‘কিছু পথভ্রষ্ট হিন্দু গরুর মাংস খান...' | পাঠক ভাবনা | DW | 04.10.2016
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘কিছু পথভ্রষ্ট হিন্দু গরুর মাংস খান...'

ভারতের ‘দ্য ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে অফিস'-এর এক জরিপ বলছে, সে দেশের সোয়া এক কোটি হিন্দু গরু ও  মহিষের মাংস খান৷ ডিডাব্লিউ-এর পাতা থেকে এ তথ্য জেনে ওপরের মন্তব্যটি করেছেন এক পাঠক৷ উঠে এসেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়াও৷

‘হিন্দু ধর্মে গরুর মাংস খাওয়া নিষেধ নয়, তবে গরুকে দেবতার সন্মান দিয়ে তারা তা খান না৷' ডয়চে ভেলের পাঠক তৌফিকুল ইসলাম লিখেছেন এ কথা৷ তিনি এ কথাও বোঝাতে চেয়েছেন, মাংস খাওয়া মানুষের ব্যক্তিগত ব্যাপার৷ এ সম্পর্কে অন্যদের মাথা না ঘামানোই ভালো৷ তবে ভারত নিয়ে এ তথ্যটি ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় প্রকাশ করায় তিনি ডয়চে ভেলের ওপর বেশ অসন্তুষ্টও হয়েছে৷

পাঠক সিবলি জাহিরও তৌফিকুল ইসলামের মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন৷

তবে বিষ্ণু বালার প্রশ্ন, ‘‘কোথায় লেখা আছে যে হিন্দুদের গরু খাওয়া নিষেধ?''

রাহুল চক্রবর্তী বিষয়টির তীব্র প্রতিবাদ করেছেন৷ তাঁর কথায়, ‘‘কিছু পথভ্রষ্ট হিন্দু গরুর মাংস খান...আমি তাদের হিন্দু মানতে রাজি নই...৷''

পাঠক সাইদুল হকের মন্তব্য: ‘‘হিন্দুদের গরুর মাংস খাওয়া ঠিক নয়, এ কথা কোনো ধর্মীয় গ্রন্থে লেখা নেই৷ এটা কিছু উগ্র হিন্দুর মনগড়া মতবাদ এবং গরু খাওয়ার অপরাধে মানুষ হত্যার বৈধতা দেওয়া৷''

হাসান কবির লিখেছেন, ‘‘হিন্দুরা গরু খেলে দোষের কেন? গরু যদি দেবতা হয়, তবে তো মাছ বা ‘মৎস দেবতা', শূকর বা ‘বরাহ দেবতা', কচ্ছপ বা ‘কূর্ম দেবতা'-ও রয়েছে৷ তাহলে এ সমস্ত খাওয়াও নিষিদ্ধ করা উচিত সারা ভারতে৷ কারণ এ সব প্রাণীরা তো সাক্ষাৎ ‘বিষ্ণু ভগবান'৷

অন্যদিকে হাসান কবির এবং রাহুল চক্রবর্তী একমত হয়ে লিখেছেন, ‘‘প্রণাম নেবেন৷ আমরা সম্মিলিতভাবে এই লেখাটা লিখছি কোনো ধর্মকে উদ্দেশ্য করে নয়, লিখছি জানানোর জন্য, শেখার জন্য, বোঝার জন্য যে, সব ধর্মেরই একটা মহত্ত্বপূর্ণ মর্যাদা আছে৷'' লেখা শেষে দু'জনই আমাদের দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন৷

ওদিকে আমাদের পুরনো বন্ধু ডা. এসএম হান্নান লিখেছেন, ‘‘গরুর মাংসে যৌন শক্তি বাড়ে৷''

কৃষ্ণভক্ত মানিক রায় ডয়চে ভেলেকে কটাক্ষ করে লিখেছেন, ‘‘মিথ্যা সংবাদ দিয়ে কেন হিন্দু ধর্মে আঘাত দেয়ার চেষ্টা করছেন, কোনো প্রমাণ ছাড়া কেন এ ধরনের সংবাদ?''

এ কথা পড়ে মনে হয়, ডয়চে ভেলে প্রকাশিত ছবিঘরটি ভালোভাবে পড়েননি পাঠক কৃষ্ণ ভক্ত মানিক রায়৷ কারণ ডয়চে ভেলের থেকে প্রকাশিত তথ্যটি ছিল হুবহু এ রকম – ‘‘হিন্দু প্রধান দেশ ভারতে ধর্মীয় কারণেই গরুর মাংস কম খাওয়া হয়৷ তবে মহিষের মাংস খান অনেকেই৷ গরু এবং মহিষের মোট ভোক্তা প্রায় ৮ কোটি৷ ভারতের ‘দ্য ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে অফিস'-এর করা এক জরিপের ফলাফল থেকে পাওয়া যে সে দেশের সোয়া এক কোটি হিন্দু গরু ও  মহিষের মাংস খান৷''

পাঠক আনোয়ার হোসেন অবশ্য এই পরিসংখ্যানটা বিশ্বাস করেননি৷ তাঁর ধারণা, ‘‘এই সংখ্যাটি প্রকাশ্য, তাহলে গোপন পরিসংখ্যানটা কেমন?''

আহসান হাবীব জানিয়েছেন, ‘‘আমার প্রায় ১৫-১৬ জন হিন্দু বন্ধু আছে৷ তাঁদের অধিকাংশই গরুর মাংস খায়৷''

পাঠক মাসুদও একই কথা লিখেছেন৷ আর তাঁর সাথে একমত মেহেদি হাসান, লিহাট হাতেম'সহ অনেকেই৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

 

নির্বাচিত প্রতিবেদন