংগীতের প্রতি অনুরাগ ও তার প্রতিভার আঁচ করতে পেরে লুকিয়ে ছেলেকে সংগীত শিক্ষকের কাছে বেহালায় তালিম নিতে সহায়তা করেন৷

১৮৪৪ সালের ১৫ই অক্টোবর ইয়োহান স্ট্রাউস বাবার অনুমদন ছাড়াই নিজস্ব অর্কেস্ট্রা নিয়ে প্রথম পরিবেশন করেন তাঁর নিজের রচিত সংগীত৷ অসাধারন সাফল্য পান তিনি৷ তার পর থেকেই ছড়িয়ে পড়ে তাঁর জনপ্রিয়তা৷ ১৮৪৯ সালে খুব অল্প বয়সে বাবার মৃত্যুর পর ইয়োহান স্ট্রাউস তাঁর বাবার অর্কেস্ট্রা দলের নির্দেশকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং এই দল নিয়েই বিশ্ব ভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন তিনি৷

সমাজ সচেতন স্ট্রাউস ১৮৪৮ সালের বিপ্লবী আদর্শের প্রতি সমর্থন জানান৷ যার ফলে রাজন্যবর্গের সন্দেহের চোখে পড়েন তিনি৷ কিন্তু তাঁর মেলোডিভরা প্রাণবন্ত সংগীত তাদের সেই মনোভাবকে বদলে দেয় খুব তাড়াতাড়ি৷ রাজদরবারে সংগীত নির্দেশকের পদে অভিষিক্ত হোন তিনি৷ অসাধারণ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন স্ট্রাউস৷ হিজিবিজি, কাটাকুটি করা তাঁর হাতে লেখা স্বরলিপি, ডিজাইন আকারে ছাপা হয় টেবিলক্লোথ, ন্যাপকিন, রুমাল, চায়ের কাপ বা টাকার নোটে৷ পাঁচ'শোরও বেশি ওয়ালৎস সংগীতের পাশাপাশি তিনি রচনা করেছেন অসংখ ছোট আকারের অপেরা, ব্যালে এবং একটি পূর্ণাঙ্গ অপেরা৷ নাচের মঞ্চে অংশগ্রহণকারীরা তাঁর সংগীতের সাথে একাত্ম হয়ে যেতেন৷ মজার কথা, স্ট্রাউস নিজে কিন্তু নাচতে পারতেন না৷ ১৮৯৯ সালের ৩রা জুন ভিয়েনায় মৃত্যু বরণ করেন ওয়ালৎস সংগীত সম্রাট ইয়োহান স্ট্রাউস৷

প্রতিবেদন: মারুফ আহমেদ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক