1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘কুক্কুট ডাকিলেই জেগে ওঠো’

১৯ জানুয়ারি ২০১১

গত কয়েক বছর আগে বিইসি তথা ‘ম্যাড কাউ’ রোগ নিয়ে তুমুল হৈচৈ বেধেছিল গোটা ইউরোপে৷ এবার শোরগোল মুরগির মাংস ও ডিম নিয়ে৷ পশুর খাদ্যে সমূহ ক্ষতিকারক জৈব রাসায়নিক পদার্থ ডাইঅক্সিন আবিষ্কৃত৷ হাজার-হাজার খামার বন্ধ৷

https://p.dw.com/p/zzU1
শোরগোল মুরগির মাংস ও ডিম নিয়েছবি: Jutta Wasserrab

শুধু তাই নয়, মেরে ফেলা হয়েছে অগুনতি মোরগ-মুরগি৷ ধ্বংস করা হয়েছে ডিম৷গ্রামীণ প্রবচনে বলা হয়েছে, ‘কুক্কুট ডাকিলেই জেগে ওঠো'৷ অর্থাৎ মোরগ যখন ডাকবে, জেগে উঠবে৷ মোরগ ডাকে খুব ভোরে৷ মোরগের ডাকে লোকের ঘুম ভাঙে৷ শহরে কুক্কুটের ডাক শোনা যায়না৷ মানুষের নিদ্রাভঙ্গও দেরিতে৷ ইতোমধ্যে বহু অঘটন ঘটে যায়৷ যেমন ঘটেছে জার্মানিতে৷ মুরগির মাংস ও ডিমে মারাত্মক ক্ষতিসাধক জৈব রাসায়নিক পদার্থ ডাইঅক্সিন পাওয়া গেছে৷ গত একমাস ধরে এই কেলেঙ্কারি এতটাই চাউর যে, সরকার দিশেহারা৷ মানুষ ভ্রান্ত৷ আতঙ্কিত৷ মুরগির মাংস, ডিমের কথা শুনলেই শিউরে উঠছে৷ ইতোমধ্যেই ৪,৭১৯টি মুরগির খামার বন্ধ৷ মুরগির খাদ্য এই ডাইঅক্সিন মিশিয়েও তৈরি করা হয়৷ কার্বন, হাইড্রোজেন,অক্সিজেন, ক্লোরিন ইত্যাদি বারোটি রসায়নের মধ্যে ডাইঅক্সিনই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর৷

Huhn mit Ei
ধ্বংস করা হয়েছে ডিমছবি: AP

ডাইঅক্সিনে উৎপাদিত খাদ্য মূলত পশুপাখিই খেয়ে থাকে৷ যেমন মোরগ, মুরগি,কুকুর৷ এই সব পশুর মাংস খাদকের জন্যেও মারাত্মক৷ শরীরে ক্যান্সারসহ নানা রোগেও আক্রান্ত হতে পারে৷ গবেষকরা অবশ্য বলছেন, একদিন বা কয়েকদিন আহারে হবেনা হয়তো, কিন্তু মাসের পর মাস, বছরের পর বছর যদি খেয়ে থাকে, তবে ব্যাধি বাসা বাঁধতে পারে দেহের বিভিন্ন কোষে৷

ডাইঅক্সিনের কেলেঙ্কারি প্রতিদিনই নানা মাত্রা পাচ্ছে৷ জার্মান কৃষিমন্ত্রী কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছেন৷ প্রয়োজনে বহু পশুখাদ্য প্রস্তুতকারক এবং লাইসেন্সধারীর (যারা আমদানি, রপ্তানি করে৷) বন্ধ করে দেবেন৷ বহু মানুষ এখন মুরগির মাংস, ডিম খাচ্ছেনা৷ ফলে, ব্যবসায়ীর মাথায় হাত৷

কুক্কুটের ডাকে সময়মতো না জাগিলে কী হইতে পারে, জার্মানির মুরগির মাংস, ডিমে ইহাই প্রমাণিত৷

প্রতিবেদন: দাউদ হায়দার, বার্লিন

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন